নিলামে মঙ্গল গ্রহ থেকে আসা সবচেয়ে বড় উল্কাপিণ্ড
Published: 6th, July 2025 GMT
লাল রঙের মঙ্গল গ্রহ নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। আর তাই এবার মঙ্গল গ্রহ থেকে পৃথিবীতে আসা সবচেয়ে বড় উল্কাপিণ্ডের নিলাম কার্যক্রম শুরু করছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নিলাম প্রতিষ্ঠান সোথবি’স। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এনডাব্লিউএ-১৬৭৮৮ নামের এই উল্কাপিণ্ডটি মঙ্গল গ্রহ থেকে পৃথিবীতে আসা সবচেয়ে বড় উল্কাপিণ্ড। বিশাল উল্কাপিণ্ডটির ওজন ২৪.
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে আফ্রিকার নাইজারের আগাদেজ অঞ্চলে এক ব্যক্তি উল্কাপিণ্ডটি খুঁজে পান। নাইজারের এই অঞ্চল ডাইনোসরের জীবাশ্মের জন্য পরিচিত। সংগ্রহের পরে উল্কাপিণ্ডের নমুনা পাঠানো হয় সাংহাই জ্যোতির্বিদ্যা জাদুঘরে। পরে উল্কাপিণ্ডটি মঙ্গল গ্রহ থেকে পৃথিবীতে এসেছে বলে নিশ্চিত করেন বিজ্ঞানীরা।
নিলাম কার্যক্রম শুরুর আগেই উল্কাপিণ্ডটি নিয়ে বেশ আলোড়ন তৈরি হয়েছে। আর তাই নিলামে উল্কাপিণ্ডটির দাম ৪০ লাখ মার্কিন ডলার বা ৪৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত (প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ১২২ টাকা ধরে) উঠতে পারে বলে আশা করছে নিলাম প্রতিষ্ঠান সোথবি’স।
সোথবি’স–এর তথ্যমতে, মঙ্গল গ্রহ থেকে আসা উল্কাপিণ্ডটি মূলত লালচে-বাদামি শিলাপাথর। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় ঘর্ষণজনিত উত্তাপের ফলে সৃষ্ট খাদ রয়েছে উল্কাপিণ্ডটিতে। সাহারা মরুভূমিতে পতনের পরেও শিলাপাথরটির ভৌত ও রাসায়নিক গঠনে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।
উল্কাপিণ্ডটির নিলাম আয়োজনের সমালোচনাও করছেন অনেকে। এ বিষয়ে স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবাশ্মবিদ্যা ও বিবর্তনের অধ্যাপক স্টিভ ব্রুসেট বলেন, উল্কাপিণ্ডটি যদি কোনো অভিজাত ব্যক্তির ভল্টে রাখা হয়, তবে তা অদৃশ্য হয়ে যাবে। এটি হবে লজ্জাজনক বিষয়। জাদুঘরে রাখা হলে গবেষণা করা যাবে।
সূত্র: এনডিটিভি
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উল ক প ণ ড
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়েকে নৌকায় বসিয়ে নদীতে ডুব দিয়ে আর উঠতে পারেননি তিনি
চার বছর বয়সী মেয়ে রুসফিয়াকে নিয়ে বাড়ির পাশের করতোয়া নদীতে গোসল করতে গিয়েছিলেন মাসুম আল মামুন (৪২)। নদীর ধারে বেঁধে রাখা নৌকায় মেয়েকে বসিয়ে রেখে পানিতে ডুব দিয়েছিলেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ বাবাকে উঠতে না দেখে দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি মাকে জানায় রুসফিয়া। পরে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। পরে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়েছে মাসুমের লাশ।
রোববার বিকেলে পঞ্চগড় পৌরসভার আহমদনগর এলাকাসংলগ্ন করতোয়া নদীতে এ ঘটনা ঘটে। মৃত মাসুম আল মামুনের বাড়ি আহমদনগর এলাকায়। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী ছিলেন।
নিহত মাসুম আল মামুনের মামাতো ভাই জাফর আহমদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নদীতে নেমে তাঁকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে বিকেল ছয়টার দিকে পানির নিচে মাসুমকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তিনি বলেন, তাঁরা শুনেছেন মাসুমের হৃদ্রোগ ছিল। পানিতে ডুব দেওয়ার পর তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে তাঁরা ধারণা করছেন।
পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা তুষার কান্তি রায় বলেন, ‘খবর পেয়ে বিকেল পাঁচটার দিকে আমরা নিখোঁজ ওই ব্যক্তিকে উদ্ধারে নদীতে নামি। এ সময় আমাদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনও নদীতে নেমেছিলেন। প্রায় ৪৫ মিনিট খোঁজাখুঁজির পর হঠাৎ করেই স্থানীয় একজনের পায়ে মানুষের শরীরের মতো কিছু একটা লাগে। পরে সেখান থেকে মাসুম আল মামুনের লাশ খুঁজে পাই। পরে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।’
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।