সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ধলাই নদে বালু ও পাথর লুট ঠেকাতে নৌকা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। নির্দেশনা অনুযায়ী, ধলাই সেতুর নিচের দুই পাশের ৫০০ মিটার এলাকা থেকে সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র পর্যন্ত পর্যটকবাহী নৌকা ছাড়া অন্য নৌকা চলাচল করতে পারবে না।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রবিন মিয়া বলেন, ধলাই সেতু রক্ষার পাশাপাশি পাথর ও বালু লুট ঠেকাতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করে গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে প্রচার করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দরা বলছেন, ধলাই সেতুর নিচের এলাকা থেকে পাথর ও বালু লুটপাটের কারণে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। পাথর ও বালু লুটের প্রতিবাদে তাঁরা মানববন্ধন, বিক্ষোভ, স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি পালন করেছেন। এরপরও ধলাই সেতুর নিচ থেকে অবৈধভাবে বালু ও পাথর লুট চলছিল।

বালু উত্তোলনের দায়ে দুজনের কারাদণ্ড

গতকাল রাতে ধলাই সেতুর নিচ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে দুজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন কোম্পানীগঞ্জের ডাকঘর গ্রামের শফিক আহমেদ (৪০) ও মোহাম্মদ কুদ্দুস (৩০)।
গতকাল রাত দেড়টার দিকে কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও মোহাম্মদ রবিন মিয়ার নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে এ কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জাহানারা ইমামের বই বিক্রি: বাংলা একাডেমির বক্তব্য এবং প্রতিবেদকের ব্যাখ্যা

সংগ্রহশালায় দেওয়া শহীদ জননী জাহানারা ইমামের বই বিক্রি করা নিয়ে প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে একটি বক্তব্য দিয়েছে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ।

তাতে দাবি করা হয়েছে, প্রতিবেদনে কিছু ‘আংশিক সত্য’ উপস্থাপন করা হয়েছে; কিছু অংশ এমনভাবে হাইলাইট করা হয়েছে, যাতে পাঠক বিভ্রান্তির মধ্যে পড়বেন।

৮ নভেম্বর প্রকাশিত ‘জাহানারা ইমামের দেওয়া বই বিক্রি করেছে বাংলা একাডেমি, এখন দাম হাঁকা হচ্ছে লাখ টাকা’ শিরোনামের প্রতিবেদন নিয়ে ৯ নভেম্বর একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম ‘বাংলা একাডেমি গ্রন্থাগারের জাহানারা ইমাম সংগ্রহের বই–সম্পর্কিত বিতর্ক বিষয়ে বাংলা একাডেমির বক্তব্য’ পাঠান।

‘অনলাইনে বিভ্রান্তিকর শিরোনাম এবং হাইলাইটস ব্যাপকভাবে টেমপ্লেট আকারে প্রচারিত হয়েছে’ জানিয়ে লিখিত এই বক্তব্যে বলা হয়, এটি বহুজনের মনোযোগের বিষয় হয়ে ওঠার কারণে বাংলা একাডেমি শুধু সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্রে বক্তব্য না পাঠিয়ে সাধারণ বিবৃতি আকারে দিয়েছে।

বই বিক্রির ব্যাখ্যায় বাংলা একাডেমির বক্তব্যে বলা হয়েছে, পরিত্যক্ত হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে মজুত থাকা কয়েক হাজার বই ও অন্য কাগজপত্র গত ২৫ জুন থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিধি অনুযায়ী নিলামে বিক্রি করা হয়। কারণ, মজুত রাখার ঘরটি সম্পূর্ণ ভর্তি হয়ে গিয়েছিল।

কয়েক বছর আগে থেকে জাহানারা ইমামসহ অন্যদের দেওয়া বইগুলো যেভাবে ছিল, ঠিক সেভাবেই আছে জানিয়ে বাংলা একাডেমি বলেছে, এ বিষয়ে কোনো নতুন কমিটি গঠিত হয়নি বা সংগ্রহশালা পুনর্মূল্যায়নের কোনো ঘটনাও ঘটেনি। অন্তত এক দশক ধরে জমা হওয়া পরিত্যক্ত বইগুলোই কেবল বিক্রি করা হয়েছে। এর মধ্যে গত এক বছরে নতুন যুক্ত হয়েছে কেবল গত বছরের বইমেলায় প্রাপ্ত মানহীন ও পরিত্যক্ত ঘোষিত বইগুলো।

জাহানারা ইমামকে নিজের সংশপ্তক বইটি উপহার দিয়েছিলেন শহীদুল্লা কায়সার, তা এখন ফেসবুক পেজে বিক্রির তালিকায় উঠেছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ