আমরা উত্তেজনা বাড়াতে চাই না: এস জয়শঙ্কর
Published: 8th, May 2025 GMT
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, আমরা উত্তেজনা বাড়াতে চাইনা। যদি আমাদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে তার কঠোর জবাব দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে ভারত সফরে আসা ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২২ এপ্রিল পেহেলগাম হামলার পর, ভারত ৭ মে সন্ত্রাসীদের আস্তানা লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা উত্তেজনা বাড়াতে চাই না। তবে যদি আমাদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হয় তাহলে আমরা খুব কড়া জবাব দেব তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
এস জয়শঙ্কর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচিকে বলেন, প্রতিবেশী এবং ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনার ভালো ধারণা থাকা জরুরি।
মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতে উভয় পক্ষে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। ইসলামাবাদ বলেছে, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং সীমান্তে গোলাগুলিতে পাকিস্তানে ৩১ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। নয়াদিল্লি বলেছে, পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে তাদের দিকে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। কূটনীতিক এবং বিশ্বনেতারা উভয় দেশকে একটি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার দ্বারপ্রান্ত থেকে সরে আসতে বলেছেন। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সংঘাতকে ‘ভয়াবহ’ উল্লেখ করে তা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র পরর ষ ট রমন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবির হলে প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে, প্রক্টরের আশ্বাসে বিক্ষোভ থামালেন শিক্ষার্থীরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলে প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ। গত বছরের ১৭ জুলাইয়ের পরিপত্র অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। শুক্রবার মধ্যরাতে ঢাবির হলগুলোতে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের তিনি এ কথা জানান।
শুক্রবার সকালে ঢাবির ১৮টি হলে ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপরই ওই কমিটি নিয়ে নানা সমালোচনা ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এর প্রতিবাদে এবং হলগুলোতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ছাত্রদের বিভিন্ন হল থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। একপর্যায়ে রোকেয়া হল ও শামসুন্নাহার হলের ছাত্রীরা গেটের তালা ভেঙে বের হয়ে এসে তাদের সঙ্গে যোগ দেন। রাত ১টার দিকে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।
রাত ২টার দিকে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান ও প্রক্টর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে বাসভবনের সামনে আসেন। এ সময় তাঁদের সঙ্গে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের প্রায় এক ঘণ্টা আলাপ-আলোচনা হয়। পরে উপাচার্য বলেন, ‘হল পর্যায়ে ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই হল প্রভোস্টের নেওয়া সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘হল পর্যায়ে ছাত্ররাজনীতি নিয়ন্ত্রিত থাকবে।’
উপাচার্যের ওই বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা ‘না, না’ বলে আপত্তি জানান এবং হলগুলোতে সম্পূর্ণভাবে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি করেন। তারা হলে হলে শিবিরের গুপ্ত কমিটি প্রকাশ ও ছাত্রদল কমিটির সদস্যদের শাস্তির দাবিও জানান।
শেষ পর্যন্ত প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ স্পষ্টভাবে ঘোষণা দেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে। এই ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা হাততালি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং স্লোগান দেন— ‘এই মুহূর্তে খবর এল, হল পলিটিকস নিষিদ্ধ হলো।’
পরে রাত ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ হলে ফিরে যান।