টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের তিন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৯ মে) ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।  

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়নের কলিয়া ছয়আনীপাড়া এলাকার মৃত লেবু মিয়ার ছেলে ও কাউলজানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান বাহাদুর, বাসাইল পৌরসভার বর্নিকিশোরী এলাকার মৃত মজিবর রহমানের ছেলে ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি তায়েবুর রহমান ওরফে তুলা মিয়া এবং উপজেলার পূর্বপৌলীর বিলপাড়া এলাকার লাল মিয়ার ছেলে ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিনহাজ মিয়া।

পুলিশ জানায়, বাসাইল থানা ও টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশের সমন্বয়ে বাসাইল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ১৩ নভেম্বর টাঙ্গাইল সদর থানায় হওয়া দ্রুত বিচার আইনের একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

আইভী কারাগারে

নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র আইভী গ্রেপ্তার

বাসাইল থানার ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, “টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশের সমন্বয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

ঢাকা/কাওছার/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ গ র প ত র কর সদর থ ন আওয় ম উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় কথিত বিএনপি নেতার হামলায় সাংবাদিকসহ আহত ৩

ফতুল্লায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কথিত বিএনপি নেতার হামলায় আহত হয়েছে জাগো নিউজের প্রতিনিধি, ক্যামেরা ম্যানসহ ৩ জন। ওই সময়ে তারা ক্যামেরা ও মোবাইল ভাঙচুর করেছে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী বাহিনী তিনজনকে আটকে বেধড়ক মারধর করেছে। 

তাদের নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর)বিকেলে ফতুল্লার গিরিধারা বউবাজার এলাকাতে ওই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ হামলাকারী কথিত বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেনকে (৬০) আটক করেছে। সে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি আতা-ই-রাব্বির বাবা।

জাগো নিউজের সাংবাদিক মো. আকাশ জানান, গিরিধারা বউবাজার এলাকাতে এক নারীর অভিযোগ ছিল তাদের জমি দখল করে রেখেছিল বিএনপির নামধারী নেতা শাহাদাত ও তার ছেলে রাব্বি। ওই ঘটনায় নারী ফতুল্লা থানায় একাধিকবার জিডি করেছেন। বিষয়টি জানতে বুধবার বিকেল ৪টায় ঘটনাস্থলে যাই। 

সেখানে গিয়ে নারীর সঙ্গে কথার খবর পেয়ে শাহাদাত লোকজন নিয়ে এসে অতর্কিত হামলা করে। আমার সঙ্গে থাকা ক্যামেরাম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন ও আয়াজকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।

এক পর্যায়ে টেনে হেচড়ে একটি রুমে আটকে লাঠিসোটা ও রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। তাদের সঙ্গে থাকা ক্যামেরা ও মোবাইল ভেঙে ফেলে। পরে রুমে আটকে মোবাইল ভাঙচুর করে।

খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সঙ্গেও অশোভন আচরণ করা হয়। পুলিশ গিয়ে তিনজনকে উদ্ধার করেছে। তাদের খানপুরে ৩০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, শাহাদাতকে আটক করা হয়েছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নরসিংদীতে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার আরও ৩
  • ফতুল্লায় কথিত বিএনপি নেতার হামলায় সাংবাদিকসহ আহত ৩