চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
Published: 7th, May 2025 GMT
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির ৫৪ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কমিটিতে ৯ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৪৩ জনকে সদস্য করা হয়েছে। এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি মো. ইদ্রিস মিয়াকে আহ্বায়ক, লায়ন হেলাল উদ্দীনকে সদস্য সচিব, আলী আব্বাসকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, লিয়াকত হোসেন ও মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরীকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে লিয়াকত হোসেনকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে স্থান পেয়েছেন বিএনপি নেতা আজিজুল হক চৌধুরী, আসহাব উদ্দিন চৌধুরী, নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, জামাল হোসেন, মুজিবুর রহমান, রেজাউল করিম চৌধুরী নেছার ও সাঈফুদ্দিন সালাম মিঠু। কমিটিতে আরও ৪৩ জনকে সদস্য করা হয়েছে। তারা হলেন– শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, ইফতেখার মহসিন চৌধুরী, মোস্তাক আহমদ খান, এনামুল হক এনাম, বদরুল খায়ের চৌধুরী, এস এম মামুন মিয়া, আমিনুর রহমান চৌধুরী, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, নাজমুল মোস্তফা আমিন, মোহাম্মদ লোকমান, শওকত আলম চৌধুরী, ছলিম উদ্দিন চৌধুরী, হাজি মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ম হ ম মদ র রহম ন ল ইসল ম সদস য ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে বাবাকে হত্যা: ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
সিলেটে শবেবরাতের রাতে নামাজরত প্রবীণ আইনজীবী শামসুল ইসলাম চৌধুরীকে হত্যা করার মামলায় তার ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় আরেক আসামিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. শাহাদত হোসেন প্রামাণিক এ আদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আইনজীবী শামসুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে মাসুদ আহমদ চৌধুরী মুন্না, তার সহযোগী জাহের আলী ও আনসার আহমদ।
বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের পিপি আনছারুজ্জামান জানান, ২০১১ সালের ১৭ জুলাই রাতে প্রবীণ আইনজীবী শামসুল ইসলাম চৌধুরীকে তার ছেলে মাসুদ আহমদ চৌধুরী মুন্না পেছন থেকে প্রথমে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এরপর শামসুল ইসলাম জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে তাকে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে অচেতন অবস্থায় গাড়িতে তুলে সুনামগঞ্জের ছাতকের মল্লিকপুর এলাকার সুরমা নদীতে ফেলে দেয়া হয়।
এর কয়েকদিন পর সুনামগঞ্জের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামে সুরমা নদীতে তার মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মুন্নাকে গাড়িচালকসহ তিনজন সহযোগিতা করেন।
আরো পড়ুন:
আম পাড়তে গিয়ে পড়ে কিশোরের মৃত্যু
আত্মগোপনে থাকা সিরাজগঞ্জ জেলা আ.লীগ নেতার মৃত্যু
মামলার রায়ে ছেলে মাসুদ আহমদ চৌধুরী মুন্না, তার সহযোগী জাহের আলী ও আনসার আহমদকে মৃতদণ্ড এবং গাড়িচালক বোরহান উদ্দিনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছেন। মামলার ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জন স্বাক্ষ্য দেন।
তিনি আরো জানান, নিহত শামসুল ইসলাম চৌধুরীর চার মেয়ে ও দুই ছেলে। বড় ছেলে মাহমুদ আহমদ চৌধুরী এ মামলার বাদী। বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন গোলাম এহিয়া চৌধুরী সোহেল।
সিলেটে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি বদরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, শামসুল ইসলাম চৌধুরীকে জমি সংক্রান্ত মনোমালিন্যের জের ধরে হত্যা করা হয়। এ রায়ের মাধ্যমে হত্যায় জড়িতরা সাজা পাবেন বলে তিনি আশা করেন।
ঢাকা/নূর/বকুল