এমবাপ্পের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা পিএসজির, ক্ষতিপূরণ দাবি
Published: 13th, May 2025 GMT
কিলিয়ান এমবাপ্পে ও পিএসজির লড়াইয়ে এবার নতুন এক অধ্যায় যোগ হয়েছে। যে অধ্যায়ে প্যারিসের ক্লাবটি তাদের সাবেক খেলোয়াড় এমবাপ্পের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি স্ট্রাইকারের বিরুদ্ধে কোটি কোটি ইউরোর মানহানি মামলা করেছে পিএসজি।
ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম আরএমসি স্পোর্ত গতকাল খবর দিয়েছে, পিএসজি প্রথমে আদালতে একটি আবেদন করে যে এমবাপ্পের অভিযোগের ভিত্তিতে ক্লাবটির ব্যাংক হিসাবে ৫ কোটি ৫০ লাখ ইউরো জব্দ করে রাখার যে আদেশ দিয়েছেন, সেটা যেন তুলে নেন।
পিএসজির দাবি, এমবাপ্পে তাদের কাছ থেকে কোনো অর্থ পাবেন না। তারাই বরং এমবাপ্পের কাছে ৯ কোটি ৮০ লাখ ইউরো পাবে। এই অর্থ পিএসজি মূলত দাবি করেছে ক্লাবের মানহানির ক্ষতিপূরণ হিসেবে। এর জন্য পিএসজি একটি ক্ষতিপূরণ মামলাও করেছে বলে জানিয়েছে আরএমসি স্পোর্ত।
পিএসজি থেকে বলা হচ্ছে, এমবাপ্পে যে তাদের কাছে পাওনা হিসাবে ৫ কোটি ৫০ লাখ ইউরো দাবি করছেন, সেটার দ্রুত নিষ্পত্তি চায় তারা। কিন্তু এ ব্যাপারে এমবাপ্পের দিক থেকে খুব একটা সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছিল, ২৬ মে পরবর্তী শুনানির দিনই বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ার কথা। এর মধ্যেই পিএসজি এমবাপ্পের বিরুদ্ধে মামলা করে বসল।
তবে এমবাপ্পের এ নিয়ে কোনো ভয় নেই বলেই দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবী। আইনজীবীর কথা, সবকিছু তাঁদের পক্ষেই আছে।
আরও পড়ুনএমবাপ্পে ক্ষমা চেয়েছেন, ভুল বুঝতে পেরেছেন১৪ এপ্রিল ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভাইকে বাঁচাতে বান্ধবীকে ফাঁসানোর অভিযোগ
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ঘুমন্ত অবস্থায় বান্ধবীর ছবি তুলেছিলেন ভাই। বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানালে ভাইকে বাঁচাতে উল্টো বান্ধবীর নামে মিথ্যা চুরির মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে তানিয়া হক নামের এক নারীর বিরুদ্ধে।
এছাড়াও চুরির ঘটনার কোনো তদন্ত ছাড়াই মামলা নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনা জেলা জজকোর্টের সামনে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন ভুক্তভোগী নারী ইফফাত মোকাররমার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল।
পাবনা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আখতারুজ্জামানের আদালত ভুক্তভোগী নারী ইফফাত মোকাররমা সানিমুনকে জামিন দিয়েছেন।
অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল বলেন, “আমার মক্কেল ইফফাত মোকাররমা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতায় পেশায় নিয়োজিত। তিনি একজন সম্মানিত লোক। মামলার বাদীর সঙ্গে তার দীর্ঘদিন বন্ধুত্বের সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের কারণে তার বান্ধবীর বাসায় গিয়েছিলেন এবং একসঙ্গে ঘোরাঘুরির পর যখন রাত্রীযাপন করছিলেন সেই সময়ে বাদীর ভাই ইফফাত মোকাররমার ছবি তুলেছিলেন। বিষয়টি টের পেয়ে তিনি তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানান এবং ছবিগুলো দেখানোর জন্য অনুরোধ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরেরদিন সকালে আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলে ইফফাত মোকাররমা ঢাকায় চলে যান এবং সেখানে জিডি করেন। কিন্তু এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে উল্টো ইফফাত মোকাররমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চুরির মামলা দায়ের করেন তার বান্ধবী।”
তিনি আরো বলেন, “বাদী তানিয়া হক উল্লেখ করেছেন ২৬ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়েছে যা তিনি তার শরীরে পড়ে তার বান্ধবীর সঙ্গে ঘুড়ে বেড়িয়েছিলেন। কিন্তু ওইদিনের ঘোরাঘুরির ছবিতে তার শরীরে কোনো স্বর্ণালঙ্কার ছিল না। এছাড়াও ঘটনার দুইদিনের মাথায় যেভাবে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে তাতে বোঝা যায় কোনো তদন্ত ছাড়াই থানা কোনো পক্ষ থেকে প্রভাবিত হয়ে মামলা গ্রহণ করেছেন।”
ভুক্তভোগী নারী ইফফাত মোকাররমা বলেন, “এই মামলার নূন্যতম প্রমাণ নেই। আমি যে একজন শিক্ষক হিসেবে আমার ছাত্রদের সামনে দাঁড়াবো সেই অবস্থাও তারা আমাকে রাখেনি। আমার সন্তানসহ পুরো পরিবার সামাজিকভাবে হেয় পতিপন্ন হচ্ছে। আমি চাই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
এ বিষয়ে মামলার বাদীর তানিয়া হকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, “উনি (আইনজীবী) উনার মক্কেলের জন্য এসব কথা বলতেই পারেন। উনার মক্কেলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য এসব অভিযোগ করেছেন। কিন্তু ঘটনার তদন্ত করে এবং আইনানুগভাবেই মামলা দায়ের হয়েছে, যা এখনও তদন্ত চলছে।”
ঢাকা/শাহীন/এস