সন্তান আছে প্রমাণ দিলে ২৪ লাখ টাকা দিতে চান তিশা
Published: 6th, July 2025 GMT
দুদিন আগে ছোট পর্দার অভিনেত্রী তানজিন তিশা এক টক শোতে হাজির হয়ে মা হওয়ার ইচ্ছার কথা জানান। সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর তিশার সন্তানের ছবি দাবিতে কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন। যা বেশ আলোড়ন ফেলেছে।
শনিবার জাওয়াদ নির্ঝর তিনটি ছবি প্রকাশ করেন। যেখানে তিনি উল্লেখ করেন, এটি তিশার সন্তানের ছবি। ছবিগুলো পোস্ট করে নির্ঝর লিখেছেন, ‘সেলিব্রিটি হওয়ার পর মানুষ কি তার গর্ভের সন্তানকেও অস্বীকার করতে পারে।
অভিনেত্রী তানজিন তিশা দাবি করেছেন, তার আগের বিয়ের খবর এবং পুত্রসন্তানের খবরগুলো মিথ্যা। যে ছবিগুলো দেখছেন, সেগুলো তিশার মিডিয়ায় আসার আগে।
জাওয়াদ নির্ঝরের দাবি, তিশার একটি পুত্রসন্তান হয়েছিল। তিশার সেই পুত্রসন্তানটি এখন ঢাকায় তার দাদির সঙ্গে থাকে। তিশা টক শোতে মিথ্যা কথা বলেছেন। বছরখানেক আগে তানজিন তিশাকে নিয়ে স্টোরি করতে গিয়ে আমরা তার পুত্রসন্তান এবং সাবেক স্বামীকে খুঁজে বের করেছিলাম। তিশা আপনি প্রমাণ করেন, এই বাচ্চা আপনার ছিল না।’
এরপরই তানজিন তিশা সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন তাঁর সন্তান আছে এটা প্রমাণ করতে পারলে ২০ হাজার ডলার দেবেন।
অভিনেত্রী সামাজিক মাধ্যমে বলেন, ‘অসভ্যদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ! যে অসভ্যরা আমার আদরের ভাগ্নে ভাগ্নিকে নিয়ে তোলা ছবি; আমার লুকিয়ে রাখা সন্তান হিসেবে ভুঁইফোড় অনলাইন পোর্টালে নিউজ করে ২০ ডলার উপার্জনের জন্য! সেই সব অসভ্যদের বলছি- এখন পর্যন্ত আমার লুকিয়ে রাখা যত বাচ্চাকাচ্চা আছে তাদের আমার কাছে পৌঁছে দিলে ২০,০০০ ডলার ভিক্ষা দিব। যদি বাচ্চাকাচ্চাগুলোকে আমার কাছে পৌঁছাতে না পারিস তো? নিজ গালে, নিজ উদ্যোগে, জুতা মার তালে তালে।’
তিশা যে চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন তাঁর বাংলাদেশি মুদ্রায় মূল্যমান ২৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা।
এর আগে ওই শোতে তিশা বলেন, ‘জীবনে অনেক গুজব শুনেছি। তবে এর মধ্যে একটা হচ্ছে- আমার নাকি দুইটা বিয়ে হয়েছে, তিন নম্বর বিয়ের অনুসন্ধান চলছে! আর আমার একটা বেবি আছে, যাকে তার দাদির কাছে লুকিয়ে রেখেছি- এসব গুজব শুনে আমি আমার পরিবার, সকলে মিলে অনেক হাসছি। কারণ বেবিটা আমার না, ওই আমার বোনের বেবি।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প ত রসন ত ন
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্প কীভাবে ‘ম্যাডম্যান তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্ব বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে গত মাসে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ইরানে হামলায় তিনি ইসরায়েলের সঙ্গে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন কি না। জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এটা করতে পারি। আবার আমি না-ও করতে পারি। আমি কী করতে যাচ্ছি, তা কেউই জানে না।’
ট্রাম্প বিশ্বকে এমনটা বিশ্বাস করতে দিয়েছিলেন যে ইরানকে আলোচনা শুরুর সুযোগ দিতে দুই সপ্তাহ হামলা স্থগিত রাখার বিষয়ে তিনি সম্মত হয়েছেন। কিন্তু পরে এ সময়ের মধ্যেই তিনি হামলা চালিয়ে বসেন।
এ ঘটনায় একটি প্রবণতা সামনে এসেছে, ট্রাম্পের সম্পর্কে সবচেয়ে অনুমেয় বিষয়টি হলো তাঁর অননুমেয় আচরণ। তিনি তাঁর চিন্তাভাবনা পরিবর্তন করেন। তিনি স্ববিরোধী কাজ করেন। তাঁর কথা আর কাজে মিল নেই।
লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক পিটার ট্রুবোউইৎজ বলেন, ‘(ট্রাম্প) একটি অত্যন্ত কেন্দ্রীভূত নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়া তৈরি করেছেন, অন্তত পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে। সম্ভবত (প্রেসিডেন্ট) রিচার্ড নিক্সনের পর থেকে এটিই সবচেয়ে কেন্দ্রীভূত।’ তিনি বলেন, ‘এটি নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তগুলোকে ট্রাম্পের আচরণ, তাঁর পছন্দ ও মেজাজ-মর্জির ওপর আরও বেশি নির্ভরশীল করে তুলেছে।’
ট্রাম্প তাঁর এই বৈশিষ্ট্যকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে আসছেন। তিনি তাঁর নিজের অননুমেয় আচরণকে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত ও রাজনৈতিক সম্পদে পরিণত করেছেন। তিনি এই অননুমেয় আচরণকে একটি মতবাদ বা নীতির পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। আর এখন যে ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য তিনি হোয়াইট হাউসে নিয়ে এসেছেন, সেটিই পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। এটি বিশ্বব্যবস্থার বিদ্যমান কাঠামো পাল্টে দিচ্ছে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা এটিকে ‘ম্যাডম্যান থিওরি’ বা ‘খ্যাপাটে তত্ত্ব’ বলে থাকেন। এই তত্ত্বে একজন বিশ্বনেতা তাঁর প্রতিপক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, তিনি নিজের মেজাজ-মর্জিমতো যেকোনো কিছু করতে সক্ষম, যাতে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করা যায়। সফলভাবে ব্যবহার করা হলে এটি একধরনের জবরদস্তি বা চাপ প্রয়োগের কৌশল হতে পারে। ট্রাম্প বিশ্বাস করেন, এটি সুফল দিচ্ছে এবং এর মাধ্যমে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের তাঁর পছন্দমতো অবস্থানে নিয়ে আসতে পারছেন।
কিন্তু এটি কি এমন পদ্ধতি, যা শত্রুদের বিরুদ্ধেও কাজে দেবে? আর এর ত্রুটি কি এমনটি হতে পারে যে এটি প্রতিপক্ষকে বোকা বানানোর জন্য তৈরি করা একটি কৌশল না হয়ে বরং সুপ্রতিষ্ঠিত ও সুস্পষ্ট চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে গঠিত, যার ফলে তাঁর আচরণ আরও সহজে অনুমানযোগ্য হয়ে ওঠে?
কথার আক্রমণ, অপমান ও কাছে টানা
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে কাছে টেনে আর আমেরিকার মিত্রদের কথার আক্রমণের মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু করেন। তিনি কানাডাকে অপমান করে বলেছিলেন, দেশটির যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হয়ে যাওয়া উচিত।
ট্রাম্প বলেছিলেন, গ্রিনল্যান্ডকে (আমেরিকার মিত্র ডেনমার্কের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল) যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একীভূত করার জন্য সামরিক শক্তি প্রয়োগের কথা বিবেচনা করতে তিনি প্রস্তুত। তিনি আরও বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত পুনরায় পানামা খালের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ নেওয়া।
সামরিক জোট ন্যাটো সনদের ৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রতিটি সদস্যদেশ অন্য দেশকে রক্ষায় এগিয়ে আসার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের এ অঙ্গীকারকে সংশয়ের মধ্যে ফেলে দেন। যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেন, ‘আমি মনে করি, (ন্যাটো সনদের) ৫ অনুচ্ছেদ লাইফ সাপোর্টে আছে।’
ন্যাটো সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (প্রথম সারিতে বাঁ থেকে চতুর্থ) ও বিশ্বনেতারা