‘পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি থেকে সরে আসার আইনি অধিকার রয়েছে ইরানের’
Published: 22nd, June 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) থেকে সরে আসার আইনগত অধিকার ইরানের আছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পার্লামেন্টের পররাষ্ট্রনীতি কমিটির প্রধান আব্বাস গোলরু।
রবিবার (২২ জুন) ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর তিনি এ মন্তব্য করলেন।
তিনি বলেন, “চুক্তির ১০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, কোনো দেশ যদি মনে করে যে তার সর্বোচ্চ জাতীয় স্বার্থ ঝুঁকিতে পড়েছে, তাহলে সে চুক্তি থেকে সরে আসতে পারে।”
আরো পড়ুন:
কূটনীতির মাধ্যমে সংকট সমাধানের আহ্বান অস্ট্রেলিয়া- নিউজিল্যান্ডের
‘আমেরিকার জনগণ আর কোনো অন্তহীন যুদ্ধ চায় না’
১৯৭০ সালে এনপিটি চুক্তি অনুমোদন করেছিল ইরান। এই চুক্তি অনুযায়ী, দেশগুলো বেসামরিক পরমাণু শক্তি কাজে লাগাতে পারে। বিনিময়ে তাদেরকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত থাকতে হয় এবং আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ-র সঙ্গে সহযোগিতা করতে হয়।
গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানে হামলা চালায়। তারা দাবি করে, তেহরান পারমাণবিক বোমা তৈরির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। তবে ইরান বরাবরই বলে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। যদিও আইএইএ গত সপ্তাহে এক ঘোষণায় জানিয়েছে যে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) শর্ত লঙ্ঘন করছে।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এবার রাশিয়াকে ন্যাটোর হুমকি
সদস্যদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘনের মতো উত্তেজনাপূর্ণ কর্মকাণ্ড বন্ধে রাশিয়াকে সতর্ক করেছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। আজ মঙ্গলবার রাশিয়াকে সতর্ক করে বার্তা দিয়েছে তারা। এর আগে গত সপ্তাহে এস্তোনিয়ার আকাশসীমায় একটি যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়ার ঘটনায় জরুরি বৈঠক করেছিল ন্যাটো।
ন্যাটোভুক্ত ৩২টি সদস্যদেশ এক বিবৃতিতে বলেছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য রাশিয়া সম্পূর্ণভাবে দায়ী। এটি উত্তেজনা বাড়ায়, ঝুঁকি সৃষ্টি করে এবং প্রাণহানি ঘটাতে পারে। এসব অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে রাশিয়ার কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয় যে ন্যাটো ও তার মিত্ররা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নিজেদের রক্ষা করতে এবং যেকোনো ধরনের হুমকি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সামরিক ও বেসামরিক উপায় ব্যবহার করবে।
আরও পড়ুনপোল্যান্ডের আকাশে ন্যাটোর প্রতিরক্ষা মিশনে যোগ দিয়েছে যুক্তরাজ্য বিমানবাহিনীর জেট২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫গত শুক্রবার রাশিয়ার বেশ কয়েকটি সশস্ত্র যুদ্ধবিমান প্রায় ১২ মিনিটের জন্য আকাশসীমা লঙ্ঘন করে এস্তোনিয়ার সীমান্তে ঢুকে যায়। এরপরই ন্যাটোর প্রতিষ্ঠা চুক্তির ৪ অনুচ্ছেদের অধীনে জরুরি পরামর্শ সভা আহ্বান করে দেশটি। এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর ইউক্রেনে হামলার সময় পোল্যান্ডের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে রাশিয়ার ড্রোন। তবে পোল্যান্ডের সেনাবাহিনী ড্রোনগুলো ভূপাতিত করেছে।
পোল্যান্ডে ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়ায় মস্কো থেকে আসা হুমকি মোকাবিলায় পূর্ব সীমান্তের প্রতিরক্ষা আরও শক্তিশালী করার ঘোষণা দেয় ন্যাটো। দুই পক্ষের উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় ভয় হচ্ছে যে এই পরিস্থিতি বজায় থাকলে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ ন্যাটোর সীমান্ত অতিক্রম করতে পারে।
পোল্যান্ড ও রোমানিয়ার পাশাপাশি লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া ও ফিনল্যান্ডসহ পূর্ব সীমান্তের অন্য দেশগুলোও সম্প্রতি তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘনের মুখোমুখি হয়েছে। ন্যাটোর বিবৃতিতে সদস্যদেশগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, মিত্ররা রাশিয়ার এই কর্মকাণ্ড ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডের কারণে ইউক্রেনকে সমর্থনের প্রতি তাদের স্থায়ী প্রতিশ্রুতিতে কোনোভাবে বিচলিত হবে না।