জয়পুরহাট ও রংপুরের বদরগঞ্জে পানিতে ডুবে চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার জয়পুরহাট সদর উপজেলার দিওর গ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশু এবং বদরগঞ্জের পাকার মাথা রেলসেতুর পাশে যমুনেশ্বরী নদীতে গোসলে নেমে অপর দুই শিশু মারা যায়।

জয়পুরহাটে মারা যাওয়া দুই শিশু হলো জয়পুরহাট সদর উপজেলার দিওর গ্রামের মো. আবির হোসেন (৬) ও হুমাইরা আক্তার। আবির হোসেন হারুনুর রশিদের ছেলে ও হুমাইরা হাবিবুর রহমানের মেয়ে। আর বদরগঞ্জে মারা যাওয়া দুই শিশু হলো দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাড়ী গ্রামের সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান (১৩) ও দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামের আফতাব হোসেনের ছেলে আলিফ হোসেন (১২)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দিওর গ্রামের শিশু আবির ও হুমাইরা প্রতিবেশী। তাদের বাড়ির পাশেই একটি পুকুর আছে। রোববার দুপুরে তারা পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে দুই শিশুকে ভাসমান অবস্থায় পুকুরে দেখতে পান। দ্রুত পুকুরে নেমে দুই শিশুকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

জয়পুরহাট সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল কাদের বলেন, দিওর গ্রামে দুই শিশু পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এদিকে বদরগঞ্জের পাকার মাথা রেলসেতুর পশ্চিম প্রান্তে যমুনেশ্বরী নদীতে তিন শিশু একসঙ্গে গোসলে নামে। এর মধ্যে দুই শিশু পানিতে ডুবে যায়। অপর শিশুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে এক শিশুকে উদ্ধার করেন। পরে আরেক শিশুর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। খবর পেয়ে বদরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা এসে অপর শিশুর লাশ উদ্ধার করে।

ওই তিন শিশু বদরগঞ্জের একটি নুরানি মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষার্থী। তারা মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল।

মাদ্রাসাটির শিক্ষক আসাদুল হক বলেন, ‘আজ ছুটির কারণে মাদ্রাসার আবাসিক শাখায় দিনে পাঠদান বন্ধ ছিল। এ কারণে সকাল ১০টার দিকে মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত বড় শিক্ষার্থীদের বাইরে ফুটবল খেলার অনুমতি দিয়ে ছোট শিক্ষার্থীদের মাদ্রাসার ভেতরে রাখা হয়েছিল। ছোট ওই তিন শিশু শিক্ষার্থী মাদ্রাসার পেছনের প্রাচীর টপকিয়ে বাইরে চলে যায়।’

বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, ঘটনাটি হৃদয়বিদারক। দুই শিশুর লাশ পুলিশি হেফাজতে আছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে তুলে দেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ ওর গ র ম বদরগঞ জ উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ