Samakal:
2025-09-18@06:20:38 GMT

ছোট হয়ে আসছে দেওয়ানগঞ্জ

Published: 20th, May 2025 GMT

ছোট হয়ে আসছে দেওয়ানগঞ্জ

ভাঙনে ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে দেওয়ানগঞ্জের মানচিত্র। বছরের পর বছর চলছে ব্রহ্মপুত্র নদ ও যমুনা নদীর ভাঙন। নাব্য হ্রাস, নদীর তলদেশ ভরাট, নদী থেকে বালু উত্তোলনসহ বেশ কিছু কারণে নদনদী ভাঙছে। নদীতে চলে যাচ্ছে বসতভিটা-ফসলি জমি। প্রতি বছর বাস্তুচ্যুত হচ্ছে অসংখ্য পরিবার।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সন্নাসীরচর থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের একটি শাখা যমুনা নামে ভাটিতে বয়ে গেছে। যার পশ্চিমে গাইবান্ধার ফুলছড়ি এবং পূর্বে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ। যমুনার ভাঙনের শিকার হচ্ছে এই দুই উপজেলা। অব্যাহত ভাঙনে নদীতে চলে গেছে দেওয়ানগঞ্জের খোলাবাড়ী, ডাকাতিয়া, কেল্লাকাটা, বওলাতলী খানপাড়া, বড়খাল, হলকারচর, চাকুরিয়া গ্রাম। বিলীন হয়েছে চিকাজানী, চুকাইবাড়ী ইউনিয়ন দুটির বেশির ভাগ অংশ। তবে কালের বিবর্তনে নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে বসতি গড়েছে ইউনিয়ন দুটির বেশ কিছু পরিবার। বাকি অংশে নদী ও বালুচর।
একইভাবে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন চলছে অন্তত পাঁচ যুগ ধরে। অব্যাহত ভাঙনে সানন্দবাড়ী ও ডাংধরা ইউনিয়নের মোল্লারচর, চিথুলিয়া, বাহির পশ্চিমপাড়া, পাটাধোয়াপাড়া, মুন্সিপাড়া, চুনালিপাড়া, মণ্ডলপাড়াসহ বেশ কিছু গ্রাম বিলীন। আগে যেখানে গ্রাম ছিল, আজ সেখানে নদী ও বালুচর। বালুচর হওয়ায় কোনো ফসল চাষ হচ্ছে না। সে কারণে জেগে ওঠা চরে গড়ে ওঠেনি বসতি।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় নদী রক্ষা কমিশন জামালপুর জেলা কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর সেলিমের সঙ্গে। তাঁর ভাষ্য– নাব্য হ্রাস, নদীর তলদেশ ভরাট, নদী থেকে বালু উত্তোলনসহ কয়েকটি কারণে নদনদী ভাঙছে। তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দুর্নীতিও একটা কারণ। জামালপুর জেলার মধ্যে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নদীবিধৌত। প্রতিবছর এ উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার অবিরত ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনে ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে উপজেলার মানচিত্র। ভাঙন রোধ না করা হলে এক সময় পুরো দেওয়ানগঞ্জ নদীতে চলে যাবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের মুখে রয়েছে পোল্যাকান্দি নামাপাড়া, মণ্ডলবাজার কাজলাপাড়া, ফারাজীপাড়া, চরপোল্যাকান্দি, পূর্ব পাটাধোয়াপাড়া, পশ্চিমপাড়া, পূর্ব মণ্ডলপাড়া, মৌলভীরচর। যমুনা নদীর ভাঙনের মুখে রয়েছে খোলাবাড়ীর অবশিষ্ট অংশ, চরমাগুরীহাট, হাজারীগ্রাম, চরডাকাতিয়াপাড়া, খানপাড়া, মাঝিপাড়া, বড়খালসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। চলতি বছর বর্ষা শুরু না হতেই চরডাকাতিয়াপাড়া, খানপাড়া, মাঝিপাড়া ও বড়খালের বেশ কিছু অংশে যমুনা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বেশ কিছু স্থাপনা নদীতে বিলীন। নদীতে চলে গেছে শতাধিক বিঘা আবাদি জমি।
কথা হয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর আজাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে প্রতিবছর কয়েকশ বিঘা আবাদি জমি বিলীন হয়। আগে এসব জমিতে ধান, পাট, ভুট্টা, আখসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করতেন কৃষক। প্রতিবছর ভাঙনে হ্রাস পাচ্ছে এ উপজেলার আবাদি জমি।
ইতোমধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদে নাব্য ফেরাতে খনন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ প্রকল্পের আওতায় দেওয়ানগঞ্জের পোল্যাকান্দি নামাপাড়া, পোল্যাকান্দি ব্রিজ-সংলগ্ন এলাকা ও মণ্ডলবাজার পয়েন্টে খননকাজ চলমান। এসব স্থানে ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। তবে যমুনা নদীর ভাঙন রোধে স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ফলে ভাঙনের ঝুঁকিতেই থেকে যাচ্ছে দেওয়ানগঞ্জ।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন চলছে। নদীভাঙনে নিঃস্ব মানুষের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। ফসলি জমি কমছে, কমছে খাদ্যদ্রব্য ও অর্থকরী ফসলের উৎপাদন। বাড়ছে বেকারত্ব। ছোট হয়ে আসছে দেওয়ানগঞ্জের মানচিত্র। এর পরও ভাঙনরোধে স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
বড়খাল গ্রামের শফিকুল ইসলাম বলেন, বড়খাল একটি বৃহৎ গ্রাম। গ্রামের পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদী কয়েক দশক ধরে ভাঙছে। এ গ্রামের তিন-চতুর্থাংশ নদীতে চলে গেছে। বসতভিটা ও আবাদি জমি হারিয়েছে কয়েকশ পরিবার। ভাঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা না নেওয়া হলে যেভাবে ভাঙছে, অবশিষ্ট গ্রামটুকুও রক্ষা হবে না। রাক্ষুসী যমুনায় বিলীন হয়ে যাবে হাজারো মানুষের স্বপ্ন। দেওয়ানগঞ্জের মানচিত্র থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে বড়খাল নামের গ্রামটি।
খোলাবাড়ী গ্রামের দেলোয়ার হোসেন জানান, খোলাবাড়ীসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম ইতোমধ্যে যমুনায় চলে গেছে। ভিটেমাটি, আবাদি জমি হারানো মানুষ যে যার মতো বিভিন্ন স্থানে গিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিয়েছেন। নদীতে বিলীন হয়েছে কয়েক হাজার বিঘা আবাদি জমি। প্রতিবছর ভাঙনের ফলে নদী এগিয়ে যাচ্ছে দেওয়ানগঞ্জ সদরের দিকে। সংকুচিত হচ্ছে এ উপজেলার আয়তন। দেওয়ানগঞ্জকে বাঁচাতে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন স্থায়ীভাবে রোধ করার দাবি জানান তিনি।
সানন্দবাড়ী এলাকার পশুচিকিৎসক হারুন অর রশিদ বলেন, নদী ভাঙনের ফলে শুধু মানুষের ক্ষতি হচ্ছে ব্যাপারটা এমন নয়। এতে ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে এ উপজেলার মানচিত্র।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় মোট জমির পরিমাণ ৬৯ হাজার ৪৯৮ একর। তার মধ্যে বিরাট একটা অংশ নদীতে চলে গেছে। ফলে সংকুচিত হয়ে এসেছে এ উপজেলার মানচিত্র। নদনদীর ভাঙনরোধে স্থায়ী সমাধানের জন্য পানি উন্নয়নের বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নকিবুজ্জামান খানের ভাষ্য, চলতি বছর অসময়ে যমুনা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনকবলিত চরডাকাতিয়া ও খানপাড়া গ্রামে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের জন্য সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। খুব শিগগিরই প্রকল্প তৈরি করা হবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এ উপজ ল র ব ল ন হয় ছ ট হয়

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পকে ইউক্রেনের পাশে থাকার আহ্বান রাজা চার্লসের

বিশ্বের সবচেয়ে জটিল কিছু সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেছেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস। একই সঙ্গে তিনি ‘স্বৈরাচারের (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন) বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সমর্থন’ দেওয়ার জন্য ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানান। খবর বিবিসির।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফরের প্রথম দিনে উইন্ডসর ক্যাসলে আয়োজিত রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে দেওয়া বক্তৃতায় এ কথা বলেন রাজা।

আরো পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ নিহত

সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপলেন ট্রাম্প

জবাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ সম্পর্কের প্রশংসা করে বলেন, এ সম্পর্ককে ‘বিশেষ’ শব্দ দিয়ে যথাযথভাবে বোঝানো যায় না।

উইন্ডসর ক্যাসলে ১৬০ জন অতিথির জন্য আয়োজিত জাঁকজমকপূর্ণ এই নৈশভোজে রাজার বক্তৃতায় দুই দেশের গভীর বন্ধন এবং সাংস্কৃতিক, বাণিজ্যিক ও সামরিক সম্পর্ক ধরে রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়।

ট্রাম্পের রাষ্ট্রীয় এ সফর চলবে আজ বৃহস্পতিবারও। এদিন নানা অনুষ্ঠানে মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে অংশ নেবেন ব্রিটিশ রানি ক্যামিলা ও প্রিন্সেস অব ওয়েলস।

রাজকীয় অ্যাপায়ন শেষে ট্রাম্পের আজকের কর্মসূচি রাজনৈতিক আলোচনায় রূপ নেবে। আজ বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে তার সরকারি বাড়ি চেকার্সে বৈঠক করবেন। বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনও হবে। 

বুধবারের (১৭ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় ভোজ ছিল আড়ম্বর ও রাজনীতির সমন্বয়ে সাজানো এক বিশেষ আয়োজন। ভোজে রাজা, রানি ও রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের উপস্থিতিতে ট্রাম্পকে স্বাগত জানানো হয় উইন্ডসরে।

উইন্ডসর ক্যাসলের মনোরম প্রাঙ্গণে পৌঁছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও মেলানিয়া রাজকীয় ঘোড়ার গাড়ি থেকে নামেন। সেখানে সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো সেনাদলের অভিবাদন গ্রহণ করেন তারা। 

যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তাদের মতে, বিদেশি কোনো রাষ্ট্রপ্রধানকে স্বাগত জানানোর জন্য দেশটিতে আয়োজিত স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সামরিক সংবর্ধনা ছিল এটি।

যুক্তরাষ্ট্রের অতিথিকে স্বাগত জানাতে প্রিন্স ও প্রিন্সেস অব ওয়েলসও উপস্থিত ছিলেন। তারা প্রেসিডেন্ট ও মেলানিয়ার সঙ্গে উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ এক বৈঠকও করেন।

ভোজসভায় বক্তৃতা করতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রিন্স উইলিয়ামের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে তিনি হবেন ‘অসাধারণ সফল নেতা’। প্রিন্সেস অব ওয়েলস ক্যাথরিনকে তিনি আখ্যা দেন ‘উজ্জ্বল, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ও সুন্দরী’ হিসেবে।

ট্রাম্পের ঐতিহাসিক এ দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফর প্রমাণ করেছে রাজা ও তাঁর মধ্যে সম্পর্ক বেশ ভালো। সফরে আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজে তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মুহূর্তও দেখা গেছে।

এরপর রাজপ্রাসাদে ট্রাম্প দম্পতিকে স্বাগত জানান রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানি ক্যামিলা। ট্রাম্প যখন রাজার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছিলেন, তখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ের ছয়টি কামান থেকে একযোগে ৪১ বার তোপধ্বনি করা হয়। একই সময়ে টাওয়ার অব লন্ডন থেকে একই রকম তোপধ্বনি হয়।

ট্রাম্প দম্পতিকে স্বাগত জানানোর এ আয়োজনে অংশ নেন ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর ১ হাজার ৩০০ সদস্য। ছিল শতাধিক ঘোড়া।

যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তাদের মতে, বিদেশি কোনো রাষ্ট্রপ্রধানকে স্বাগত জানানোর জন্য দেশটিতে আয়োজিত স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সামরিক সংবর্ধনা ছিল এটি।

বিবিসি বলছে, রাজকীয় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি, বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা থাকবে।

যুক্তরাজ্যে রাষ্ট্রীয় সফর হলো একধরনের নরম শক্তির কূটনীতি, যা গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য রাজকীয় আকর্ষণ ব্যবহার করে, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কেউ নেই।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্টারমার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আর্থিক সেবা, প্রযুক্তি এবং জ্বালানি খাতে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় গড়ে তুলে যুক্তরাজ্যকে আমেরিকান বিনিয়োগের প্রধান গন্তব্য হিসেবে উপস্থাপন করতে চেষ্টা করছেন। এর মাধ্যমে তিনি নিজ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করতে চাইছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফর শুরু হওয়ার সাথে সাথে, মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর সঙ্গে যুক্তরাজ্যে ৩১ বিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগের একটি বড় প্রযুক্তি চুক্তি ঘোষণা করা হয়েছে। যার মধ্যে মাইক্রোসফট থেকে ২২ বিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং পারমাণবিক শক্তিতে সহযোগিতা দেখা যাবে। 

ট্রাম্পের সফরের আগে গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট যুক্তরাজ্যের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণায় ৫ বিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ট্রাম্প-স্টারমারের বৈঠক থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলারের ব্যবসায়িক চুক্তির ঘোষণাও আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ