সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে জেনিন পরিবহনের একটি বাস উল্টে একজন যাত্রী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল ৮টায় সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর আঞ্চলিক সড়কের সোনামুখীতে এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।

নিহত যাত্রীর নাম আইনুল হক (৬০) । তার বাড়ি কাজীপুরের সোনামুখী ইউনিয়নের পাঁচগাছি গ্রামে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি করছে। 

কাজিপুর থানার ওসি নুর আলম জানান, কাজিপুর থেকে ঢাকাগামী জেনিন পরিবহনের একটি বাস বেপরোয়া চালিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে, ঘটনাস্থলেই এক যাত্রী নিহত ও পাঁচজন আহত হন। হতাহতদের উদ্ধার করে কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বাসটি ঘটনাস্থলে উল্টে আছে। চালক-হেলপার দুর্ঘটনার পর পরই পালিয়েছে।

ওসি বলেন, স্থানীয়রা জানিয়েছেন বাসটি চালাচ্ছিলেন হেলপার। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এ ঘটনায় জেনিন বাস কাউন্টার সার্ভিসের মালিক জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি মিসবাহুল ইসলাম লিটনের মুঠোফোনে কল করলেও সাড়া মেলেনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ ন হত সড়ক দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

কিশোরগঞ্জে হেযবুত তওহীদের গোলটেবিল বৈঠকে পুলিশি বাধা, সভা পণ্ড

কিশোরগঞ্জে হেযবুত তওহীদের একটি গোলটেবিল বৈঠক পুলিশের বাধার কারণে পণ্ড হয়ে যায়। কেন্দ্রঘোষিত ‘রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাবনা—তওহীদভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা’ শিরোনামে আজ সোমবার বেলা ১১টায় শহরের একটি রেস্তোরাঁর পার্টি সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে পুলিশের বাধার কারণে শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি পণ্ড হয়ে গেছে।

আয়োজনের কয়েক দিন আগে থেকেই জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদেরও দাওয়াত দিয়েছিল হেযবুত তওহীদ। সংগঠনের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনুষ্ঠান সম্পর্কে প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়।

সংগঠন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার বেলা ১১টার দিকে গোলটেবিল বৈঠক শুরু হওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হয় কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল। এ আয়োজনের জন্য প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া হয়নি জানিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দেয় পুলিশ। এ সময় নেতারা বৈঠকে উপস্থিত লোকদের কাছে বিদায় নেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে একটু সময় চান। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক সভা বন্ধ করতে বলে। ফলে হেযবুত তওহীদের নেতা-কর্মীরা বৈঠক করতে পারেননি। পরে সংগঠনের প্রচারপত্র বিতরণ করে উপস্থিতি লোকজনকে বিদায় দেন বৈঠকের আয়োজকেরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ অনুষ্ঠান করার জন্য প্রশাসনের কাছ থেকে হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। অনুমতি ছাড়া সভা করা উচিত হয়নি। যে কারণে তাদের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এ সময় কিশোরগঞ্জ জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি সোহানুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল আলম। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় সভাপতি এনামুল হক, ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি তসলিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন জেলার নারী সম্পাদক সাথী আক্তার।

এ বিষয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাহফুজুল আলম বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র গঠনে বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। আমরাও আমাদের প্রস্তাব সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজের কাছে দিয়েছি। এই প্রস্তাব বিষয়েই আমরা সারা দেশে আলোচনা সভা ও বৈঠক করে যাচ্ছি। তবে কোথাও কোনো বাধা দেওয়া হয়নি। জাতীয় প্রেসক্লাবেও অনুষ্ঠান করেছি। কিন্তু কিশোরগঞ্জে আমাদের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়াটা খুবই দুঃখজনক।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ