ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে এক বছরে রেকর্ড পরিমাণ হলুদ আমদানি
Published: 6th, July 2025 GMT
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) রেকর্ড পরিমাণ শুকনা হলুদ আমদানি হয়েছে। এ সময় ৩২ হাজার ২৯১ টন শুকনা হলুদ আমদানি হয়েছে। এর বাজারমূল্য ৫৪২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫৪ কোটি ৫ লাখ টাকা বেশি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ বন্দর দিয়ে ৩০ হাজার ৪৫০ টন শুকনা হলুদ আমদানি হয়েছিল। যার মূল্য ছিল ৪৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে আমদানি বেড়েছে ১ হাজার ৮৪১ টন।
আমদানি বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে স্থানীয় বাজারে। সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় সাতক্ষীরার মসলা বাজারে গুঁড়া হলুদের দাম কমে এসেছে। জেলা সদরের সুলতানপুর বড় বাজারের মেসার্স ঠাকুর স্টোরে বর্তমানে প্রতি কেজি গুঁড়া হলুদ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা দরে। দেড় মাস আগেও এটি ছিল ৩২০ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী জানান, পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় গুঁড়া হলুদের দাম কিছুটা কমেছে।
সাতক্ষীরা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এস এম আবদুল্লাহ বলেন, আমদানি বৃদ্ধি ও বাজারে সরবরাহ বাড়ায় গুঁড়া হলুদের দাম কমেছে। একই সঙ্গে অন্যান্য মসলার দামও সহনীয় রাখতে নিয়মিত বাজার তদারক করা হচ্ছে।
ভোমরা বন্দরভিত্তিক মসলা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরবর হ
এছাড়াও পড়ুন:
বেনাপোল বন্দরে সার্বিয়ার ভিসাযুক্ত বাংলাদেশের ২০টি পাসপোর্টসহ ভারতীয় ট্রাকচালক আটক
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ভারতের এক ট্রাকচালককে আটক করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বেনাপোল স্থলবন্দরের কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালের গেট থেকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা তাঁকে আটক করেন। এ সময় আনসার সদস্যরা তাঁর কাছ থেকে ২০টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়, সেগুলোতে সার্বিয়ার ভিসার স্টিকার ও সিলমোহর রয়েছে।
আটক ট্রাকচালকের নাম বেচারাম প্রামাণিক (৪৩)। তাঁর বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বনগাঁ থানার কালোপুর বেলেরমাঠ গ্রামে।
বেনাপোল কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালের দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা জানান, গতকাল বিকেলে ভারতীয় ট্রাকচালক বেচারাম প্রামাণিক একটি ছোট ট্রাকে করে মুরগির খাদ্য নিয়ে পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের বেনাপোল স্থলবন্দরে আসেন। কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালের ভেতর ট্রাক রেখে রাত সাড়ে নয়টার দিকে তিনি হেঁটে গেট দিয়ে বের হচ্ছিলেন। তাঁর হাতে একটি শপিং ব্যাগ ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে আটক করা হয়। এরপর তাঁর হাতে থাকা শপিং ব্যাগ তল্লাশি করে ২০টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাওয়া যায়। পাসপোর্টগুলোতে গত ২৩ জুন তারিখে ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে সার্বিয়ার ভিসার স্টিকার ও সিলমোহর রয়েছে। ‘ডি’ ক্যাটাগরির ১৮০ দিনের ওই ভিসা ২০২৫ সালের ২৪ জুন থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৈধতা রয়েছে।
উদ্ধার করা পাসপোর্টগুলোর মালিকেরা ঢাকা, চাঁদপুর, নোয়াখালীর, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সাতক্ষীরা, গাজীপুরের, মানিকগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার বাসিন্দা।
বেনাপোল বন্দরের আনসার ক্যাম্প ইনচার্জ এইচ এম হেলালউজ্জামান বলেন, আগে থেকে তাঁদের কাছে গোপন সংবাদ ছিল, ভারত থেকে অবৈধভাবে ভারতীয় এক ট্রাকচালকের মাধ্যমে বাংলাদেশি বেশ কিছু পাসপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। এ খবর পাওয়ার পর স্থলবন্দরের কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল গেটে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়। রাত সাড়ে নয়টার দিকে সন্দেহভাজন ওই ট্রাকচালক শপিং ব্যাগ হাতে নিয়ে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় তাঁকে আটক করা হয়। এরপর শপিং ব্যাগ তল্লাশি করে ২০টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাওয়া যায়। আটক ট্রাকচালক ও পাসপোর্টগুলো আজ শুক্রবার বেনাপোল বন্দর থানায় হস্তারের প্রক্রিয়া চলছে।
আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল মিয়া বলেন, ‘২০টি বাংলাদেশি পাসপোর্টসহ এক ভারতীয় ট্রাকচালকে বেনাপোল কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালের গেটে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা আটক করেছে বলে শুনেছি। এখনো আনসার সদস্যরা আটক ট্রাকচালক ও উদ্ধার করা পাসপোর্ট থানায় হস্তান্তর করেনি।’