Samakal:
2025-08-05@09:00:34 GMT

ভূমিকম্পে কাঁপল ইরান

Published: 21st, June 2025 GMT

ভূমিকম্পে কাঁপল ইরান

ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান সংঘাতের মধ্যেই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে ইরানে। স্থানীয় সময় শুক্রবার ৫ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠছে ইরানের বিভিন্ন প্রদেশ। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূকম্পনটির উৎপত্তি ইরানের কোম শহরে। খবর গার্ডিয়ানের।

রাজধানী তেহরানের বাসিন্দারাও কম্পন টের পেয়েছেন। এ সময় তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয় ইসরায়েলি হামলার কারণে মাটি কেঁপে উঠেছে। তবে পরবর্তীতে জানা যায় কোম শহরে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যেটির প্রভাব দেশের বিভিন্ন জায়গায় পড়েছে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ভ ম কম প ভ ম কম প

এছাড়াও পড়ুন:

পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫-২০ টাকা, ডিমের দাম আগের মতো বাড়তি

আজ ছুটির দিনে রাজধানীর বাজারে ক্রেতার ভিড় চোখে পড়ার মতো। ব্যবসায়ীরাও বলছেন, আজ বাজারে ক্রেতাসমাগম ও বিক্রি দুটিই ভালো। তবে বাজারে পেঁয়াজ ও আদার ঝাঁজ বেড়েছে। ডিমের দাম গত সপ্তাহের মতো ডজনপ্রতি সব ধরনের ডিমে এখনো ১০ টাকা বাড়তি। দাম কমেনি ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির।

গত দুই থেকে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। পাশাপাশি বাজারে এখনো চড়া আছে সবজি ও কাঁচা মরিচের দাম। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও কারওয়ান বাজারে এই চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঢাকায় আজ কেজিপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল যা ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ, রসুন ও আদার পাইকারি ব্যবসায়ী বশির শেখ বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের দাম বাড়তি। আগে এক পাল্লা (৫ কেজি) পেঁয়াজ বিক্রি করতাম ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা। এখন বিক্রি করছি ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়। এখনো বাজারে কৃষকের সংরক্ষিত পুরোনো পেঁয়াজ আসছে। তাই সরবরাহ কিছুটা কম। সে জন্য দামও কিছুটা বাড়তি। পরের মৌসুমে নতুন পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম কমে যাবে।’    

বাজারে ডিমের দাম উঠেছে ডজনপ্রতি ১৩০-১৪০ টাকা। গত সপ্তাহ থেকে ডজনপ্রতি এই দামেই বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারে পাইকারি দামে সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা ডজন ও লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। এর সঙ্গে ঢাকায় আজ প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তিন সপ্তাহ আগে এক কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি। সপ্তাহ দুয়েক আগে এই মুরগির কেজি ছিল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। সেই হিসাবে কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ২০ টাকা ও সোনালি মুরগি কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়েছে।

খুচরা বিক্রেতা জানান, গতকালও মুরগির দাম কমেছিল। ব্রয়লার মুরগি ১৫০-১৬০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে। তবে বিক্রি ভালো ছিল না। আজ ছুটির দিন হওয়ায় বাজারে ক্রেতার ভিড় বেশি থাকবে বলে পাইকারি বাজারে মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে পাইকাররা। এ কারণে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।  

এদিকে গত দুই থেকে তিন সপ্তাহ মৌসুমি বৃষ্টির কারণে সবজির দাম বেড়েছে। আজ রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। তবে মৌসুমি বৃষ্টি শুরুর আগে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ কেনা যেত ৮০ থেকে ১২০ টাকায়। বিক্রেতারা জানান, বাজারে এখন দেশে উৎপাদিত কাঁচা মরিচের সরবরাহ কিছুটা কম। এই সুযোগে সরবরাহ বেড়েছে ভারত থেকে আমদানি করা কাঁচা মরিচের। এটিও মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ার একটি কারণ।

বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজির দামও আগের তুলনায় বেশি। করলা, কাঁকরোল, বেগুন, বরবটিসহ অধিকাংশ সবজির কেজি এখন ৬০ থেকে ৮০ টাকার আশপাশে। দেশি টমেটো এখন পাওয়া যায় না বললেই চলে। এ কারণে আমদানি করা টমেটোর দাম বেশি, প্রতি কেজি ১৪০-১৫০ টাকা। তবে বেড়েছে বেগুনের দাম। গোল ও লম্বা আকৃতির বেগুনের দাম প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়।

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ আনিস বলেন, সব ধরনের সবজির দাম বৃষ্টির কারণে কিছুটা বেড়েছে। প্রতি কেজি সবজিভেদে ৫-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে সরবরাহ ভালো। বৃষ্টি থামলে শাকসবজির দাম হয়তো কিছুটা কমবে।      

মাস দেড়েক আগে বাজারে মিনিকেট চালের দাম বেড়েছিল। এখনো সে দামেই বাজারে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে ডায়মন্ড, সাগর, মঞ্জুর প্রভৃতি ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল ৮০ টাকা ও মোজাম্মেল ব্র্যান্ডের মিনিকেট ৮৫-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ