যুদ্ধের প্রভাবে সূচক পড়েছে ভারতের শেয়ারবাজারে, রুপিরও দরপতন
Published: 7th, May 2025 GMT
পাকিস্তানে হামলার জেরে ভারতের শেয়ারসূচকে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের পতন হয়নি। আজ বুধবার সকালে ভারতের শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার পরই বাজারের প্রধান সূচক সেনসেক্সের পতন হয়েছে ২০০ পয়েন্ট পর্যন্ত। পতন হয়েছে আরেক সূচক নিফটিরও। এরপর অবশ্য বাজার কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় সেনসেক্স সূচকের মান ছিল ৮০ হাজার ৫৭৯ দশমিক ২৭ পয়েন্ট। নিফটি সূচকের মান ছিল ২৪ হাজার ৩৬৫ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট। তাতে গতকাল মঙ্গলবারের তুলনায় আজ সেনসেক্সের পতন হয়েছে এখন পর্যন্ত ৬১ পয়েন্ট এবং নিফটির পতন হয়েছে ২৬ পয়েন্ট। অন্যদিকে পাকিস্তানের শেয়ারবাজারেও লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।
একই সঙ্গে অনিশ্চয়তার জেরে ভারতর মুদ্রা রুপিরও দরপতন হয়েছে আজ সকালে। সকালের শুরুতেই রুপির দর আরও ৩১ পয়সা কমেছে। ফলে প্রতি ডলারে বিপরীতে এখন ৮৪ দশমিক ৬৬ রুপি পাওয়া যাচ্ছে। কয়েক দিন ধরেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল, ভারত পাকিস্তানে হামলা করবে। গত রাতে হামলা শুরু হয়ে যাওয়ার পর বাজারে যে আজ প্রভাব পড়বে, তা প্রত্যাশিতই ছিল।
এদিকে আজ সকালে এশিয়ার শেয়ারসূচকগুলোর মধ্যে হ্যাং সেং সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ। পতন হয়েছে নিক্কেই এশিয়া সূচকের। সূচকটি পড়েছে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। এ ছাড়া এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ফিউচার্স সূচকের উত্থান হয়েছে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ।
মঙ্গলবারের বাজারে সেনসেক্স ও নিফটি ৫০ সূচক উভয়েই পড়েছে। দিনভর বাজারের পরে শেষ পর্যন্ত ১৫৫ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট নেমে ৮০ হাজার ৬৪১ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্টে শেষ হয়েছে বিএসই সেনসেক্স। অন্যদিকে ৮১ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট নেমে ২৪ হাজার ৩৭৯ দশমিক ৬০ পয়েন্টে শেষ হয়েছে নিফটি ৫০ সূচক।
এনডিটিভির সংবাদে বিশ্লেষকদের মন্তব্য, ভারতের এই হামলা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে। সেই সঙ্গে হামলার তীব্রতা বৃদ্ধির তেমন ইচ্ছা ভারতের নেই। এ দুই কারণে সূচকের বড় পতন হয়নি। সূচক আবার ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। জিওজিত ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের প্রধান বিনিয়োগ কৌশলবিদ ভি কে বিজয়কুমার বলেন, পাকিস্তান কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়, সেদিকে নজর রাখতে হবে বিনিয়োগকারীদের। তবে বাজার আগে থেকেই জানে, এই হামরা হতে পারে। সে কারণেও তেমন একটা প্রভাব পড়বে না বলেই তিনি মনে করেন।
এ ছাড়া ভারতের শেয়ারবাজারে কয়েক দিন ধরে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে। সেটাই বাজারের অতটা আক্রান্ত না হওয়ার কারণ হিসেবে মনে করেন বিজয়কুমার। গত ১৪ অধিবেশনে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ৪৩ হাজার ৯৪০ কোটি রুপির শেয়ার কিনেছে। মূলত চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো বলে বিনিয়োগকারীরা ভারতের দিকে ঝুঁকছেন। সে কারণে বাজার ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই নিজ অবস্থান ধরে রাখতে পারবে বলে তিনি মনে করেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র শ য় রব জ র ন হয় ছ দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
সপ্তাহের শুরুতে পুঁজিবাজারে বড় দরপতন
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (২২ জুন) সূচকের বড় পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিনে ডিএসই আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে। তবে উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৭৬.৮০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৬৭৭ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২১.০৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৬ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ২৩.৯৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৫৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১৬টি কোম্পানির, কমেছে ৩৬৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬টির।
আরো পড়ুন:
সাপ্তাহিক দাম কমার শীর্ষে শ্যামপুর সুগার মিলস কোম্পানি
ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে লাভেলো আইসক্রিম
এদিন ডিএসইতে মোট ২৭১ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩০৫ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৯৭.১৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ১৩ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭১.৪৬ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৯৯ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ১১.৬৪ পয়েন্ট কমে ৮৪০ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ১১৩.৪২ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ২৯১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ২০৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ২৯টি কোম্পানির, কমেছে ১৫৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৫টির।
সিএসইতে ৩১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১১ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি/এসবি