ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে সিআইসিজি প্রধানের সাক্ষাৎ
Published: 12th, May 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে চায়না ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশনস গ্রুপের (সিআইসিজি) সভাপতি ড. তু চান ইউয়ান ও তার প্রতিনিধি দল বৈঠক করেছেন। ড. তু চান ইউয়ান চীন সরকারের একজন সাবেক উপমন্ত্রী।
সোমবার (১২ মে) সকালে ঢাবির কলা ভবনস্থ সেন্টার ফর চায়নিজ স্টাডিজে সিআইসিজি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর লি শাওফেং, ঢাবির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড.
আরো পড়ুন:
চীনের নানজিং ইউনিভার্সিটির সঙ্গে ঢাবির সমঝোতা
ঢাবির ব্যবসায় ইউনিটের পুনঃভর্তি পরীক্ষা ১৭ মে
বৈঠকে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “চীনের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বহু প্রাচীন ও গভীর। চীন এবং বাংলাদেশের মধ্যে শিক্ষা-গবেষণা ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি করতে হলে বাংলা ও চীনা ভাষায় পাঠ্যপুস্তক অনুবাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে হবে।”
তিনি বলেন, “চীনের সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের এই সম্পর্ক রাজনীতির ঊর্ধ্বে। চীনের সঙ্গে শিক্ষা-গবেষণা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে এই সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছিয়েছে। এটিকে আরো এগিয়ে নিতে চাই। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট ও ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।”
চায়না ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশনস গ্রুপের (সিআইসিজি) সভাপতি ড. তু চান ইউয়ান বলেন, “আশা করি ঢাবির সঙ্গে যৌথ সহযোগিতামূলক কাজ আরো বৃদ্ধি পাবে। শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা দুই পক্ষই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমাদের চ্যালেঞ্জ একই। একসঙ্গে কাজ করলে সেগুলো দ্রুতই আমরা উতরে যেতে পারব।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স আইস জ ইনস ট ট আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
পরিপত্র জারি হলে আ.লীগের ওয়েবসাইট-ফেসবুক বন্ধে পদক্ষেপ: ফয়েজ আহমদ
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে পরিপত্র জারির পর দলটির ওয়েবসাইট, ফেসবুক ও ইউটিউব বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব প্রথম আলোকে এ কথা বলেছেন।
গতকাল শনিবার রাতে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও দলটির নেতাদের বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়।
সাইবার স্পেসে নিষিদ্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে আজ রোববার ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের পরিপত্র জারির পর বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে সরকারের হাতে সবকিছু বন্ধ করার ক্ষমতা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার শুধু ওয়েবসাইট ব্লক (বন্ধ) করতে পারে। সে ক্ষেত্রে পরিপত্র হলে আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইট ব্লক করে দেওয়ার জন্য বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও বলেন, সরকারি পরিপত্র জারি হলে ওই রেফারেন্সে বিটিআরসির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ইউটিউব, ফেসবুক ব্লক করার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোকে চিঠি দেওয়া হবে।
কনটেন্ট (আধেয়) সরানো, পেজ বা অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং তথ্য চেয়ে বিভিন্ন দেশের সরকারগুলো ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা এবং আরেক টেক জায়ান্ট গুগলের কাছে নিয়মিত অনুরোধ করে থাকে। এসব প্ল্যাটফর্ম বলে থাকে, তারা নিজস্ব নির্দেশিকা ও নীতি লঙ্ঘন করে কি না, তা পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।
মেটার স্বচ্ছতা প্রতিবেদনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, প্ল্যাটফর্মটি ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিটিআরসির অনুরোধে বাংলাদেশে ২ হাজার ৯৪০টি আইটেমে প্রবেশাধিকার সীমিত করেছে।
গুগলের স্বচ্ছতা প্রতিবেদনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে কনটেন্ট সরানোর জন্য ৪৯০টি অনুরোধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৮২৭টি আইটেম ছিল। সবচেয়ে বেশি ৩৩৭টি অনুরোধ ছিল প্রথম ৬ মাসে। প্রথম ৬ মাসে গুগল ৬৮ দশমিক ২ শতাংশ ক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরের ৬ মাসে ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ ক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুনবিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ১০ মে ২০২৫