পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে ফোন, উত্তেজনা কমানোর আহ্বান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিওর
Published: 10th, May 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গতকাল শুক্রবার পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তিনি পাকিস্তান ও ভারতকে উত্তেজনা কমাতে পথ খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে যেন এমন সংঘাত এড়ানো যায়, সে লক্ষ্যে গঠনমূলক আলোচনা শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কো রুবিও।
পাকিস্তান জানিয়েছে, আজ শনিবার ভোরে তারা ভারতে সামরিক অভিযান শুরু করেছে। এ অভিযানে ভারতের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত একটি ক্ষেপণাস্ত্রাগারসহ একাধিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান এ সংঘাতকে গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে মনে করা হচ্ছে।
দক্ষিণ এশিয়ার এই পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই দেশ গত বুধবার থেকে একে অপরকে লক্ষ্য করে পাল্টাপাল্টি হামলা চালাচ্ছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে ভারত পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর উত্তেজনার পারদ বেড়ে যায়।
ভারতের দাবি, কাশ্মীরের একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে হামলার জবাব হিসেবে তারা ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সংঘাতে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর গোলাগুলি হচ্ছে। গত কয়েক দশকের মধ্যে এটিকে দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত দুই দেশের ৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পরর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
দাম না কমলে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি, ২,৮০০ আবেদন জমা মন্ত্রণালয়ে
দেশে পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই। কৃষি মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ সংরক্ষণ সুবিধাজনক করার জন্য ১০ হাজার মেশিন বিতরণ করেছে। ফলে পেঁয়াজ সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটেছে। এদিকে ১০ দিন ধরে পেঁয়াজের দাম বাড়তে দেখা গেছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এসব তথ্য জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে বাজারে দাম না কমলে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে দাম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলে আর অনুমতি দেওয়া হবে না।
আজ রোববার ঢাকায় সচিবালয়ে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে হঠাৎ সংবাদ সম্মেলন করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। এ সময় বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘পেঁয়াজ আমদানি করতে ইচ্ছুক ২ হাজার ৮০০ জনের আবেদন আছে মন্ত্রণালয়ে। এর ১০ শতাংশকেও যদি পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে বাজারে ধস নামবে। আমরা ধস নামাতে চাই না।’
বাংলাদেশে রপ্তানি করার জন্য স্থলবন্দরের ওপাশে অনেক পেঁয়াজ মজুত করা হয়েছে জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাদের মনে থাকার কথা পেঁয়াজের দাম ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় নেমে এসেছিল। সেটা কৃষকদের উৎপাদন ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। তবে অনেক দিন পেঁয়াজের দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকার মধ্যে ছিল। মৌসুমের শেষ সময় হওয়ায় এবং পেঁয়াজের ওজন কমে যাওয়ার কারণে সম্প্রতি দাম বাড়তে পারে।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা চাই পেঁয়াজের একটা স্বাভাবিক মূল্য পরিস্থিতি বিরাজ করুক। এতে আমরা আমাদের নিজস্ব কৃষি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারব। আমরা চাই কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, আবার ভোক্তারাও যেন ক্ষতির শিকার না হন।’
সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর কোনো তথ্য তাঁর কাছে নেই বলে সাংবাদিকদের জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা।
কয়েক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে যাওয়াকে যৌক্তিক মনে করেন কি না, জানতে চাইলে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘অবশ্যই যুক্তিসংগত নয়। তবে সামগ্রিক অর্থনীতি মাথায় রেখে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এটি কোনো সাইকেল নয় যে আমরা যেকোনো একটা গলিতে ঢুকিয়ে দিলাম।’
বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, কৃষিসচিবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সাড়ে তিন লাখ টনের মতো পেঁয়াজ মজুত আছে। চলতি মাসের মধ্যে আসবে ৮৫ থেকে ৮৭ হাজার টন এবং আগামী মাসে আসবে আড়াই লাখ টন। এরপর নিয়মিত পেঁয়াজের সরবরাহও থাকবে বাজারে।