আশুরায় বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
Published: 6th, July 2025 GMT
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় রোববার বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দরে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। বেনাপোল কাস্টমস ও বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মজিবর রহমান জানান, পবিত্র আশুরায় সরকারি ছুটি থাকায় রোববার বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানিসহ কাস্টমস ও বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সোমবার সকাল থেকে পুনরায় এ পথে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম সচল থাকবে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন মুন্সী বলেন, আশুরা উপলক্ষে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও দুই দেশের ইমিগ্রেশন দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদার বলেন, সোমবার সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম শুরু হবে। তবে আজ বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস করা ভারতীয় খালি ট্রাক ফিরে যেতে পারবে।
প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩০০-৪৫০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হয়। আর রপ্তানি হয় ১৫০-২০০ ট্রাক পণ্য। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এ পথে ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। দেশে স্থলপথে যে পণ্য আমদানি হয় তার ৭০/৮০ শতাংশ হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। এছাড়া প্রতিবছর এ বন্দর দিয়ে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। যা থেকে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব আয় করে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে ‘জুলাই চত্বর’ ও ‘জুলাই কর্নার’, হলে বিশেষ ভোজ ‘বিজয় ফিস্ট’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘জুলাই চত্বর’ ও ‘জুলাই কর্নার’ নির্মাণ, শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত ব্যক্তিদের সংবর্ধনাসহ নানা আয়োজন রয়েছে। কর্মসূচির সমাপ্তি হবে আগামী ৫ আগস্ট ‘ছাত্র-জনতার বিজয় র্যালি’ আয়োজনের মাধ্যমে। হলগুলোতে আয়োজন করা হবে ‘বিজয় ফিস্ট’ নামের বিশেষ ভোজ।
গতকাল শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৩ জুলাই বেলা ১১টায় ‘জুলাই চত্বর’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে। ১৫ ও ১৬ জুলাই আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণা ও নাট্যোৎসব এবং ১৮ জুলাই শিক্ষক সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ২০ জুলাই বেলা সাড়ে তিনটায় শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। ২৪ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার ও শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালায় ‘জুলাই কর্নার’ স্থাপন করা হবে। ১ আগস্ট কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা ও দোয়া মাহফিল হবে। ১ থেকে ৫ আগস্ট চলবে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। ২ আগস্ট হবে চিত্রাঙ্কন ও গ্রাফিতি প্রতিযোগিতা।
এ ছাড়া ৩ ও ৪ আগস্ট বিপ্লবকেন্দ্রিক সংগীতানুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। শেষ দিন ৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে ছাত্র-জনতার বিজয় র্যালি ও বিজয় ফিস্ট। একই দিনে জুলাই বিপ্লবকে কেন্দ্র করে স্মারক ও অ্যালবাম প্রকাশ করা হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আসন্ন ৫ আগস্ট ‘জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান বার্ষিকী’ উপলক্ষে বেশ কিছু কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। যেগুলো এই অভ্যুত্থানকে আরও স্মরণীয় করে রাখবে। আগামী ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের জন্য ‘বিজয় ফিস্টের’ আয়োজন করা হয়েছে। ফিস্টে আবাসিক এবং অনাবাসিক সব শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণের বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এ বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ পরিষদ আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নেবে।