ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে চায়না ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশনস গ্রুপের (সিআইসিজি) সভাপতি ড. তু চান ইউয়ান ও তার প্রতিনিধি দল বৈঠক করেছেন। ড. তু চান ইউয়ান চীন সরকারের একজন সাবেক উপমন্ত্রী।

সোমবার (১২ মে) সকালে ঢাবির কলা ভবনস্থ সেন্টার ফর চায়নিজ স্টাডিজে সিআইসিজি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর লি শাওফেং, ঢাবির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড.

রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক অধ্যাপক ড. সামসাদ মুর্তূজা, সিসিএস-এসআইআইএস এর পরিচালক ড. লিও জংই, টংজি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জুও, ফরেন ল্যাংগুয়েজেস প্রেসের প্রেসিডেন্ট হু কাইমিন, সিআইসিজি‘র কালচারাল এক্সেচেঞ্জ সেন্টারের পরিচালক জেং জিনটিং, ঢাবির কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ইয়াং হুই এবং সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজ ও সাংহাই ইনস্টিটিউটস ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অ্যালামনাইরা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

চীনের নানজিং ইউনিভার্সিটির সঙ্গে ঢাবির সমঝোতা

ঢাবির ব্যবসায় ইউনিটের পুনঃভর্তি পরীক্ষা ১৭ মে

বৈঠকে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “চীনের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বহু প্রাচীন ও গভীর। চীন এবং বাংলাদেশের মধ্যে শিক্ষা-গবেষণা ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি করতে হলে বাংলা ও চীনা ভাষায় পাঠ্যপুস্তক অনুবাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে হবে।”

তিনি বলেন, “চীনের সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের এই সম্পর্ক রাজনীতির ঊর্ধ্বে। চীনের সঙ্গে শিক্ষা-গবেষণা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে এই সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছিয়েছে। এটিকে আরো এগিয়ে নিতে চাই। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট ও ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।”

চায়না ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশনস গ্রুপের (সিআইসিজি) সভাপতি ড. তু চান ইউয়ান বলেন, “আশা করি ঢাবির সঙ্গে যৌথ সহযোগিতামূলক কাজ আরো বৃদ্ধি পাবে। শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা দুই পক্ষই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমাদের চ্যালেঞ্জ একই। একসঙ্গে কাজ করলে সেগুলো দ্রুতই আমরা উতরে যেতে পারব।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স আইস জ ইনস ট ট আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

পিআর পদ্ধতিতে স্থায়ী সরকারব্যবস্থা হয় না: সালাহউদ্দিন আহমদ

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচন ব্যবস্থা প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, পিআর পদ্ধতি হচ্ছে একটি পার্মানেন্ট রেস্টলেসনেস, যার মধ্য দিয়ে সব সময় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকে। এটা বিভিন্ন দেশে দেখা গেছে।

সালাহউদ্দিন আহমদ মন্তব্য করেন, পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে কোনো স্থায়ী সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় না। কখনো সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সরকার গঠন করা সম্ভব হয় না। একটি ঝুলন্ত পার্লামেন্ট থাকে।

আমরা পিআর মানে মনে করি, পাবলিক রিলেশনস। আমরা পিআর মানে মনে করি, জনসংযোগ। এখন সবাই জনসংযোগে আছে। সেই পিআরে আমরা বিশ্বাস করি।—সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য।

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতিতে কোনো বিভাজন বিএনপি চায়নি, চায়ও না। সামনেও দলটি এ ধরনের রাজনীতি করবে না। গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবাইকে অংশ নিতে হবে।

আরও পড়ুনপিআর সম্পর্কে ধারণা নেই ৫৬ শতাংশের২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি আরও বলেন, একটা জরিপে ৫৬ শতাংশ মানুষের পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা নেই বলে জেনেছেন। আরেক জরিপে দেখেছেন, কোনো একটা দল বলছে, ৭০ শতাংশ লোক পিআর চায়। এই দুই জরিপের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যদি ৫৬ পার্সেন্ট মানুষ পিআর পদ্ধতি না-ই বোঝে, তাহলে ৭০ পার্সেন্ট মানুষ কীভাবে পিআর পদ্ধতি চায়, সেটি আমাদের বুঝে আসে না।’

পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা পিআর মানে মনে করি, পাবলিক রিলেশনস। আমরা পিআর মানে মনে করি, জনসংযোগ। এখন সবাই জনসংযোগে আছে। সেই পিআরে আমরা বিশ্বাস করি। যারা প্রোপোশনাল রিপ্রেজেন্টেটিভ মানে, পার্মানেন্ট রেস্টলেসনেস প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তারা সফল হবে না।’

আরও পড়ুনপিআর মানে হলো ‘পারমানেন্ট রেস্টলেসনেস’: সালাহউদ্দিন আহমদ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দেশের জনগণ এখন নির্বাচনমুখী উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, দেশে এখন নির্বাচনী আমেজ চলছে। সব প্রার্থী, সম্ভাব্য প্রার্থী এবং জনগণ জনসংযোগে আছেন। এ অবস্থায় কোনো দল যদি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে, নির্বাচন অনুষ্ঠান বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তাহলে জনগণ তাদের চিহ্নিত করবেন। রাজনৈতিকভাবে তাদের প্রত্যাখ্যান করারও সম্ভাবনা আছে।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াতে বাধা সৃষ্টি করতে কেউ কেউ ষড়যন্ত্র করছে। এখানে আন্তর্জাতিক মহলও থাকতে পারে।

আরও পড়ুন‘৭০ ভাগ জনগণ পিআর পদ্ধতির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে’১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজীপুরে ড্রাম ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
  • ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক মারা গেছেন
  • ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক আর নেই
  • গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা: ধর্ম উপদেষ্টা
  • বারডেম হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক
  • পিআর পদ্ধতিতে স্থায়ী সরকারব্যবস্থা হয় না: সালাহউদ্দিন আহমদ