সাতক্ষীরায় এবি পার্টির এক মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দলটির জেলা কমিটির আহ্বায়ক আবদুল কাদের (৫৫)। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সাতক্ষীরা শহরের একটি বেসরকারি রিসোর্ট সেন্টারের মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে।

আবদুল কাদের ছিলেন এবি পার্টির সাতক্ষীরা জেলা কমিটির আহ্বায়ক। তিনি সাতক্ষীরা শহরের ডাঙ্গীপাড়ার ইসহাক আলীর সন্তান।

এবি পার্টি সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সদস্যসচিব আলমগীর হুসাইন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বিকেল চারটার দিকে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন সামনে রেখে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা শুরু হয়। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আবদুল কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করেন এবং পাশেই লুটিয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বেসরকারি চায়না-বাংলা হাসপাতালের চিকিৎসক আহসানুল কাদির বলেন, আবদুল কাদেরকে নিয়ে আসার পর সব রকমভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায়, তিনি আগেই মারা গেছেন।

আবদুল কাদেরের স্ত্রী সেলিনা খাতুন হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর স্বামী ১৯৮৯-৯০ সালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে ইসলামী ছাত্রশিবির থেকে নির্বাচন করে কলেজ ছাত্র সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন। দীর্ঘদিন তিনি সাতক্ষীরার ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে তিনি এবি পার্টির সাতক্ষীরা জেলা কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আবদ ল ক দ র কম ট র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মাধবপুরে বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রণীত ৩১ দফা বাস্তবায়নে হবিগঞ্জের মাধবপুরে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে মাধবপুর হোটেল হাইওয়ে কনভেনশন সেন্টারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

উপজেলা বিএনপি সভাপতি শামসুল ইসলাম কামালের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান হামদু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল বাবুলের যৌথ পরিচালনায় এ সভা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শিল্পপতি সৈয়দ মো. ফয়সল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি সৈয়দ মো. শাহজাহান, সায়হাম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সৈয়দ মো. ঈশতিয়াক আহমেদ, শিল্পপতি সৈয়দ মো. হুমায়ূন, প্রকৌশলী সৈয়দ মো. সেলিম।

সৈয়দ মো. ফয়সল বলেন, বিগত ১৬ বছর আমরা স্বাধীনভাবে চলতে পারিনি। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। বিএনপি এদেশের মাটি ও মানুষের সংগঠন। সংগঠনের নেতাকর্মীরা জেল-জুলুম-হুলিয়া মাথায় নিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধ লড়াই সংগ্রাম করেছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিক নির্দেশনায় জুন-জুলাইয়ে আন্দোলনে সরকারের পতন হয়েছে। বিএনপি দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। সংসদ নির্বাচন যথাসময়ে বিএনপি দেশের মানুষের সমর্থনে সরকার গঠন করবে ইনশাল্লাহ। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে ৩১ দফা জাতির সামনে পেশ করেছেন। এটি বাস্তবায়ন করতে পারলে বাংলাদেশ আর পিছিয়ে থাকবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ