গাজায় অবস্থানরত প্রায় ২০০ পরিবারের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৫ জুলাই) ‘প্রজেক্ট লাইফলাইন গাজা’ এর আওতায় এ খাদ্য পণ্যগুলো বিতরণ করা হয় গাজার দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থানরত বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর কাছে।

জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হিউম্যান রাইটস সোসাইটি এ প্রজেক্টের উদ্যোগ নেয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করেন। 

আরো পড়ুন:

উপাচার্যরা দায়িত্ব চেয়ে নেননি, হাতে-পায়ে ধরে তাদের দায়িত্ব দিয়েছি: শিক্ষা উপদেষ্টা

আশুরা উপলেক্ষে শেকৃবিতে শিবিরের গণসেহরি

এই প্রজেক্টের পরিচালনায় থাকা জবির নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আম্মার বিন আসাদ বলেন, “আমরা ফিলিস্তিনের প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সামনে আরো বড় পরিসরে এমন উদ্যোগকে চলমান রাখব। আমাদের কার্যক্রমকে শুধু সাহায্য পাঠানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখব না, বরং দখলদারী সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী প্রো-প্যালেস্টাইন মুভমেন্টের কাতারে বাংলাদেশকে শক্তিশালীভাবে দাঁড় করানোর বৃহৎ লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাব।”

নওশীন নাওয়ার জয়া নামে আরেক প্রজেক্ট পরিচালনাকারী শিক্ষার্থী বলেন, “চোখের সামনে প্রতিনিয়ত গাজাবাসীর উপর যে নির্মমতা আমরা দেখছি, তার বিপরীতে মানুষ হিসেবে আমাদের সামান্যতম করণীয়টুকুই আমরা করার চেষ্টা করেছি। তারই প্রয়াসে প্রজেক্ট লাইফলাইন গাজা নামক প্রকল্পটি আমরা গ্রহণ করি। যারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষাভাবে আমাদের সমর্থন ও সহযোগিতা করেছেন, তাদের প্রতি আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হিউম্যান রাইটস সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মাসুদ বলেন, “এই মানবিক প্রচেষ্টার অংশ হতে পারা আমাদের জন্য এক গভীর দায়িত্ববোধের প্রতিফলন। মানবিকতা, ন্যায়বোধ এবং বৈশ্বিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই আমাদের এই প্রয়াস।”

‘প্রজেক্ট লাইফলাইন গাজা’ একটি স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোগ, যা গাজার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে আন্তর্জাতিক ছাত্র-যুবদের সক্রিয়তায় গঠিত হয়েছে। এই প্রজেক্টের মাধ্যমে ভবিষ্যতেও গাজার অসহায় মানুষদের জন্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র ব শ বব

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার

গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শিল্পকারখানায় চাঁদাবাজিসহ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের অভিযোগে রোববার সন্ধ্যায় চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়।

বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত চার নেতা হলেন- গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব উদ্দিন সরকার (পাপ্পু), গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব আবদুল হালিম মোল্লা, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য জিয়াউল হাসান (স্বপন) ও টঙ্গী পূর্ব থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব সিরাজুল ইসলাম (সাথী)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুস্পষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ধরনের কার্যকলাপ দলীয় শৃঙ্খলা এবং দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থি। সুতরাং এসব কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত সব নেতাকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী পৃথক চিঠি দিয়ে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ