অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপারদের নিয়ে ঢাকায় চলছে ড্রয়েডকন বাংলাদেশ
Published: 20th, June 2025 GMT
২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে ১৩৭.৮ বিলিয়ন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ও গেমস ডাউনলোড হয়েছে। বৈশ্বিক অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ মার্কেটের আকার দ্রুত বড় হওয়ায় ২০৩০ সালের মধ্যে এই খাতের আর্থিক পরিমাণ ৬২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। বিশ্বজুড়ে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপারের সংখ্যা দ্রুত বাড়লেও বাংলাদেশিদের সংখ্যা বেশ কম। বাংলাদেশের অ্যাপ ডেভেলপারদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও বৈশ্বিক বাজারে উপস্থিতি বাড়াতে রাজধানীর ইন্ডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশে (আইইউবি) শুরু হয়েছে ড্রয়েডকন বাংলাদেশ। দুই দিনের আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে দেশ-বিদেশের ৫০০ জনেরও বেশি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপার অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনে ২০টিরও বেশি কারিগরি সেশনে অ্যাপ তৈরি ও ক্যারিয়ারবিষয়ক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন ২৫ জন আন্তর্জাতিক বক্তা।
ড্রয়েডকন বাংলাদেশের আয়োজক অস্ট্রিয়ার নেটিভ ওয়েবসের জ্যেষ্ঠ অ্যান্ড্রয়েড প্রকৌশলী মহি-উস-সুন্নাত প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ আয়োজনের মাধ্যমে নবীন ডেভেলপারদের দক্ষতা কোন কোন ক্ষেত্র বাড়ানো প্রয়োজন, তা জানার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। নবীন ডেভেলপার ও ভবিষ্যতে যাঁরা অ্যাপ ডেভেলপমেন্টে ক্যারিয়ার গড়বেন, তাঁদের দক্ষতা বাড়াতে এ আয়োজন। বৈশ্বিক হিসাবের সঙ্গে তুলনা করলে আমাদের দেশে অ্যাপ ডেভেলপারদের সংখ্যা কম। আবার দক্ষতারও ঘাটতি রয়েছে। সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পেশাজীবী, স্টার্টআপে আগ্রহী তরুণ, ডেভেলপার, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রযুক্তি খাতে আগ্রহী ব্যক্তিরা অংশ নিচ্ছেন।’
আগামীকাল শনিবার সম্মেলনে অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা, মোবাইল টেস্টিংয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার, কটলিন মাল্টি প্ল্যাটফর্ম ও ইঞ্জিনিয়ারিং নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা করা হবে। জেলেফের ভাইস প্রেসিডেন্ট আনাম আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রযুক্তি–দুনিয়া কল্পনার চেয়েও বেশি গতিতে বদলে যাচ্ছে। আমরা আগে মুঠোফোনসহ যেসব প্রযুক্তি দেখতাম, সেখানে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমরা আগে কোডিং ও প্রোগ্রামিংকে গুরুত্ব দিতাম। সামনের একটা সময় আসবে, যখন এআই প্রজন্ম হিসেবে বিবেচিত হবে মানুষ। সেই সময়কার প্রযুক্তি দুনিয়ার ভাবনা ও আগামী কেমন হবে, তা জানার দারুণ সুযোগ মেলে এসব আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে। ২০১৭ সালে ঢাকায় সর্বশেষ ড্রয়েডকন আয়োজন করা হয়েছিল।’
সম্মেলনের মূল পৃষ্ঠপোষক ডায়নামিক সলিউশন ইনোভেটরস লিমিটেড। গোল্ড স্পনসর হিসেবে রয়েছে ব্রেইন স্টেশন ২৩ এবং চেক। কমিউনিটি পার্টনার হিসেবে রয়েছে বিডিঅ্যাপস, জেটব্রেইনস ও অ্যাজাইল বাংলাদেশ। সম্মেলনের ভেন্যু সহযোগী আইইউবি আইইইই বাংলাদেশ শাখা এবং আইইউবির কম্পিউটার ও প্রকৌশল বিভাগ (সিএসই)। সহ-আয়োজক হিসেবে রয়েছে টেকবাইট সলিউশনস।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নিয়ম ভেঙে বিদেশ সফর, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ৫ নির্দেশনা
সরকারি নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ব্যক্তিগতভাবে বিদেশ ভ্রমণে যাচ্ছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর ফলে শুধু সরকারি বিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে না, পাশাপাশি দাপ্তরিক কাজেও ব্যাঘাত ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে বিদেশ সফর নিয়ন্ত্রণে ৫ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তারা ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিদেশি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে বিদেশ সফরে যাচ্ছেন, যা বিধি পরিপন্থি। আবার অনেক ক্ষেত্রে আমন্ত্রণপত্রও সরাসরি প্রেরণ করা হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের কাছে, যা মন্ত্রণালয় বা দপ্তর প্রধানের মাধ্যমে হওয়া উচিত ছিল। একই সঙ্গে একাধিক কর্মকর্তা একই সময়ে বিদেশ সফরে যাওয়ার ঘটনাও দেখা গেছে। এসব অনিয়ম বন্ধে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ৫টি নির্দেশনা জারি করেছে।
আরো পড়ুন:
রাষ্ট্রদূত হলেন দুই সেনা কর্মকর্তা
জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৫টি নির্দেশনা
১. বিদেশি সংস্থার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ নয়: কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী ব্যক্তিগতভাবে বিদেশি সংস্থার সঙ্গে সরাসরি পত্র যোগাযোগ করতে পারবেন না। যোগাযোগ করতে হবে মন্ত্রণালয়ের সচিব অথবা দপ্তর/সংস্থা প্রধানের মাধ্যমে।
২. আমন্ত্রণপত্র সংগ্রহে বিরত থাকার আহ্বান: ব্যক্তিগত উদ্যোগে কোনো বিদেশি সংস্থার কাছ থেকে আমন্ত্রণপত্র সংগ্রহ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৩. বিদেশ ভ্রমণের পূর্বে অনুমতি: সব কর্মকর্তাকে বিদেশ ভ্রমণের আগে নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়কে যথাযথভাবে অবহিত করতে হবে।
৪. পূর্বানুমতি গ্রহণ: বিদেশি সংস্থার সঙ্গে আমন্ত্রণ সংক্রান্ত কোনো যোগাযোগের পূর্বে সচিব (মন্ত্রণালয়) অথবা দপ্তর/সংস্থা প্রধানের অনুমতি নিতে হবে।
৫. জনস্বার্থ যাচাই: বিদেশি সংস্থার আমন্ত্রণে অংশগ্রহণকারী অনুষ্ঠান বা সেমিনার পেশাগত উন্নয়ন, প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম এবং জনস্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কি না, তা যাচাই করে অনুমতি দিতে হবে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে সরকারি নিয়মনীতি বজায় থাকে এবং দাপ্তরিক কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চলতে পারে।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ