পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার জানিয়েছেন, ভারত যদি উত্তেজনাকর পদক্ষেপ বন্ধ করে, তাহলে ইসলামাবাদও তাই করবে। শনিবার একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, “যদি সামান্যতম বিচক্ষণতা থাকে, তাহলে ভারতও থামবে এবং যদি তারা থামে, তাহলে আমরাও থামব।”

তিনি বলেন, “আমরা সত্যিকার অর্থে কোনো একটি দেশের আধিপত্য ছাড়াই শান্তি চাই।”

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানের হামলায় ক্ষতি হয়েছে, তবে সীমিত মাত্রায়: ভারত

পারমাণবিক অস্ত্র কমিটির কোনো বৈঠক ডাকা হয়নি: খাজা আসিফ

মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানের কয়েকটি এলাকায় হামলা শুরু করে ভারত। ওই রাতেই পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমানকে ধ্বংস করে। এ ঘটনার পর দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। শনিবার পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা সাম্প্রতিক ‘ভারতীয় আগ্রাসনের’ প্রতিশোধ হিসেবে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। ইসলামাবাদ এই অভিযানের নাম দিয়েছে ‘বুনইয়া নুম মারসুস’ যার অর্থ সীসা ঢালা প্রাচীর।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

এবার রাশিয়াকে ন্যাটোর হুমকি

সদস্যদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘনের মতো উত্তেজনাপূর্ণ কর্মকাণ্ড বন্ধে রাশিয়াকে সতর্ক করেছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। আজ মঙ্গলবার রাশিয়াকে সতর্ক করে বার্তা দিয়েছে তারা। এর আগে গত সপ্তাহে এস্তোনিয়ার আকাশসীমায় একটি যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়ার ঘটনায় জরুরি বৈঠক করেছিল ন্যাটো।

ন্যাটোভুক্ত ৩২টি সদস্যদেশ এক বিবৃতিতে বলেছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য রাশিয়া সম্পূর্ণভাবে দায়ী। এটি উত্তেজনা বাড়ায়, ঝুঁকি সৃষ্টি করে এবং প্রাণহানি ঘটাতে পারে। এসব অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে রাশিয়ার কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয় যে ন্যাটো ও তার মিত্ররা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নিজেদের রক্ষা করতে এবং যেকোনো ধরনের হুমকি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সামরিক ও বেসামরিক উপায় ব্যবহার করবে।

আরও পড়ুনপোল্যান্ডের আকাশে ন্যাটোর প্রতিরক্ষা মিশনে যোগ দিয়েছে যুক্তরাজ্য বিমানবাহিনীর জেট২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গত শুক্রবার রাশিয়ার বেশ কয়েকটি সশস্ত্র যুদ্ধবিমান প্রায় ১২ মিনিটের জন্য আকাশসীমা লঙ্ঘন করে এস্তোনিয়ার সীমান্তে ঢুকে যায়। এরপরই ন্যাটোর প্রতিষ্ঠা চুক্তির ৪ অনুচ্ছেদের অধীনে জরুরি পরামর্শ সভা আহ্বান করে দেশটি। এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর ইউক্রেনে হামলার সময় পোল্যান্ডের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে রাশিয়ার ড্রোন। তবে পোল্যান্ডের সেনাবাহিনী ড্রোনগুলো ভূপাতিত করেছে।

পোল্যান্ডে ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়ায় মস্কো থেকে আসা হুমকি মোকাবিলায় পূর্ব সীমান্তের প্রতিরক্ষা আরও শক্তিশালী করার ঘোষণা দেয় ন্যাটো। দুই পক্ষের উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় ভয় হচ্ছে যে এই পরিস্থিতি বজায় থাকলে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ ন্যাটোর সীমান্ত অতিক্রম করতে পারে।

পোল্যান্ড ও রোমানিয়ার পাশাপাশি লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া ও ফিনল্যান্ডসহ পূর্ব সীমান্তের অন্য দেশগুলোও সম্প্রতি তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘনের মুখোমুখি হয়েছে। ন্যাটোর বিবৃতিতে সদস্যদেশগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, মিত্ররা রাশিয়ার এই কর্মকাণ্ড ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডের কারণে ইউক্রেনকে সমর্থনের প্রতি তাদের স্থায়ী প্রতিশ্রুতিতে কোনোভাবে বিচলিত হবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ