শেখ হাসিনা ঢুকলে আমগাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হবে: আখতার
Published: 6th, July 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, “শেখ হাসিনা মাঝেমধ্যেই টুপ করে ঢুকে পড়তে চায়। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষরা বলে, শেখ হাসিনা ঢুকুক, তাকে ধরে আমগাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হবে এবং গণহত্যার বিচার করা হবে।”
রবিবার (৬ জুলাই) দুপরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জুলাই পদযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আখতার বলেন, “চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ এতটা সাহসী যে, বিএসএফ বন্দুক নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করেছে, আর আপনারা কাস্তে নিয়ে ওদের তাড়িয়ে দিয়েছেন। 'দিল্লী না ঢাকা' স্লোগানটি সবচেয়ে বেশি ধারণ করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ।”
আরো পড়ুন:
কিছু দল হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিয়েছে: শামসুজ্জামান দুদু
শেখ হাসিনার বিচার ট্রাইব্যুনাল থেকে সরাসরি সম্প্রচার হবে: প্রসিকিউটর
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের ওপর দীর্ঘ সময় ধরে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারীরা যে নির্মম নির্যাতন করেছে, সেই নির্যাতনকে সায় দিয়ে দিল্লীর সরকার দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে, এমনকি এই চাঁপাইনবাবগঞ্জেও মাঝে মাঝে গুলি করে হত্যা করেছে। বাংলাদেশের মানুষের লড়াই, মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াই। দেশের মানুষ নিজেদের মর্যাদা, স্বতন্ত্র, ঐতিহ্য নিয়ে বাংলাদেশে বাস করবে। এতে ভারত, আমেরিকা, চীন আঙুল উঁচিয়ে কথা বলার সাহস পাবে না।”
তিনি আরো বলেন, “চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষরা দীর্ঘদিন ধরে আঞ্চলিক ও রাজনৈতিক বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। কিন্তু নতুন যে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হয়েছে সেই নতুন বাংলাদেশে আর কোনো বৈষম্য দেখতে চাই না। যে রক্ত, শ্রম ও জীবনের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই নতুন বাংলাদেশ আর পুরোনো সিস্টেমে, পুরোনা কায়দায় চলতে পারে না। বাংলাদেশকে নতুন ব্যবস্থায় নতুন কাঠামোতে পরিচালনর জন্য অবশ্যই একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে।”
এর আগে, রবিবার দুপুর ২টায় জেলা শহরের শান্তিমোড় থেকে জুলাই পদযাত্রা শুরু হয়। এরপর বাতেন খাঁর মোড়, নিমতলা মোড়, বড় ইন্দারা মোড়, গাবতলা মোড় হয়ে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথসভা শেষে এনসিপির জেলা কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন নেতারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম-সদস্য সচিব ডা.
ঢাকা/মেহেদী/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ইনব বগঞ জ র ম ন ষ নত ন ব
এছাড়াও পড়ুন:
নির্যাতন হলে সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ দিতে বাধ্য হব: নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সীমান্তে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বোমা ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। অনেক বাহাদুরি হয়েছে। আর যদি সীমান্তে নির্যাতন চালানো হয়, তবে সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ দিতে বাধ্য হব। আমাদের সীমান্ত আমরাই রক্ষা করব।
রোববার চাঁপাইনবাবগঞ্জে এনসিপির পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে পাশের জেলা নওগাঁ থেকে দুপুর ২টায় ‘জুলাই পদযাত্রা’ শুরু হয়। পদযাত্রাটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের শান্তিমোড় থেকে বাতেন খাঁর মোড়, নিমতলা হয়ে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে পথসভা হয়।
পথসভায় নাহিদ ইসলাম বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা নতুন বাংলাদেশ চেয়েছি। রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, গণহত্যাকারীদের বিচার, জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ চেয়েছি। এগুলো চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীরও দাবি। দেশ সংস্কার, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারের পক্ষে এবং নতুন বাংলাদেশের পক্ষে এনসিপি।
তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ নানা কারণে বৈষম্যের শিকার হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ খাতে বৈষম্যের শিকার। বাংলাদেশের সব জেলায় এমন বৈষম্য দূর হবে, আমরা সেই স্বপ্ন দেখি।
আমের রাজধানী হলেও আমকে শিল্প পর্যায়ে নিতে বা চাষিদের নামে ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে ও রপ্তানি বাড়াতে কোনো সরকারই উদ্যোগ নেয়নি। চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসী ঢাকা থেকে সরাসরি ট্রেনের জন্য আন্দোলন করলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। বর্তমান সরকার জনগণের আন্দোলনের ফসলের সরকার। তাই আমাদের প্রত্যাশা সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে এ দাবি পূরণ করবে।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ আমাদের সীমান্ত প্রতিরোধের প্রতীক। চাঁপাইনবাবগঞ্জ মানে সীমান্তে কাস্তে হাতে বসে থাকা সেই কৃষক। আমরা সেই কৃষকের সন্তান।
তিনি আরও বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে গণঅভ্যুত্থানে ২ জনের প্রাণ গেছে। তাদের শ্রদ্ধাভরে আমরা সম্মান করি।
পথ সভায় আরও ছিলেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক দক্ষিণাঞ্চলের হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।