নিবন্ধন নিয়ে জামায়াতের আপিলের ওপর পরবর্তী শুনানি আগামীকাল
Published: 13th, May 2025 GMT
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের (আংশিক শ্রুত) ওপর আগামীকাল বুধবার শুনানি হবে।
আজ মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ শুনানির পরবর্তী এ দিন রাখেন।
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে দলটির করা আপিল (আংশিক শ্রুত) আগের ধারাবাহিকতায় আজ আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ২ নম্বর ক্রমিকে ওঠে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী ২০১৩ সালে আপিলটি করে। এই আপিলের সঙ্গে ২০১৩ সালে দলটির করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) এবং প্রতীক বরাদ্দ বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে করা একটি আবেদনও একই ক্রমিকে কার্যতালিকায় ওঠে।
আদালতে আপিলকারী পক্ষে আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক, ইমরান এ সিদ্দিক ও মোহাম্মদ শিশির মনির শুনানিতে ছিলেন। ইসির পক্ষে আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম শুনানিতে অংশ নেন। আজ সকাল ১০টা ২ মিনিটে শুনানি শুরু হয়ে বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে।
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া নিবন্ধন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ রায় দিয়েছিলেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে দলটির নিবন্ধন দেওয়া অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে অপর বিচারপতি নিবন্ধন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) করা দলটির আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির পক্ষে মত দেন।‘আদালতের আদেশে নিবন্ধন বাতিল প্রথম’
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া নিবন্ধন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ রায় দিয়েছিলেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে দলটির নিবন্ধন দেওয়া অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে অপর বিচারপতি নিবন্ধন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) করা দলটির আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির পক্ষে মত দেন।
আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির বিষয়টি সমর্থন করে আপিলকারী পক্ষের আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক শুনানিতে বলেন, আদালতের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল এটিই প্রথম। এ ছাড়া আপিল বিচারাধীন অবস্থায় ফুল কোর্ট সভার রেজল্যুশনে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতীক হিসেবে ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক বরাদ্দ না দিতে ইসিকে বলা হয়। প্রশাসনিক এই আদেশের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দলটি (জামায়াতে ইসলামী)। আগে ওই প্রতীক নিয়ে দলটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল।
আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ইসি
আদালতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, নিবন্ধন বিষয়ে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন করেছে ইসি। রায়ের বিরুদ্ধে ইসি আপিল করেনি। এ বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ইসি।
ফুল কোর্ট সভার সিদ্ধান্ত যা ছিল
ফুল কোর্ট সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রতীকের তালিকা থেকে দাঁড়িপাল্লা বাদ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে ইসির আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এর সঙ্গে নিবন্ধনের বিষয়টি সম্পর্কিত নয়। নিবন্ধন ও প্রতীক দুটি আলাদা বিষয়। এখন তারা (জামায়াত) অন্য কোনো প্রতীক বরাদ্দ চাইলে আইন অনুসারে তা বরাদ্দ দেওয়া যেতে পারে।
কোনো রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীকে প্রতীক হিসেবে দাঁড়িপাল্লা বরাদ্দ না দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। চিঠির ভাষ্য, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের উপস্থিতিতে ১২ ডিসেম্বর (২০১৬ সাল) ফুল কোর্ট সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, দাঁড়িপাল্লা ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে একমাত্র সুপ্রিম কোর্টের মনোগ্রামে ব্যবহৃত হবে। অন্য কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার না করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানানো হোক।
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দলটির করা আপিল ও লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর খারিজ করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আপিলকারীর পক্ষে সেদিন কোনো আইনজীবী না থাকায় আপিল বিভাগ ওই আদেশ (ডিসমিসড ফর ডিফল্ট) দেন। পরে দেরি মার্জনা করে আপিল ও লিভ টু আপিল পুনরুজ্জীবিত চেয়ে দলটির পক্ষ থেকে পৃথক আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে গত বছরের ২২ অক্টোবর আপিল বিভাগ আবেদন মঞ্জুর (রিস্টোর) করে আদেশ দেন।চিঠির শেষাংশে বলা হয়, এ অবস্থায় সুপ্রিম কোর্টের ফুল কোর্ট সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতীক হিসেবে বা কোনো নির্বাচনে প্রার্থীর প্রতীক হিসেবে দাঁড়িপাল্লা বরাদ্দ প্রদান না করা এবং যদি বরাদ্দ করা হয়ে থাকে, তাহলে ওই বরাদ্দ বাতিল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
মামলার পূর্বাপর
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দলটির করা আপিল ও লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর খারিজ করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আপিলকারীর পক্ষে সেদিন কোনো আইনজীবী না থাকায় আপিল বিভাগ ওই আদেশ (ডিসমিসড ফর ডিফল্ট) দেন। পরে দেরি মার্জনা করে আপিল ও লিভ টু আপিল পুনরুজ্জীবিত চেয়ে দলটির পক্ষ থেকে পৃথক আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে গত বছরের ২২ অক্টোবর আপিল বিভাগ আবেদন মঞ্জুর (রিস্টোর) করে আদেশ দেন।
এরপর জামায়াতের আপিল ও লিভ টু আপিল শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে। গত ৩ ডিসেম্বর শুনানি শুরু হয়। এরপর আরও কয়েক দিন শুনানি হয়। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হয়। প্রতীক বরাদ্দ বিষয়ে দলটির করা একটি আবেদন গতকাল সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে ওঠে। এদিন চেম্বার আদালত ১৩ মে (আজ মঙ্গলবার) আপিলের সঙ্গে শুনানির জন্য আবেদনটি ট্যাগ (একসঙ্গে) করেন।
রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট করেন সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি।
রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ। একই সঙ্গে আদালত এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেন, যা একই বছর আপিল হিসেবে রূপান্তরিত হয়। পাশাপাশি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে দলটি।
তবে হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পরপরই তা স্থগিত চেয়ে জামায়াত আবেদন করে, যা ২০১৩ সালের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের তৎকালীন চেম্বার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। এরপর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২৪ সালের ১ আগস্ট জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরপর জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে জারি করা আগের প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র আপ ল ব ভ গ আপ ল ও ল ভ ট র ব চ রপত ২০১৩ স ল ড স ম বর ইসল ম ক সদস য র আইনজ ব ন র জন র জন য ট র কর আগস ট
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় সাবেক বিএনপি নেতাকে আইনজীবী হত্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে পরবর্তী সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কুমিল্লার আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ। এ হত্যা মামলায় ইসতিয়াক সরকার ওরফে বিপু নামের এক বিএনপি নেতাকে রাজনৈতিকভাবে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর ভাই কুমিল্লা মহানগরের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইমতিয়াজ সরকার ওরফে নিপু।
ইসতিয়াক সরকারের পরিবারের দাবি, সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে লড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। সে কারণে দলের আরেকটি পক্ষ এক আসামির জবানবন্দির মাধ্যমে তাঁকে ওই আইনজীবী হত্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইসতিয়াককে হত্যার মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করেন কুমিল্লা মহানগরের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও ইসতিয়াকের বড় ভাই ইমতিয়াজ সরকার ওরফে নিপু।
ইসতিয়াক সরকার কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি ও মহানগরের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক।
সংবাদ সম্মেলনে ইমতিয়াজ সরকার দাবি করেন, ইসতিয়াক সরকার দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়। কিছুদিন আগে তিনি মহানগরের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক হওয়ার পর সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে লড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু নেতা এবং বিএনপির ভেতরের বিরোধী মহল ষড়যন্ত্র শুরু করে। এরই অংশ হিসেবে আইনজীবী হত্যাকাণ্ডে তাঁকে জড়ানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ওই দিন বিকেলে নগরের প্রতিটি সড়কে বিজয় মিছিলের পাশাপাশি নানা সহিংসতা চলে। সেদিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কুমিল্লার আদালতে হামলার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান আইনজীবী ফোরাম কুমিল্লা শাখার যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী। পরে তাঁরা মাগরিবের নামাজের জন্য নগরের মোগলটুলী এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাঁদের ওপর হামলা ও গুলি করে। এ ঘটনায় আবুল কালাম আজাদ কোমরে গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সংকটাপন্ন অবস্থায় ওই রাতেই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাঁকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ আগস্ট বিকেলে তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় হওয়া মামলায় ইসতিয়াক সরকারের নাম নেই। তবে প্রায় সাত মাস আগে অনিক নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ওই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে ইসতিয়াক সরকারের নাম উল্লেখ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইমতিয়াজ বলেন, ওই আইনজীবী হত্যাকাণ্ডের দিন দুপুরে ইসতিয়াক বিজয় মিছিল নিয়ে পূবালী চত্বরে যান এবং বিকেলে পুলিশের অনুরোধে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় উপস্থিত হয়ে সেখানেই অবস্থান করেন। থানার সিসিটিভি ফুটেজ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভিডিওতে বিষয়টি প্রমাণিত হলেও অনিক নামের এক আসামির জবানবন্দির মাধ্যমে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাঁর নাম মামলায় যুক্ত করা হয়েছে। দলের আরেকটি পক্ষ তাঁর ভাইকে এ মামলায় জড়িয়েছে যেন তিনি নির্বাচন করতে না পারেন। এ ছাড়া ওই হত্যা মামলার বাদীও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিওতে জানিয়েছেন যে তিনি ইসতিয়াক সরকার নামের কাউকে চেনেন না।
আইনজীবী হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে ইমতিয়াজ সরকার বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে নির্দোষ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না। আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে হয়রানির অবসান চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কবির হোসেনসহ স্থানীয় ও মহানগর বিএনপির নেতা–কর্মীরা।
আজ বিকেলে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে। এতে মোট ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। পুলিশ তদন্তে যা পেয়েছে, সেটাই অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছে। ওই ৩৫ জনের মধ্যে ইসতিয়াক সরকারের নাম রয়েছে। এখন বাকিটা বিজ্ঞ আদালতের বিষয়। আমাদের হাতে এখন আর কিছু নেই।’