আফগান অভিবাসী ও শরণার্থীদের নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ার সাথে সাথে দেশ ত্যাগ করতে বলেছে ইরান। নির্দেশ না মানলে তাদের গ্রেপ্তারের মুখোমুখি হতে হবে বলে জানিয়েছে তেহরান।

আফগানিদের দেশত্যাগের জন্য রবিবার পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দিয়েছিল ইরান সরকার।

ইরানে আনুমানিক ৪০ লাখ আফগান অভিবাসী এবং শরণার্থী বাস করে। অনেকেই কয়েক দশক ধরে সেখানে বসবাস করছেন।

মানবিক সংস্থাগুলো সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এভাবে গণনির্বাসন বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ আফগানিস্তানকে আরো অস্থিতিশীল করতে পারে।

২০২৩ সালে তেহরান বিদেশীদের বহিষ্কারের জন্য একটি অভিযান শুরু করে। ইরানের বলেছে, এই বিদেশীরা ‘অবৈধভাবে’ বসবাস করছে। মার্চ মাসে ইরান সরকার অবৈধভাবে বসবাসরত আফগানদের ৭ জুলাইয়ের মধ্যে দেশত্যাগের নির্দেশ দেয়। এরপর থেকে সাত লাখেরও বেশি আফগান ইরান চলে গেছে এবং আরো লাখ লাখ বহিষ্কারের মুখোমুখি হচ্ছে। 

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধের সময় ইরান প্রতিদিন গড়ে ৩০ হাজারেরও বেশি আফগানকে ফেরত পাঠিয়েছে।

ইরান সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি বলেন, “আমরা সবসময় ভালো আতিথ্য প্রদানের চেষ্টা করেছি, কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তা একটি অগ্রাধিকার, এবং স্বাভাবিকভাবেই অবৈধ নাগরিকদের ফিরে যেতে হবে।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মেয়েকে নৌকায় বসিয়ে নদীতে ডুব দিয়ে আর উঠতে পারেননি তিনি

চার বছর বয়সী মেয়ে রুসফিয়াকে নিয়ে বাড়ির পাশের করতোয়া নদীতে গোসল করতে গিয়েছিলেন মাসুম আল মামুন (৪২)। নদীর ধারে বেঁধে রাখা নৌকায় মেয়েকে বসিয়ে রেখে পানিতে ডুব দিয়েছিলেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ বাবাকে উঠতে না দেখে দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি মাকে জানায় রুসফিয়া। পরে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। পরে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়েছে মাসুমের লাশ।

রোববার বিকেলে পঞ্চগড় পৌরসভার আহমদনগর এলাকাসংলগ্ন করতোয়া নদীতে এ ঘটনা ঘটে। মৃত মাসুম আল মামুনের বাড়ি আহমদনগর এলাকায়। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী ছিলেন।

নিহত মাসুম আল মামুনের মামাতো ভাই জাফর আহমদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নদীতে নেমে তাঁকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে বিকেল ছয়টার দিকে পানির নিচে মাসুমকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তিনি বলেন, তাঁরা শুনেছেন মাসুমের হৃদ্‌রোগ ছিল। পানিতে ডুব দেওয়ার পর তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে তাঁরা ধারণা করছেন।

পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা তুষার কান্তি রায় বলেন, ‘খবর পেয়ে বিকেল পাঁচটার দিকে আমরা নিখোঁজ ওই ব্যক্তিকে উদ্ধারে নদীতে নামি। এ সময় আমাদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনও নদীতে নেমেছিলেন। প্রায় ৪৫ মিনিট খোঁজাখুঁজির পর হঠাৎ করেই স্থানীয় একজনের পায়ে মানুষের শরীরের মতো কিছু একটা লাগে। পরে সেখান থেকে মাসুম আল মামুনের লাশ খুঁজে পাই। পরে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।’

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ