নতুন করে বাবা হলেন নেইমার। ফুটবল মাঠের বাহাদুর, এবার ভালোবাসার গোল করলেন পরিবারের গোলপোস্টে। ৫ জুলাই ভোরে ব্রাজিলে জন্ম নিয়েছে নেইমার জুনিয়র ও তার প্রেমিকা ব্রুনা ব্যাঙ্কার্ডির দ্বিতীয় সন্তান। এবার অবশ্য একটি ফুটফুটে কন্যাশিশু বাবা হয়েছেন নেইমার। নাম রাখা হয়েছে আদুরে সুরে ‘মেল’।
ইনস্টাগ্রামে এক আবেগঘন পোস্টে কোলজুড়ে মেয়েকে নিয়ে ছবি শেয়ার করেছেন ব্রুনা লিখেছেন, “আমাদের মেল এসেছে। আমাদের জীবনকে আরও মিষ্টি করে তুলতে। স্বাগতম, মেয়ে! ঈশ্বর যেন তোমার জীবনকে আশীর্বাদ ও নিরাপত্তায় রাখেন।” সেই সঙ্গে একটুখানি হাসিও যেন ঝরে পড়েছে ছবির কোলাজে।
নেইমারের বয়স এখন ৩৩। আর এই বয়সেই তিনি চার সন্তানের বাবা। ২০১১ সালে জন্ম নেয় তার প্রথম সন্তান ডাভি লুকা, মা ছিলেন ক্যারোলিনা ডান্তাস। এরপর প্রেমিকা ব্রুনা ব্যাঙ্কার্ডির ঘর আলোকিত করে আসেন কন্যা মাভি। আরেক সাবেক প্রেমিকা আমান্ডা কিম্বারলির ঘরেও রয়েছে এক সন্তান। এবার মেল এর আগমনে পূর্ণতা পেল নেইমারের পিতৃত্বযাত্রা।
আরো পড়ুন:
ইতিহাস গড়ে দেশে ফিরেই সংবর্ধনা পাচ্ছে নারী ফুটবল দল
মেসির জোড়া গোলে জিতলো মায়ামি
চলতি বছরের শুরুতে নেইমার ফিরে গেছেন নিজের শিকড়ে, সান্তোস ক্লাবে। তবে মাঠের ব্যস্ততা যেন এখন কিছুটা গৌণ। কারণ, জীবন এখন ভরে গেছে ছোট্ট এক ভালোবাসায়। মেল এখন নেইমারের জীবনের সবচেয়ে বড় ‘অ্যাসিস্ট’।
বড় মেয়ে মাভি যেমন আনন্দে আত্মহারা, তেমনি নেইমারও পরিবারকে ঘিরেই কাটাচ্ছেন সময়। মাঠে হয়তো অদূর ভবিষ্যতে দেখা যাবে নতুন রঙে, নতুন ক্লাবে। কিন্তু এখন তার প্রতিটি ম্যাচ চলছে ডায়পার বদলানো, কান্না থামানো আর ছোট্ট হাতের আঙুল ধরার ভিতর দিয়ে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়েকে নৌকায় বসিয়ে নদীতে ডুব দিয়ে আর উঠতে পারেননি তিনি
চার বছর বয়সী মেয়ে রুসফিয়াকে নিয়ে বাড়ির পাশের করতোয়া নদীতে গোসল করতে গিয়েছিলেন মাসুম আল মামুন (৪২)। নদীর ধারে বেঁধে রাখা নৌকায় মেয়েকে বসিয়ে রেখে পানিতে ডুব দিয়েছিলেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ বাবাকে উঠতে না দেখে দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি মাকে জানায় রুসফিয়া। পরে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। পরে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়েছে মাসুমের লাশ।
রোববার বিকেলে পঞ্চগড় পৌরসভার আহমদনগর এলাকাসংলগ্ন করতোয়া নদীতে এ ঘটনা ঘটে। মৃত মাসুম আল মামুনের বাড়ি আহমদনগর এলাকায়। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী ছিলেন।
নিহত মাসুম আল মামুনের মামাতো ভাই জাফর আহমদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নদীতে নেমে তাঁকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে বিকেল ছয়টার দিকে পানির নিচে মাসুমকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তিনি বলেন, তাঁরা শুনেছেন মাসুমের হৃদ্রোগ ছিল। পানিতে ডুব দেওয়ার পর তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে তাঁরা ধারণা করছেন।
পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা তুষার কান্তি রায় বলেন, ‘খবর পেয়ে বিকেল পাঁচটার দিকে আমরা নিখোঁজ ওই ব্যক্তিকে উদ্ধারে নদীতে নামি। এ সময় আমাদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনও নদীতে নেমেছিলেন। প্রায় ৪৫ মিনিট খোঁজাখুঁজির পর হঠাৎ করেই স্থানীয় একজনের পায়ে মানুষের শরীরের মতো কিছু একটা লাগে। পরে সেখান থেকে মাসুম আল মামুনের লাশ খুঁজে পাই। পরে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।’
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।