টেকনাফের অপহরণকারীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর গোলাগুলি, অপহৃত একজনকে উদ্ধার
Published: 6th, July 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ের আস্তানায় ডাকাত ও অপহরণকারীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অপহরণের শিকার এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও মাদক জব্দ করেছে যৌথ বাহিনী।
আজ রোববার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাহউদ্দিন রশীদ তানভীর। তিনি জানান, অপহরণকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির নাম মো.
লে. কমান্ডার সালাহউদ্দিন রশীদ তানভীর বলেন, গতকাল শনিবার মধ্যরাতে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা–সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ অবস্থান করছে এমন সংবাদ পায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে কোস্টগার্ড ও পুলিশের একটি যৌথ দল সেখানে অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অতর্কিতে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়েন। গোলাগুলির একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা রাতের অন্ধকারে গহিন পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়।
পরে দুর্বৃত্তদের গোপন আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে ১টি জি-৩ রাইফেল, ২টি বিদেশি পিস্তল, ৩টি দেশে তৈরি বন্দুক, ৩ হাজার ১০০টি রাইফেলের গুলি, ১৪টি পিস্তলের গুলি, ১ কেজি আইস মাদক (ক্রিস্টাল মেথ) ও ৪ লিটার দেশি মদ উদ্ধার করা হয়। এ সময় দুর্বৃত্ত চক্রের হাতে জিম্মি থাকা একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা অস্ত্র ও মাদক টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘মব’ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা অন্তর্বর্তী সরকারের বিশাল ব্যর্থতা: গণসংহতি আন্দোলন
হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদের ফরিদপুরের বাড়িতে হামলাসহ দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে গণসংহতি আন্দোলন। দলটি বলছে, ‘মব’ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিশাল ব্যর্থতা।
শুক্রবার গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এক যৌথ বিবৃতিতে মুরাদনগর, লালমনিরহাট, ফরিদপুরসহ সারাদেশে মব সৃষ্টি করে নিপীড়ন ও সন্ত্রাস অত্যাচার চালিয়ে-- ধর্ষণ, শিক্ষকের পদোন্নতির পরীক্ষা ঠেকানো এবং থানা ঘেরাও করে অভিযুক্তকে বের করে নিয়ে যাওয়া, আওয়ামী দোসর বলে বাড়ি ঘেরাওয়ের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভ জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী দেশকে অরাজকতায় পৌঁছে দিতে চায়? তা না হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কেন দেশে ঠিকঠাক কাজ করতে পারছে না! কেন দেশে একটার পর একটা মব সৃষ্টি করে অপরাধ সংগঠিত হতে পারছে? একটা অভ্যুত্থান পরবর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা—এমনকি সেটা অভিযুক্ত বা অপরাধীর ক্ষেত্রে হলেও।’
তারা বলেন, ‘‘গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম অর্জন হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী স্পিরিট ও আইনের শাসন কায়েম করার শাসনব্যবস্থার দিকে যাত্রা শুরু করা। সেখানে উপদেষ্টারা ‘যদি মবকে ঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে না পারেন’ কিংবা ’আওয়ামী লীগ এবং ’৫৩ বছরের অতীত টেনে’ মবকে জাস্টিফাই করতে চান তাহলে তিনি বাংলাদেশের সকল মানুষের উপদেষ্টা নন।’
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে মব তৈরির হোতা সেই পক্ষগুলো সন্ত্রাসী, গণঅভ্যুত্থানবিরোধী, জাতীয় ঐক্য ধ্বংসকারী যারাই হোন না কেন—তাদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান।