গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শিল্পকারখানায় চাঁদাবাজিসহ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের অভিযোগে রোববার সন্ধ্যায় চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়।

বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত চার নেতা হলেন- গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব উদ্দিন সরকার (পাপ্পু), গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব আবদুল হালিম মোল্লা, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য জিয়াউল হাসান (স্বপন) ও টঙ্গী পূর্ব থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব সিরাজুল ইসলাম (সাথী)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুস্পষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ধরনের কার্যকলাপ দলীয় শৃঙ্খলা এবং দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থি। সুতরাং এসব কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত সব নেতাকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী পৃথক চিঠি দিয়ে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ র ব এনপ র ব এনপ র স সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়, আমাদের সম্পদ সীমিত: শিক্ষা উপদেষ্টা 

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, আমরা গত ১৫ বছরে নিজেদের যুক্তিসঙ্গত বিষয়গুলোকে নিয়ে নিজেদের দাবি তুলে ধরতে পারিনি। তাই সবাই মনে করছে রাজনৈতিক সরকার আসার আগেই তাদের দাবি দাওয়া পূরণ করে নিতে হবে। কিন্তু পরিবর্তন রাতারাতি সম্ভব না। আমাদের সম্পদ সীমিত। তাই সময় নিয়ে হলেও পরিবর্তনগুলো রাজনৈতিক সরকারকেই করতে হবে। 

রোববার সিনেট ভবনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, অবশ্যই তোমরা বিশাল কিছু অর্জন করেছ। কিন্তু তোমাদের সঙ্গে সাধারণ জনগণ-শ্রমজীবী মানুষ তারাও এই অর্জনে ভূমিকা রেখেছে। তাদের সমর্থন ছাড়া তোমরা এটা করতে পারতে না। তোমাদের এই সংগ্রামে বিভিন্ন সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠী এগিয়ে এসেছিল।

উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, শিক্ষকের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এমন কোনো কাজ করা যাবে না। তোমাদের হতাশা থাকতে পারে, তোমাদের কিছু দাবি দাওয়া থাকতে পারে কিন্তু তার জন্য জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা যাবে না।

শিক্ষক রাজনীতির বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষকদের যে ভূমিকা হবার কথা ছিল সেই ভূমিকা থেকে আমরা বিচ্যুত হয়েছি। আমাদের শিক্ষকদের যে মূল দায়িত্ব সেই দায়িত্ব আমাদের পালন করতে হবে। আমাদের অবশ্যই রাজনৈতিক বিশ্বাস থাকবে, রাজনৈতিক দলের সমর্থন থাকবে। কিন্তু এ রাজনৈতিক দলের নেতিবাচক প্রভাবগুলো আমরা আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর ফেলতে পারি না।

প্রধান আলোচক অধ্যাপক এ কে এম আজহারুল ইসলাম বলেন, ছাত্র ও শিক্ষক হিসেবে জীবনের ৬২ বছর আমার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কেটেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার অসংখ্য স্মৃতি রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৫৩ সালের এইদিনে যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল আজকের দিন হলো সেই সম্ভাবনার মহীরূপ। আজকের এই দিনে আমরা সেলিব্রেশন করবো ঠিকই, একইসঙ্গে জ্ঞানও আহরণ করব। ঠিক যেসব কারণে এই বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টি হয়েছিল, সে বিষয়ে জানবো এবং সেই জ্ঞানকে আমরা ছড়িয়ে দেবো।

আলোচনা সভায় উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীবের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মাঈন উদ্দিন খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মতিয়ার রহমান প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ