Samakal:
2025-06-20@10:30:20 GMT

স্থাপনায় বেহাল খাল

Published: 5th, May 2025 GMT

স্থাপনায় বেহাল খাল

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় খাল দখল করে পাকা ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। কিছু নির্মাণাধীন। নির্মাণকাজের সুবিধার জন্য কালভার্টের মুখ ভরাট করে পানিপ্রবাহ বন্ধ করা হয়েছে।
এ চিত্র উপজেলার উত্তর কাজী কসবা গ্রামের। এ গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন টেলি ভূঁইয়া ও শাহজালাল বেপারি কাজী কসবা খালে এসব স্থাপনা নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 
গতকাল সোমবার উত্তর কাজী কসবা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলা রামপাল ইউনিয়নের উত্তর কাজী কসবা গ্রামে তোফাজ্জল হোসেন টেলি ভূঁইয়া খালের পুরো অংশ দখল করে প্রশস্ত পাকা রাস্তা ও বাড়ির প্রধান ফটক নির্মাণ করেছেন। এর পাশেই খাল দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন স্থানীয় শাহজালাল বেপারি নামের এক ব্যক্তি। পাকা বিম করে ভবনের মেঝে ঢালাইয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
গ্রামবাসী জানান, দখলের কবলে পড়া খালটি সদর উপজেলার মীরকাদিম নদীবন্দর এলাকা থেকে উত্তর কাজী কসবা গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সদর উপজেলার কাটাখালী খালের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। এক সময় এই খাল দিয়ে সব ধরনের নৌযান চলাচল করলেও বিভিন্ন স্থানে দখলের কারণে খালটি এখন মৃতপ্রায়। ইদানীং নৌযান না চললেও খাল দিয়ে অন্তত পানি প্রবাহিত হতো। কিন্তু প্রায় ৬ মাস আগে উত্তর কাজী কসবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০০ মিটার পশ্চিমে খালের পুরো অংশ দখল করে বাড়ির গেট ও রাস্তা নির্মাণ করেন তোফাজ্জল। তাঁর দেখাদেখি এ স্থাপনার পূর্বপাশে খালের বিস্তীর্ণ অংশ দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করছেন শাহজালাল। এভাবে খালের প্রায় ৮-১০টি স্থানে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে খালে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় কামরুল হাসান বলেন, খালটি দিয়ে পানিপ্রবাহের জন্য কয়েক বছর আগে উত্তর কাজী কসবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সেই কালভার্টের মুখ পুরো ভরাট করে এখন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
অভিযুক্ত শাহজালাল বেপারির দাবি, তিনি যেখানে ভবন নির্মাণ করছেন, সেখানে তাদের জমি আছে এবং খালের জমিও আছে। তিনি বলেন, ‘আমি কন্ট্রাক্টরি করি। নির্মাণসামগ্রী রাখার জন্য একটি পাকা ঘর তুলতেছি।’
অভিযুক্ত তোফাজ্জল হোসেন টেলির বক্তব্য জানতে তাঁর বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে খুদে বার্তা দিলেও সাড়া মেলেনি।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ কে এম হাসানুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দখল ন র ম ণ করছ ন ন ন র ম ণ কর সদর উপজ ল শ হজ ল ল র উপজ ল প রব হ

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে খাদ্য পরিস্থিতি অত্যন্ত সন্তোষজনক: উপদেষ্টা

দেশে বর্তমানে খাদ্য পরিস্থিতি অত্যন্ত সন্তোষজনক, দাবি করে খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, “বোরো মৌসুমে বাম্পার ফলন হয়েছে। যদি আমন মৌসুমেও ভালো ফলন হয়, তাহলে বিদেশ থেকে আর চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না।”

শুক্রবার (২০ জুন) পটুয়াখালী সার্কিট হাউজে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় খাদ্য অধিদপ্তরের পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা এবং জেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, চলতি বোরো মৌসুমে পটুয়াখালী জেলায় ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা যথাক্রমে ১ হাজার ৯২৫ মেট্রিক টন ও ৫ হাজার ৬৯৫ মেট্রিক টন। ইতোমধ্যে ইতোমধ্যে ১ হাজার ৯২৫ মেট্রিক টন ধান এবং ৪ হাজার ৯৯৭ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে।

বরগুনা জেলার লক্ষ্যমাত্রা ৫০০ মেট্রিক টন ধান ও ১ হাজার ৫১৩ মেট্রিক টন চাল। এর বিপরীতে ৫০০ মেট্রিক টন ধান এবং ১ হাজার ৩৪৯ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। বরগুনার ছয়টি এলএসডির (স্থানীয় সংগ্রহ কেন্দ্র) সম্মিলিত ধারণক্ষমতা ১৫ হাজার মেট্রিক টন।

খাদ্য উপদেষ্টা বলেছেন, “আমরা যে ভালো অবস্থানে আছি, তা বলছি ঠিকই; তবে এ অবস্থান রক্ষা করা কঠিন। কারণ, খাদ্য ক্রমাগত খরচ হচ্ছে, আবার ক্রমাগত সংযোজনও হচ্ছে। এজন্য নিয়মিত তদারকি জরুরি।” 

তিনি জেলা প্রশাসকদের স্থানীয় পর্যায়ে খাদ্য সংগ্রহ ও বিতরণ কার্যক্রম ‘ক্লোজ মনিটরিং’ করার নির্দেশ দেন।

উপদেষ্টা বলেন, “এই বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে মোট ১৭ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ৩ লাখ টন ধান এবং ১৪ লাখ টন চাল কেনা হবে।" 

কৃষকদের জন্য ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে ধানের দাম প্রতি কেজি ৩৬ টাকা ও চালের দাম ৪৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় কেজি প্রতি ৪ টাকা বেশি।

বোরো সংগ্রহ কার্যক্রম চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল শুরু হয়েছে। চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।

সভায় জানানো হয়েছে, ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে খাদ্য ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ বাড়িয়ে ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা করা হচ্ছে, যা চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ছিল ৮ হাজার ৫৯ কোটি টাকা।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে ওএমএস ও টিসিবি কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেছে। আগামী অর্থবছরে ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় উপকারভোগী পরিবারের সংখ্যা ৫০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫৫ লাখে উন্নীত করার পরিকল্পনা আছে। প্রতিটি পরিবারকে মাসে ৩০ কেজি চাল ১৫ টাকা কেজি দরে সরবরাহ করা হবে। বর্তমানে এ কার্যক্রম বছরে পাঁচ মাস চালু থাকলেও আগামী অর্থবছর থেকে তা ছয় মাস কার্যকর থাকবে।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন। উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

ঢাকা/এএএম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ