৬ বছরে বিদেশ থেকে ৬৭ হাজার নারী ফিরেছেন: ব্র্যাক
Published: 7th, May 2025 GMT
ছয় বছরে ৬৭ হাজারেরও বেশি নারী নানা সংকটে পড়ে বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন এন্ড ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল হাসান।
বুধবার (৭ মে) ঢাকার একটি হোটেলে ‘নারী অভিবাসীদের অধিকার ও ক্ষমতায়নে আমরা সবাই এক’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এই তথ্য জানান। কর্মশালাটি আয়োজন করে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় বাস্তবায়িত প্রত্যাশা-২ প্রকল্পের আওতায়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা নারী অভিবাসীদের সুরক্ষা এবং ফেরার পর সম্মানজনক পুনর্বাসনে সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, বাংলাদেশ থেকে নারীদের বিদেশে যাওয়া যেমন বাড়ছে, তেমনি অনেক নারী ফেরতও আসছেন। এই নারী অভিবাসীদের দেশে-বিদেশে সুরক্ষা ও কল্যাণে সরকারি ও বেসরকারি সব সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি।
আরো পড়ুন:
সোয়া ৯ লাখ সৌদি রিয়ালসহ বিমানযাত্রী গ্রেপ্তার
আবাসিক হোটেল থেকে পোল্যান্ডের নাগরিকের লাশ উদ্ধার
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান আরো বলেন, ‘‘বাংলাদেশের প্রায় ১০ লাখ নারী এখন বিদেশ আছে। গত ছয় বছরে ৬৭ হাজারেরও বেশি নারী নানা সংকটে পড়ে দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। তাদের অনেকেই নিপীড়নের শিকার। বিদেশ-ফেরত নারীদের যেন আমরা সবাই মিলে সেবা দিতে পারি, সেই জন্যে নেটওয়ার্ক ফর বাংলাদেশি উইমেন মাইগ্রেন্টস কাজ করবে। প্রতিটা সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এখানে তার সেবা নিয়ে এগিয়ে আসবেন।’’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনের (এসএমই ফাউন্ডেশন) চেয়ারপারসন মো.
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘‘নারীরা বিদেশে যেমন ঝুঁকিতে থাকেন, তেমনি দেশে ফেরার পরও নানা বাধার মুখোমুখি হন। সরকার এই সমস্যা সমাধানে কাজ করছে এবং বিমানবন্দর থেকে শুরু করে বিভিন্ন সেবার মানোন্নয়নে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’’
ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ডের পরিচালক ড. এটিএম মাহবুব-উল-করিম জানান, সরকার ইতোমধ্যে ৩১ হাজার বিদেশফেরত নারীকে সেবা দিয়েছে এবং এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, ‘‘প্রশিক্ষণ ছাড়া নারীদের পাঠানো হলে তারা বিদেশে নির্যাতনের শিকার হন। দেশে ফিরে তাদের সামাজিকভাবে হেয় হতে হয়। তাই অভিবাসনকে নিরাপদ করতে এবং ফেরার পর সহায়তা দিতে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তুলতে হবে।’’
বায়রা মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘‘যেসব নিয়োগকর্তা নারী শ্রমিকদের নিপীড়ন করেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ফিলিপাইনের মতো দ্রুত প্রতিক্রিয়ার সক্ষমতা আমাদেরও গড়ে তুলতে হবে।’’
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ব্র্যাকের ‘নেটওয়ার্ক ফর বাংলাদেশি উইমেন মাইগ্রেন্টস’-এর চেয়ারপারসন ও আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা। তিনি বলেন, সবাই মিলে কাজ করলে নারী অভিবাসীদের অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইশরাত শামীম, ড. রুবিনা হোসেন, আইএলও, আইওএম, বিএমইটি, ওয়েজ আর্নার্স বোর্ড, নারী ও শিশু উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/হাসান/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন ফ র র পর সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ২৬ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (৯ থেকে ১৩ নভেম্বর) সূচকের বড় পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেনে বেশ কমেছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে উভয় পুঁজিবাজারে বাজার মূলধন বেশ কমেছে ২৬ হাজার ৫১৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫৬.২৫ পয়েন্ট বা ৫.৩৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭০২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৮৯.৩৬ পয়েন্ট বা ৪.৬০ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮৫১ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬২.২৬ পয়েন্ট বা ৫.৯৯ শতাংশ কমে ৯৭৬ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ১৮৬.৮৪ পয়েন্ট বা ২০.৪০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৭২৮ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৯৭৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯০ হাজার ৯১৫ কোটি ৮৯ লাখ কোটি টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১৬ হাজার ৯৪১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৭১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪২২ কোটি ২৩ লাখ টাকার। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৬৫০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭টির, দর কমেছে ৩৬৩টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩টির। তবে লেনদেন হয়নি ৩০টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৫৭.৩১ পয়েন্ট বা ৩.৯৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৪০১ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ১.৯১ শতাংশ কমে ১২ হাজার ১৭৫ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ৩.৪৪ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৩১৮ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ৩.৫১ শতাংশ কমে ৮৪৪ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ১১.৩৪ শতাংশ কমে ১ হাজার ৭২৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮২ হাজার ৫৫৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯২ হাজার ১৩০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৯ হাজার ৫৭২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৮০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ২৭২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৯টির, দর কমেছে ২৩৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
ঢাকা/এনটি/ইভা