নোয়াখালীর কবিরহাটে বাড়ির ভেতর সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে আহত হোসনে আরা বেগম (৭০) মারা গেছেন। ঘটনার ছয়দিন পর রবিবার (৬ জুলাই) সকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান। অভিযোগ উঠেছে, হামলাকারীরা মারা যাওয়া নারীর শরীরে থাকা স্বর্ণালংকার ও নগদ তিন লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (১ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জগদানন্দ গ্রামের কামাল কোম্পানির বাড়িতে তিনি হামলার শিকার হন।

নিহত হোসনে আরা বেগম আত্মগোপনে থাকা রাজনীতিতে নিষিদ্ধ কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কামাল খাঁন ওরফে কামাল কোম্পানির মা।  

আরো পড়ুন:

মেয়েকে হত্যার পর খালে ভাসিয়ে দিল বাবা

গাজীপুরে চাঁদাবাজির টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে যুবক খুন

স্থানীয়রা জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হোসনে আরা বেগম বাড়িতে একা ছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সন্ত্রাসীরা তার ঘরে প্রবেশ করে। সন্ত্রাসীরা হোসনে আরা বেগমের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিনটি কোপ দেয়। এরপর তার শরীরে থাকা প্রায় চার ভরি স্বর্ণালংকার ও ঘরে থাকা সাড়ে তিন লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। 

নিহতের নাতি সালমান বাড়িতে এসে দেখেন তার দাদি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে গুরুতর অবস্থায় হোসনে আরা বেগমকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ৭টার দিকে তিনি মারা যান।  

নিহতের ছেলে মাইনউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, “এটি কোনো চুরি নয়, এটি ডাকাতির ঘটনা।”  

কবিরহাট থানার ওসি শাহীন মিয়া বলেন, “নিহতের ছেলে মাইনউদ্দিন বাদী হয়ে এ ঘটনায় নাম না জানা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছেন। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। নিহত হোসনে আরা বেগম সব সময় শরীরে স্বর্ণালংকার ব্যবহার করতেন। ধারণা করা হচ্ছে, চুরি করতে আসা লোককে চিনে ফেলায় তাকে গুরুতর জখম করা হয়। পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে।”

ঢাকা/সুজন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য অভ য গ

এছাড়াও পড়ুন:

বাড়িতে ঢুকে ছুরিকাঘাত, ৬ দিন পর মৃত্যু

নোয়াখালীর কবিরহাটে বাড়ির ভেতর সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে আহত হোসনে আরা বেগম (৭০) মারা গেছেন। ঘটনার ছয়দিন পর রবিবার (৬ জুলাই) সকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান। অভিযোগ উঠেছে, হামলাকারীরা মারা যাওয়া নারীর শরীরে থাকা স্বর্ণালংকার ও নগদ তিন লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (১ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জগদানন্দ গ্রামের কামাল কোম্পানির বাড়িতে তিনি হামলার শিকার হন।

নিহত হোসনে আরা বেগম আত্মগোপনে থাকা রাজনীতিতে নিষিদ্ধ কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কামাল খাঁন ওরফে কামাল কোম্পানির মা।  

আরো পড়ুন:

মেয়েকে হত্যার পর খালে ভাসিয়ে দিল বাবা

গাজীপুরে চাঁদাবাজির টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে যুবক খুন

স্থানীয়রা জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হোসনে আরা বেগম বাড়িতে একা ছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সন্ত্রাসীরা তার ঘরে প্রবেশ করে। সন্ত্রাসীরা হোসনে আরা বেগমের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিনটি কোপ দেয়। এরপর তার শরীরে থাকা প্রায় চার ভরি স্বর্ণালংকার ও ঘরে থাকা সাড়ে তিন লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। 

নিহতের নাতি সালমান বাড়িতে এসে দেখেন তার দাদি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে গুরুতর অবস্থায় হোসনে আরা বেগমকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ৭টার দিকে তিনি মারা যান।  

নিহতের ছেলে মাইনউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, “এটি কোনো চুরি নয়, এটি ডাকাতির ঘটনা।”  

কবিরহাট থানার ওসি শাহীন মিয়া বলেন, “নিহতের ছেলে মাইনউদ্দিন বাদী হয়ে এ ঘটনায় নাম না জানা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছেন। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। নিহত হোসনে আরা বেগম সব সময় শরীরে স্বর্ণালংকার ব্যবহার করতেন। ধারণা করা হচ্ছে, চুরি করতে আসা লোককে চিনে ফেলায় তাকে গুরুতর জখম করা হয়। পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে।”

ঢাকা/সুজন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ