বুদ্ধুপূর্ণিমা উপলক্ষে রাজধানীতে সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: ডিএমপি
Published: 8th, May 2025 GMT
আগামী রোববার অনুষ্ঠেয় বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে রাজধানীতে সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। অনুষ্ঠান চলাকালে বিভিন্ন বৌদ্ধবিহারের আশপাশের রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বুদ্ধপূর্ণিমা ২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষে ডিএমপি সদর দপ্তরে সার্বিক নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আজকের সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো.
সমন্বয় সভায় ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন বৌদ্ধবিহারের প্রতিনিধি, বৌদ্ধধর্মীয় নেতা, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, পুলিশের বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিটের প্রতিনিধি, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ (ডিপিডিসি), ওয়াসা, গণপূর্ত ও সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সমন্বয় সভার শুরুতে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। এরপর সভায় উপস্থিত বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং তাঁদের মতামত তুলে ধরেন।
সমন্বয় সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম) মো. মাসুদ করিম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলীসহ যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনারসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন বৌদ্ধবিহারের প্রতিনিধি ও ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস থ অন ষ ঠ উপস থ ড এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির নির্বাচনী যাত্রা শুরু ৭ নভেম্বরের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে
এবারের ৭ নভেম্বর অন্যবারের চেয়ে ভিন্ন মেজাজে উদ্যাপন করবে বিএনপি। দলটির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দিনটি উপলক্ষে সারা দেশে দলীয় কর্মসূচির মাধ্যমে সম্ভাব্য প্রার্থীরা আজ শুক্রবার নানা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন, যার মধ্য দিয়ে কার্যত বিএনপির নির্বাচনী যাত্রা শুরু হবে।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, এবার ৭ নভেম্বর উপলক্ষে দলীয় কর্মসূচির মূল লক্ষ্যে থাকছে আগামী জাতীয় নির্বাচন। এদিন বিভাগীয়, জেলাসহ সারা দেশে আলোচনা অনুষ্ঠান ও শোভাযাত্রার পাশাপাশি জনসভার কর্মসূচি রাখা হয়েছে। এতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারসহ জনসম্পৃক্ত বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে।
আগামী নির্বাচন সামনে রেখে গত সোমবার বিএনপি প্রার্থী হিসেবে ২৩৭ জনের প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণা করে। ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’–এর কর্মসূচি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দলীয় নির্বাচনী প্রতীক ‘ধানের শীষ’–এর পক্ষে প্রচার জোরদারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এ উপলক্ষে রাজধানীতে আজ বেলা তিনটায় বিএনপির উদ্যোগে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শোভাযাত্রা হবে। এ ছাড়া ঢাকার বিভিন্ন আসনের প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় সমাবেশসহ জনসংযোগের কর্মসূচি রেখেছেন।
দলীয় সূত্রগুলো বলছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব এবারের ৭ নভেম্বরকে ভিন্ন মেজাজে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তা হচ্ছে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রার্থীদের একযোগে মাঠে নামানো।১৯৭৫ সালের ঘটনাবহুল ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে উদ্যাপন করে আসছে বিএনপি। ৭ নভেম্বর প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসার দিন।
দলীয় সূত্রগুলো বলছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব এবারের ৭ নভেম্বরকে ভিন্ন মেজাজে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তা হচ্ছে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রার্থীদের একযোগে মাঠে নামানো। সে কারণে অন্যবার আলোচনা অনুষ্ঠান ও শোভাযাত্রার মধ্যে ৭ নভেম্বরের কর্মসূচি সীমাবদ্ধ থাকলেও এবার প্রায় সব আসনেই জনসভার কর্মসূচিও রাখা হয়েছে।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আজ বেলা তিনটায় জনসভা করবে মহানগর বিএনপি। এতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
দলীয় সূত্রগুলো বলছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব এবারের ৭ নভেম্বরকে ভিন্ন মেজাজে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন সামনে রেখে এবারের জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা অন্যবারের চেয়ে বেশি। তাই এবারের ৭ নভেম্বর একটা ভিন্ন মেজাজে উদ্যাপিত হবে।
বরিশাল-১ (গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া) আসনে আজ ৭ নভেম্বর দলীয় কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন। বেলা তিনটায় গৌরনদী সরকারি স্কুল মাঠে তাঁর নির্বাচনী জনসভা হবে।
জহির উদ্দিন স্বপন প্রথম আলোকে বলেন, ‘৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে জনসভার মধ্য দিয়ে আমার নির্বাচনী যাত্রা শুরু হবে।’
একইভাবে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুরের মান্দারি বাজারে সমাবেশ করবেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী। তার আগে লক্ষ্মীপুর শহরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভা করবেন। শহীদ উদ্দীন চৌধুরীকে লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। একইভাবে খুলনা নগরেও আলোচনা সভা, শোভাযাত্রাসহ সমাবেশের কর্মসূচি রয়েছে বলে জানান খুলনা-২ আসনের বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘৭ নভেম্বর আমাদের অনুপ্রেরণা। এদিনে আমরা পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে নতুন যাত্রা শুরু করেছি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই দিনের তাৎপর্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ফ্যাসিবাদের পতনের পর বাংলাদেশ যে নতুন যাত্রা শুরু করেছে, সেখানে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতির গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক দিনে সেই নির্বাচনের পথে যাত্রা শুরু করছি।’