এশিয়া কাপে পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে সরকারের দ্বারস্থ বিসিসিআই
Published: 27th, June 2025 GMT
আগামী সেপ্টেম্বরে টি-২০ ফরম্যাটে এশিয়া কাপের আসর বসার কথা। টুর্নামেন্টের স্বাগতিক ভারত। সম্প্রচার স্বত্ত্ব পাওয়া প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে এশিয়া কাপের প্রোমো ছেড়েছে। যাতে ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান আছে। তবে এশিয়ার দ্বিতীয় সেরা দল পাকিস্তান নেই প্রোমোতে।
আসন্ন এশিয়া কাপে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ নিয়ে তাই শঙ্কা তৈরি হয়েছে। পাকিস্তান ছাড়া টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াতে যাচ্ছে এমন গুঞ্জনও উঠেছে। তেমন কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে দাবি করেছে বিসিসিআই-এর এক কর্মকর্তা।
তবে এশিয়া কাপে ভারত ও পাকিস্তান একই গ্রুপে পড়বে কিনা, একে অপরের বিপক্ষে খেলবে কিনা এসব বিষয়ে সরকারের পরামর্শের অপেক্ষায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। দেশটির বোর্ড জানিয়েছে, তারা সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ করবে।
স্পোর্টস ইনসাইডারকে বিসিসিআই-এর এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘সত্যি বলতে আমরা এখনো জানি না। অপারেশন সিঁদুরের (ভারত-পাকিস্তান সংঘাত) পর ভারত ও পাকিস্তান ক্রিকেট নিয়ে নেতিবাচক অনেক কথা হয়েছে। এই বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পেতে আমরা সরকারের দ্বারস্থ হবো।’
আগামী সেপ্টেম্বরের শেষে নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু হবে। ওই টুর্নামেন্টেরও স্বাগতিক ভারত। টুর্নামেন্টটি ভারত ও শ্রীলঙ্কায় হবে। সেখানে ভারত ও পাকিস্তান গ্রুপ পর্বে একে অপরের মুখোমুখি হবে। তবে পাকিস্তান তাদের ম্যাচ নিরপেক্ষ ভেন্যু শ্রীলঙ্কায় খেলবে।
নারীদের ক্রিকেটে ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের বিপক্ষে খেলতে পারলে পুরুষ ক্রিকেট দল কেন নয়; এমন প্রশ্নে বিসিসিআই-এর ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘মেয়েদের ক্রিকেট ভিন্ন বিষয়। সেখানে ছেলেদের ম্যাচের মতো হাজার হাজার চোখ থাকে না। কিন্তু ছেলেদের ক্রিকেট শতকোটি মানুষ দেখে।’
এশিয়া কাপের টিভি স্বত্ত্ব বিক্রি হয়েছে মোটা অঙ্কের অর্থে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকে পোস্টার বানিয়েই এসিসি মোটা অঙ্কের অর্থে সম্প্রচার স্বত্ত্ব বিক্রি করেছে। সরকারের থেকে নির্দেশনা না আসলে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন বিসিসিআই-এর ওই কর্মকর্তা, ‘ম্যাচ বয়কটের কোন চিন্তা নেই। সরকারী নিষেধাজ্ঞা না থাকলে ম্যাচ খেলতে কোন বাধা নেই।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
এর পরও চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের দেওয়ার চেষ্টা হলে কঠোর আন্দোলন
চার প্রধান দাবিতে রাজধানী থেকে শুরু হওয়া চট্টগ্রাম অভিমুখী রোডমার্চ কুমিল্লায় পৌঁছেছে। দেশের বামপন্থী দল ও সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গঠিত ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণের’ ব্যানারে আয়োজিত এই লংমার্চ আজ শুক্রবার সন্ধ্যার আগে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে এসে পৌঁছায়। পরে রাত পৌনে আটটার দিকে সেখানে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জনসভায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতিমণ্ডলীর কাজী সাজ্জাদ জহির বলেন, ‘সাম্রাজ্যবাদের কোনো দালালকে বাংলাদেশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে দেওয়া হবে না। আমাদের এই রোডমার্চের তথ্য এতক্ষণে নিশ্চয়ই প্রধান উপদেষ্টার কান পর্যন্ত পৌঁছেছে। যদি এর পরও চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের কাছে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব। আমাদের সাম্রাজ্যবাদবিরোধী এই আন্দোলন দীর্ঘদিনের।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, ‘অতীতে আপনার চেয়ে বড় বড় প্লেয়ার দেশকে সাম্রাজ্যবাদের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল; কিন্তু আমাদের আন্দোলনের মুখে শেষ পর্যন্ত তাঁরা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। হাসিনা, খালেদা, এরশাদ—কেউই সফল হয়নি, আপনি তো অনেক পরের প্লেয়ার।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি কুমিল্লা জেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজাত আলীর সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও গণমুক্তি ইউনিয়নের সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন আহম্মদ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের আহ্বায়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও গণতান্ত্রিক বাম জোটের সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সমন্বয়ক মাসুদ খান, বাংলাদেশের সোশ্যালিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহিনউদ্দীন চৌধুরী, সচেতন রাজনৈতিক ফোরামের কুমিল্লার সমন্বয়ক শেখ আবদুল মান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোমেন প্রমুখ।
সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণের’ রোডমার্চের জনসভার একাংশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা টাউন হল মাঠে