সোহান-মাহিদুলের সেঞ্চুরির ম্যাচ জয়ে রাঙাল ‘এ’ দল
Published: 7th, May 2025 GMT
ব্যাটসম্যানরা বড় সংগ্রহ এনে দিয়েছিলেন। বোলাররা বাকি কাজটা সারলেন অতি সহজে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে আরেকটি ভালো দিন কাটাল বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
ব্যাট-বলের উজ্জ্বল পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ ‘এ’ দল দ্বিতীয় আনঅফিসিয়াল ম্যাচ জিতে নিলো সহজে। এক ম্যাচ হাতে রেখে নিশ্চিত করে ফেলল ওয়ানডে সিরিজ।
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়ক কাজী নুরুল হাসান সোহান ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন এই ম্যাচে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। দুজন চতুর্থ উইকেটে ২২৫ রানের জুটি গড়েছিলেন। তাদের ম্যারাথন ব্যাটিংয়ে ভর করে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেটে ৩৪৪ রান করে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। জবাব দিতে নেমে নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দল গুটিয়ে যায় ২৫৭ রানে। ৮৭ রানের জয়ে দিনটা রাঙিয়েছে স্বাগতিক দল।
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানে নাহিদ ও রিশাদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বিসিবি
র্যাংকিংয়ে জাদেজার ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছেন মিরাজ
বিস্তারিত আসছে…
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
’৭২–এর সংবিধানের চার মূলনীতি বাতিল চায় এনসিপি
বাহাত্তরের সংবিধানের চার মূলনীতি বাতিল চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন বলেছেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছি, বাহাত্তরের মুজিববাদী মূলনীতি আমরা রাখার পক্ষে না। এ মূলনীতি বাদ দিতে হবে।’
আজ রোববার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আগের অসমাপ্ত আলোচনা সমাপ্তিকরণের লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা শেষে এ কথা বলেন জাবেদ রাসিন।
এনসিপির এই যুগ্ম আহ্বায়ক বলেন, ‘সংবিধান সংস্কার কমিশনের একটা প্রস্তাব ছিল। সংবিধানে সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচারের সঙ্গে গণতন্ত্রকে যুক্ত করে এই চারটি অন্তর্ভুক্ত থাকবে মূলনীতি হিসেবে। বৈঠকে আলোচনার সময় এটা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটা মতানৈক্য দেখা গেল। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছি, বাহাত্তরের মুজিববাদী মূলনীতি আমরা রাখার পক্ষে না। এ মূলনীতি বাদ দিতে হবে।’
কিছু রাজনৈতিক দল তাদের আদর্শিক জায়গা থেকে এই চার মূলনীতি বাদ দেওয়ার ব্যাপারে একমত হতে পারেনি বলে জানান জাবেদ রাসিন। তিনি বলেন, ‘আমরা সে ক্ষেত্রে বলেছি, আমাদের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার যে অভ্যুত্থানের যে স্পিরিট, সে স্পিরিটের বিপরীতে গিয়ে এখানে আলোচনার কোনো মানে হয় না। সুতরাং বাহাত্তরের চার মূলনীতি বাদ দিয়ে তার পরবর্তী বাকি মূলনীতিগুলো সংযোজন করতে হবে।’ তবে এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো ঐকমত্য হয়নি।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা বলেন, বর্তমান যে ব্যবস্থা আছে, সে ব্যবস্থা থেকে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদটা সীমিত করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। এ ছাড়া একজন ব্যক্তি কত সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন, সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘একজন ব্যক্তির সর্বোচ্চ দুবার শপথ নিতে পারবেন, এই জায়গায় আমরা সীমা নির্ধারণ করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু ঐকমত্যের স্বার্থে সবাই সর্বোচ্চ ১০ বছর বলে। সময় নির্ধারণের সবার সঙ্গে আমাদের মতামত ফেক্সিবল (নমনীয়) থাকবে।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজকের আলোচনায় অংশ নেয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ইসলামী আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদ, গণসংহতিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।