বলিউডে প্রেমের গুঞ্জন নতুন কিছু নয়। তবে এইবার জাহ্নবী কাপুর ও শিখর পাহাড়িয়ার রসায়নে যেন নতুন মাত্রা যোগ হলো। সদ্য ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, লন্ডনের রাস্তায় হাত ধরে হেঁটে যাচ্ছেন জাহ্নবী ও শিখর। স্বাভাবিকভাবেই ভিডিওটি ঘিরে চলছে নেটপাড়ায় আলোচনা আর সমালোচনা। 

জাহ্নবী ও শিখরের একসঙ্গে নাম নতুন নয়। কয়েক বছর ধরে তাদের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে বলিউডে কম কানাঘুষা হয়নি। একাধিক পার্টি, সিনেমার প্রিমিয়ার, পারিবারিক অনুষ্ঠানেও তাদের একসঙ্গে দেখা গেছে। কখনও ক্যামেরার সামনে সাবধান, কখনও আবার নিঃসংকোচে।

সবচেয়ে বেশি আলোচনার জন্ম দিয়েছিল ‘কফি উইথ করণ’-এর একটি পর্ব। সেখানে করণ জোহরের কৌতূহলপূর্ণ প্রশ্নের জবাবে জাহ্নবীর মুখ ফস্কে বেরিয়ে আসে শিখরের নাম। যদিও পরে তিনি বিষয়টি হেসে উড়িয়ে দেন। ততক্ষণে দর্শক ও বলিউডপ্রেমীরা ইঙ্গিত পেয়ে গিয়েছিলেন।

এরপর তাদের প্রেমের গুঞ্জনে ঘি ঢেলেছিল আরেকটি মুহূর্ত– জাহ্নবীর বাবা বনি কাপুর এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, ‘শিখর খুবই ভালো ছেলে। পরিবারের সবার সঙ্গে ওর সম্পর্ক দারুণ। আমি জানি, ও জাহ্নবীকে ছেড়ে যাবে না।’

এই বক্তব্য অনেকটাই পরোক্ষে জাহ্নবী-শিখরের সম্পর্কের ছায়া তুলে ধরেছিল। তবে, এতকিছুর পরেও দু’জনের কেউই কখনও নিজেদের সম্পর্কের বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেননি। তারা একে অপরকে বরাবর ‘ভালো বন্ধু’ বলে পরিচয় দিয়েছেন।

তবে এই সদ্য ভাইরাল হওয়া ভিডিও যেন সব প্রশ্নের জবাব এক নিঃশব্দ চিত্রেই দিয়ে দিল। তাতে কোনো সংলাপ নেই, নেই কোনো নাটকীয় মুহূর্ত। আছে শুধু একসঙ্গে হেঁটে চলা, একটি বিশ্বাস, আর হয়তো.

..একটি সম্পর্কের প্রকাশ, যা এতদিন কথায় বলা হয়নি। এই দৃশ্য অনেকটাই সিনেমার মতো। কোনো ডায়ালগ ছাড়াও দর্শকের মনে ছুঁয়ে যায়।

অনুরাগীরাও বুঝে নিয়েছেন- এ সম্পর্ক আর শুধুই ‘বন্ধুত্ব’ নয়। কেউ কেউ বলছেন, ‘এই হাতে হাত রাখাটাই তো আসল স্বীকৃতি।’

এই মুহূর্তে বলিউডে শ্রীদেবীকন্যা জাহ্নবী কাপুরের ক্যারিয়ার ঊর্ধ্বমুখী। একদিকে বক্স অফিস সাফল্য, অন্যদিকে একের পর কাজ করে যাচ্ছেন ওয়েব ও সিনেমায়।

অন্যদিকে শিখর পাহাড়িয়া, ভারতের রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। তিনি নিজে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা। এই দুই তরুণ-তুর্কির সম্পর্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা ভবিষ্যৎই বলবে। আপাতত প্রেমের মৌসুমে বলিউডে জাহ্নবী-শিখর জুটিকে নিয়ে উৎসাহের অন্ত নেই।

ভিডিওটি যেন বলেই দিল, যা এতদিন গুঞ্জন ছিল, তা এখন আর শুধুই জল্পনা নয়। হয়তো এক নিঃশব্দ সিলমোহর পড়ে গেছে। তাতেই গুঞ্জনের গল্প এবার সত্যিকারের রোমান্সের রূপ নিতে চলেছে!

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ হ নব ক প র গ ঞ জন

এছাড়াও পড়ুন:

শরীর স্পর্শ করার প্রয়োজন হলে অনুমতি নিতেন শাহরুখ: শিবা

বলিউড অভিনেত্রী শিবা চাড্ডা নব্বই দশকের শেষের দিকে বলিউডে অভিষেক ঘটে। ‘দিল সে’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন তিনি। পরবর্তীতে ‘বাধাই দো’ ‘ডক্টর জি’-এর মতো সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। শাহরুখ খানের সঙ্গে বেশ কটি সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেছেন। শাহরুখ তার কলেজের সিনিয়র। ৫২ বছর বয়সি শিবার চেয়ে ৮ বছরের বড় শাহরুখ। 

কয়েক দিন আগে সিদ্ধার্থ কাননের পডকাস্টে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিবা চাড্ডা। এ আলাপচারিতায় শাহরুখের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। 

শিবা চাড্ডা বলেন, “দিল সে’ সিনেমায় আমার কোনো চরিত্রই ছিল না বলা যায়! এতটাই ছোট যে, আমি ভুলেই গেছি সেটা কী ছিল। সেই সময় ডালহৌসিতে শুটিং করতে গিয়ে শাহরুখ খানের সঙ্গে দেখা, এটাই ছিল বড় ব্যাপার। মণীষা কৈরালা তখন সেটে ছিলেন না। মূলত, ব্যক্তিগত কিছু কাজের জন্য সেটের বাইরে ছিলেন, আর তুষারের মধ্যে একটা গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যের শুট ছিল। শাহরুখ-মণীষার হাঁটার দৃশ্য ছিল এটি। তখন পরিচালক মণি রত্নম এসে আমাকে বলেন, ‘আপনি কি মণীষার পোশাক পরে তার বডি ডাবল হিসেবে দৃশ্যটিতে হাঁটতে পারবেন?”

আরো পড়ুন:

‘সাইয়ারা’ সিনেমার সাফল্য: প্রথমবার মুখ খুললেন নায়িকা

কমল হাসানের পায়ের ধুলোরও যোগ্য নন শাহরুখ: লিলিপুট

শিবার কলেজে সিনিয়র ছিলেন শাহরুখ খান। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমি ‘জিরো’ ও ‘রইস’ সিনেমায় তার (শাহরুখ) মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। অথচ শাহরুখ আমার কলেজের সিনিয়র। আমি এখন বুঝতে পারছি, হংস রাজ কলেজে তিনি আমার সিনিয়র ছিলেন। যদিও তাকে বিষয়টি মনে করিয়ে দিইনি।”

একটি ঘটনা বর্ণনা করে শিবা চাড্ডা বলেন, “যখন ‘রইস’ সিনেমার শুটিং করছিলাম, তখন শাহরুখ দিল্লিতে কোনো একটি সাক্ষাৎকারে গিয়ে বলছিলেন, ‘রইস’ সিনেমায় একজন অভিনেত্রী আছেন, যে আমার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। উনাকে দেখুন, দারুণ অভিনয় করেছেন।’ অথচ আমাদের একটা দৃশ্যও একসঙ্গে ছিল না। শাহরুখ খুবই আলাদা ধরনের একজন মানুষ।”

শুটিংয়ে শিবার শরীর স্পর্শ করার প্রয়োজন হলেও অনুমতি নিতেন শাহরুখ। তার ভদ্র আচরণের ঘটনা বর্ণনা করে শিবা চাড্ডা বলেন, “আমার মনে আছে, আমাদের আলিঙ্গনের একটা দৃশ্য ছিল। দৃশ্যটি এমন ছিল—শাহরুখ মার খাচ্ছে, আমি তাকে রক্ষা করব। সিনেমাটিতে বামন চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শাহরুখ। দৃশ্যের শুটিং শুরুর আগে, শাহরুখ আমার কাছে এসে জিজ্ঞাসা করেন, ‘আমি কি আপনাকে স্পর্শ করতে পারি?’ আমি বললাম, ‘হ্যাঁ।’ শাহরুখ খুবই দারুণ একজন মানুষ। আমি সেটে যাওয়ার আগেই আমার নাম জানতেন। সেই অনুভূতি একেবারেই আলাদা।”

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমরা বহু বছর ধরে একসঙ্গে আছি, প্রেম জীবন নিয়ে জয়া
  • ‘আমরা অনেক দিন ধরেই একসঙ্গে আছি’, প্রেম নিয়ে জয়া
  • স্ত্রীর চরিত্র খারাপ বলায় পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে হত্যা
  • শাকিবকে নিয়ে তিন সিক্যুয়েল
  • ছাত্র সংগঠনগুলোর বোঝাপড়ায় আসা উচিত ছিল: ঢাবি পরিস্থিতি প্রসঙ্গে আ
  • ভালোবেসে সংসার, বিদায়ও একসঙ্গে
  • স্টোরিতে জয়ের ছবি দিয়ে আলোচনায় শাকিব খান
  • শপিংমলে একসঙ্গে ‘সাইয়ারা’ জুটি আহান-অনীত, প্রেমের গুঞ্জন
  • ভারত কি চীনের সামুদ্রিক ‘উঠানে’ ঢুকে পড়ছে
  • শরীর স্পর্শ করার প্রয়োজন হলে অনুমতি নিতেন শাহরুখ: শিবা