শাহরুখের বাড়ি মান্নাতে সত্যিই কি অবৈধ নির্মাণকাজ চলছে
Published: 21st, June 2025 GMT
মুম্বাইয়ে শাহরুখ খানের বাসভবন ‘মান্নাত’-এর সংস্কারকাজ চলছে। দুই বছরের জন্য সংস্কারকাজ চলবে। তাই কিং খান আর তাঁর পরিবার এ বছরে তল্পিতল্পা গুটিয়ে বান্দ্রার পালি হিলের একটি ভাড়া অ্যাপার্টমেন্টে গেছেন। এদিকে অভিযোগ উঠেছে, মান্নাতে নাকি অবৈধভাবে নির্মাণকাজ চলছে। সত্যিই কি তা–ই? অনেক গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশের পর ব্যাখ্যা দিয়েছেন শাহরুখের ম্যানেজার পূজা দাদলানি।
শাহরুখ খানের বাসভবন মান্নাতে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগের পর সেখানে পৌঁছায় মুম্বাই পৌরসভা ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের একটি দল। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, এক পরিবেশকর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁরা যাচাই করতে যান, নির্মাণে কোনো নিয়ম লঙ্ঘন হয়েছে কি না।
আরও পড়ুনযে কারণে ‘মান্নাত’ ছেড়ে ৯ কোটি টাকার ভাড়া বাসায় যাচ্ছেন শাহরুখ০৩ মার্চ ২০২৫পরিদর্শনে আসা কর্মকর্তাদের শাহরুখ খানের কর্মীরা জানান, প্রয়োজনীয় সব অনুমতিপত্র এবং সংশ্লিষ্ট নথি যথাযথভাবে দাখিল করা হবে। শাহরুখ খানের ম্যানেজার পূজা দাদলানি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘এ ধরনের কোনো অভিযোগ নেই। সব কাজ নিয়ম অনুযায়ীই চলছে।’
বন বিভাগের এক কর্মকর্তা পত্রিকাটিকে জানান, ‘সংস্কারের অনুমতি–সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা পরিদর্শন করেছি। আমরা প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন তৈরি করব।’ তিনি আরও জানান, বন দপ্তরকে সহায়তা করতেই পৌরসভার কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
তবে সমাজকর্মী সন্তোষ দাউন্ডকর অভিযোগ করেন, শাহরুখ খানের বাড়ির নির্মাণে একাধিক অনিয়ম হয়েছে। সাবেক আইপিএস কর্মকর্তা ওয়াই পি সিং দাবি করেন, নগর জমিসীমা আইনের ফাঁক গলিয়ে ১২টি ছোট ফ্ল্যাট অনুমোদন করিয়ে পরে সেগুলো মিলিয়ে একটি বিলাসবহুল আবাসস্থলে রূপ দেওয়া হয় মান্নাতকে। তাঁর অভিযোগ, এতে পৌর সংস্থার সহায়তা ছিল।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
এবার উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা জুবেরী ভবন ছেড়ে এবার উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।
শনিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা জুবেরী ভবনের সামনে তাঁদের অবস্থান ত্যাগ করেন। এতে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীনসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক প্রায় সাত ঘণ্টা পর অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পান।
এর আগে শনিবার বেলা তিনটার দিকে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রশাসনিক ভবন থেকে বের হলে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা তাঁর গাড়ি আটকে দেন। পরে তিনি হেঁটে তাঁর বাসভবনের দিকে যেতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা তাঁর বাসভবনের ফটকে তালা লাগিয়ে দিলে তিনি জুবেরী ভবনের দিকে যান। তাঁর সঙ্গে প্রক্টর মাহবুবর রহমানও ছিলেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিক থেকে জুবেরী ভবনে সহ-উপাচার্য মাঈন উদ্দীনসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
এমন পরিস্থিতিতে শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সহ-উপাচার্যসহ অন্য শিক্ষকদের ‘লাঞ্ছিত’ করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রোববার কর্মবিরতির ডাক দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি আবদুল আলিম। সিনেট ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীও কর্মবিরতিতে থাকবেন বলে উল্লেখ করেন।
রাত সোয়া ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা জুবেরী ভবন ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডসংলগ্ন উপাচার্য সালেহ হাসান নকীবের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। সেখানে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন। বিপুল সংখ্যক ছাত্রীও বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, পোষ্য কোটা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করবেন। পোষ্য কোটার বিলুপ্তি করেই তাঁরা ফিরবেন।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব ফোন ধরেননি। তবে রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা খুবই ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছি। কিন্তু এভাবে জিম্মি করে আটকে রেখে সিদ্ধান্ত হতে পারে না। আজকে তারা যা করল, এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাকসু নির্বাচন হবে কি না, এটা শিক্ষার্থীদের আচরণের ওপর নির্ভর করবে। তবে আমি রাকসু নির্বাচন নিয়ে খুবই সিরিয়াস।’
আরও পড়ুনসহ-উপাচার্যকে আটকে বিক্ষোভ, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি৬ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করার পর কর্মবিরতির ডাক১ ঘণ্টা আগে