খুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুর মৃত্যু
Published: 6th, July 2025 GMT
খুলনায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অনিমা নামে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। অনিমার বাবার বাড়ি বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায়।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ও ডেঙ্গু ইউনিটের ফোকাল পারসন চিকিৎসক খান আহমেদ ইশতিয়াক বলেন, বেশ কিছুদিন আগে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর নানা জটিলতা নিয়ে ৫ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অনিমাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে সে মারা যায়।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে জানা যায়, গত জানুয়ারি থেকে খুলনা বিভাগের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলে ৪৩০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন। এর মধ্যে বর্তমানে ৫৬ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ৩৭০ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। ডেঙ্গুতে মারা গেছেন তিনজন। তাঁরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। চলতি বছর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মোট ৫৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে ভর্তি আছেন ৮ জন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়েকে নৌকায় বসিয়ে নদীতে ডুব দিয়ে আর উঠতে পারেননি তিনি
চার বছর বয়সী মেয়ে রুসফিয়াকে নিয়ে বাড়ির পাশের করতোয়া নদীতে গোসল করতে গিয়েছিলেন মাসুম আল মামুন (৪২)। নদীর ধারে বেঁধে রাখা নৌকায় মেয়েকে বসিয়ে রেখে পানিতে ডুব দিয়েছিলেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ বাবাকে উঠতে না দেখে দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি মাকে জানায় রুসফিয়া। পরে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। পরে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়েছে মাসুমের লাশ।
রোববার বিকেলে পঞ্চগড় পৌরসভার আহমদনগর এলাকাসংলগ্ন করতোয়া নদীতে এ ঘটনা ঘটে। মৃত মাসুম আল মামুনের বাড়ি আহমদনগর এলাকায়। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী ছিলেন।
নিহত মাসুম আল মামুনের মামাতো ভাই জাফর আহমদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নদীতে নেমে তাঁকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে বিকেল ছয়টার দিকে পানির নিচে মাসুমকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তিনি বলেন, তাঁরা শুনেছেন মাসুমের হৃদ্রোগ ছিল। পানিতে ডুব দেওয়ার পর তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে তাঁরা ধারণা করছেন।
পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা তুষার কান্তি রায় বলেন, ‘খবর পেয়ে বিকেল পাঁচটার দিকে আমরা নিখোঁজ ওই ব্যক্তিকে উদ্ধারে নদীতে নামি। এ সময় আমাদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনও নদীতে নেমেছিলেন। প্রায় ৪৫ মিনিট খোঁজাখুঁজির পর হঠাৎ করেই স্থানীয় একজনের পায়ে মানুষের শরীরের মতো কিছু একটা লাগে। পরে সেখান থেকে মাসুম আল মামুনের লাশ খুঁজে পাই। পরে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।’
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।