টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭
Published: 6th, July 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের মধ্যাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭ তে পৌঁছেছে। রবিবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর একটি কের কাউন্টি। এখানে ৫৯ জন, ট্র্যাভিস কাউন্টিতে ৪ জন, বার্নেট কাউন্টিতে ৩ জন, কেন্ডাল কাউন্টিতে এক জন মারা গেছেন।
কের কাউন্টির শেরিফ ল্যারি এল.
সংবাদ সম্মেলনে টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট বলেছেন, বন্যার পর ‘বিপুল সংখ্যক মানুষ বিপর্যয়ের কবলে পড়েছে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘টেক্সাসের কের কাউন্টির জন্য একটি বড় দুর্যোগ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছি, যাতে আমাদের সাহসী প্রথম প্রতিক্রিয়াকারীদের তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় সম্পদ নিশ্চিত করা যায়।’
স্থানীয় সময় শুক্রবার টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের স্যান অ্যান্টোনিও শহরে প্রবল বর্ষণের ফলে সেখানকার গুয়াদালুপ নদীর পানি প্রায় ৯ মিটার বেড়ে যায়। নদীর কাছেই শিশুদের গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্প ছিল। ওই ক্যাম্পে ৭৫০ শিশু অবস্থান করছিল।
ঢাকা/শাহেদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র ক উন ট ক উন ট ত
এছাড়াও পড়ুন:
মন ছুঁয়ে গেল আমিরের ‘সিতারে জমিন পর’
টিকিট বুকিং আগেই ছিল। দিনের শেষ শো। এডমন্ডসন পার্কের ইডি স্কয়ারের ইভেন্ট সিনেমা হলে পরিবার নিয়ে পৌঁছালাম। সিনেমার নাম ‘সিতারে জমিন পর’—মন বলছিল, বিশেষ কিছু অপেক্ষা করছে। পাশে আমার মেয়ে, ছোট ভাইবোনেরা। মনে মনে ভাবছিলাম, এক হিন্দি ছবি কী-ই বা নতুন দেখাবে! কিন্তু ছবির শেষে আমরা সবাই আসনেই বসে রইলাম—নিঃশব্দ। আচ্ছন্ন আমরা সবাই। বুঝলাম ‘সিতারে জমিন পর’ কোনো সাধারণ সিনেমা নয়—এ যেন এক আত্মানুসন্ধানের গল্প। ‘তারে জমিন পর’ ছবির আবেগঘন ভিত্তির ওপর দাঁড়ানো এই ছবির সিকুয়েলও ঠিক ততটাই আবেগময়, তবে ভিন্ন বাস্তবতায়। বিশেষভাবে চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের নিয়ে ছবির গল্প ভাবায়, কাঁদায় আর বিবেকেও প্রশ্ন তোলে—‘স্বাভাবিক’ বা ‘নরমাল’ বলতে আমরা কী বুঝি?
জীবনের গল্প
ছবির কেন্দ্রে আমির খানের চরিত্র গুলশান অরোরা। একজন বাস্কেটবল কোচ, যিনি জেদি, রাগী, কিন্তু ভেতরে লুকিয়ে আছে তাঁর গভীর মানসিক ক্ষত, অতীতের দগদগে স্মৃতি আর সমাজের চাপিয়ে দেওয়া ‘স্ট্রং পুরুষ’ হয়ে ওঠার অমানবিক চাপ। এই কোচ গড়ে তোলেন একদল বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন খেলোয়াড় নিয়ে তৈরি দল। যেখানে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জীবন নিজের ভেতরেই এক একটি যুদ্ধক্ষেত্র। তাঁরা শুধু খেলেন না—জীবনের ব্যাখ্যাও নতুন করে শেখান। ছবির এক অসাধারণ মুহূর্তে, একটি ছোট্ট মেয়ে কোচকে শেখায় ‘সরি’ বলা কত সহজ, তখন বুকের কোথাও কাঁপুনি অনুভব করি। মনে হয়, এ কেবল সিনেমা নয়—আমাদের মধ্যেই ঘটে যাওয়া গল্প।