ইবিতে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু বৈদ্যুতিক শাটলের
Published: 20th, September 2025 GMT
প্রথমবারের মতো পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক শাটল কার (ইভি) উদ্বোধন করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) প্রশাসন।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) পরীক্ষামূলকভাবে ১৪ সিটের চারটি বৈদ্যুতিক কার উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
আরো পড়ুন:
পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে ধরা ঢাবি হল সংসদ নেতাসহ ৬ শিক্ষার্থী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: পোষ্য কোটা নিয়ে ছাত্র-শিক্ষক হাতাহাতি
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির চেয়ারম্যান ড.
জানা গেছে, বৈদ্যুতিক শাটল কারগুলো পুরো ক্যাম্পাসে যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত হবে। প্রাথমিকভাবে যেকোনো দূরত্বের জন্য ভাড়া ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গাড়িগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কিস্তিতে কেনা হয়েছে, যেখানে ২ বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ মালিকানা পাবে।
এই পদ্ধতিকে ‘আয় থেকে দায় শোধ’ মডেল হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে। আধুনিক ডিজাইনের এসব শাটলে রয়েছে ছাউনির ব্যবস্থা, যা যাত্রীদের রোদ-বৃষ্টি থেকে সুরক্ষা দেবে। পরিবেশবান্ধব ও শব্দহীন এই যানগুলো ক্যাম্পাসে একটি টেকসই যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে তুলবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের এই বৈদ্যুতিক শাটল। ইনশাআল্লাহ আগামীকাল থেকে শিক্ষার্থীরা এটি ব্যাবহার করতে পারবে। যে কোম্পানি থেকে আমরা এই শাটলগুলো নিয়েছি সেই কোম্পানিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
বৈদ্যুতিক শাটল কার সরবরাহ করছে ডিএফএসকে বাংলাদেশের মা এন্টারপ্রাইজ, যারা বাংলাদেশের একমাত্র স্বীকৃত ইলেকট্রিক যানের ডিলার। প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রিক যান ভাড়ার সফল সেবা দিচ্ছে।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
৩ দাবিই পূরণ চান অনশনরত জবি শিক্ষার্থীরা
শিক্ষার্থীদের লাগাতার অনশন কর্মসূচির মুখে অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রথমবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে।
তবে এই ঘোষণায় সন্তুষ্ট নন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তিন দফা দাবির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ছাড়া অনশন ভাঙবেন না বলে জানিয়েছেন তারা।
আরো পড়ুন:
জানুয়ারি থেকে বিশেষ বৃত্তি পাবেন জবি শিক্ষার্থীরা
জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে।
রোডম্যাপ অনুযায়ী, চলতি বছরের ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে জকসু নির্বাচন। এর আগে আগামী ৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে এবং কমিশন ১১তম দিনে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করবে।
রোডম্যাপ ঘোষণার পরও অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, “আমরা অনশনকারীদের সঙ্গে একমত। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, “আমরা শর্তসাপেক্ষ কোনো ঘোষণা মানব না। আমাদের দাবি ছিল তিনটি—শুধু জকসু নির্বাচন ঘোষণা করে হবে না। তাই অনশন চালিয়ে যাব।”
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদস্য সচিব শাহিন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, “রোডম্যাপে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। বিধি কবে পাস হবে তা স্পষ্ট করা হয়নি। আবারও আমাদের মুলা দেখানোর চেষ্টা চলছে। এজন্য আমরা অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি কার্যকর হওয়ার নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা; জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ; ক্যাফেটেরিয়ায় ভর্তুকি দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে আধুনিক সুবিধা ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু।
এর আগে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের নিচে তিন দফা দাবিতে অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। অনশনে অংশ নেয় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস), ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই দশক পর এবারই প্রথমবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা হলো। কিন্তু ঘোষণায় অস্পষ্টতা ও শর্ত যুক্ত করার অভিযোগে অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী