পঞ্চগড়ে ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ঠেলে পাঠানো (পুশইন) নারী, শিশুসহ ১১ বাংলাদেশির মধ্যে ১০ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তাঁদের সঙ্গে আসা ১০ বছর বয়সী একটি শিশুকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে অভিভাবকের কাছে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গতকাল শনিবার রাতে গ্রেপ্তার ১০ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। পঞ্চগড়ের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ আকতার তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ সময় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের পক্ষে কোনো জামিন আবেদন করা হয়নি বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে সন্ধ্যায় বিজিবির নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন ডানাকাটা বিওপির জেসিও নায়েব সুবেদার দিলীপ কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে বোদা থানায় এই ১১ জনের নামে অনুপ্রবেশের অভিযোগে পাসপোর্ট আইনে একটি মামলা করেন। পরে রাতে ১১ জনের মধ্যে ১০ জনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিজিবির সহায়তায় আদালতে হাজির করে পুলিশ।

এর আগে গত শুক্রবার গভীর রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত বোদা উপজেলার কাজলদীঘি কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়ন ও বড়শশী ইউনিয়নের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে ডানাকাটা ও মালকাডাঙ্গা বিওপির বিজিবির সদস্যরা নারী, শিশুসহ মোট ১১ জনকে আটক করেন। বিএসএফ তাঁদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে বলে বিজিবি সূত্রে জানা গেছে। তবে এ ঘটনায় গতকাল সকালে মালকাডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠকে ঠেলে পাঠানোর বিষয়টি বিএসএফ অস্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।

আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর রিয়াদ মোর্শেদ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, সীমান্তে আটক হওয়া ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় কাজ করতেন বলে জানা গেছে। তাঁদের ভারতীয় পুলিশ আটক করে মুম্বাই থেকে এনে বিএসএফের কাছে তুলে দিয়েছে। পরে তাঁদের সীমান্ত আনা হয়েছে বলে আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। সীমান্তে তাঁদের ঠেলে পাঠানো হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় আটকের পর তাঁদের বোদা থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে মামলা করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বাড়ি সাতক্ষীরা, নারায়ণগঞ্জ, নড়াইল, যশোর, নোয়াখালী, নরসিংদী, খুলনা ও মুন্সিগঞ্জ জেলায়।

বোদা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ জনকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিনাজপুর এলআই বিজিবির উপপরিদর্শক (এসআই) অনিল কুমার রায়ের মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ১০ বছর বয়সী শিশুটিকে বিজিবি ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রকৃত অভিভাবকের কাছে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

আরও পড়ুনপঞ্চগড় সীমান্তে ভারত থেকে অবৈধ পথে আসা ১১ বাংলাদেশি আটক১৭ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ১০ জনক ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

ঝিনাইদহ সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আটক ১৭

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে নারীসহ ১৭ জনকে আটক করেছে বিজিবি। আটককৃতরা খুলনা ও নড়াইল জেলার বাসিন্দা।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) উপজেলার বাঘাডাঙ্গা, কুমিল্লাপাড়া ও খোসালপুর বিওপির পৃথক অভিযানে তাদের আটক করা হয়।

মহেশপুর ৫৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক মুন্সী ইমদাদুর রহমান গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

পাঁচবিবি সীমান্ত দিয়ে একই পরিবারের ৫ সদস্যকে ফেরত পাঠাল বিএসএফ

লালমনিরহাট সীমান্ত দিয়ে ৯ বাংলাদেশিকে ঠেলে দিল বিএসএফ

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বাঘাডাংগা গ্রামের মাঠ থেকে সাতজনকে আটক করে বিজিবি। আটককৃতরা অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

এছাড়া, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লাপাড়া বিওপির পৃথক অভিযানে জিনজিরাপাড়া গ্রামের মাঠের মধ্যে হতে ছয়জনকে আটক করা হয়। দুপুর ১টার দিকে খোসালপুর বিওপির অপর এক অভিযানে আরো চারজনকে আটক করা হয়।

আটক নারীদের যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। আর পুরুষদের মহেশপুর থানায় সোপর্দ করেছে বিজিবি।

মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘‘আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলা দায়েরের মাধ্যমে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।’’

ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুই ভিক্ষুককে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • করতোয়ায় গুলিবিদ্ধ লাশ, বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু বলে ধারণা স্থানীয়দের
  • শার্শা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকসহ তিনজনকে পুশইন
  • পঞ্চগড় সীমান্তে যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার
  • ঝিনাইদহ সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আটক ১৭