যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি)  থেকে সরে আসার আইনগত অধিকার ইরানের আছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পার্লামেন্টের পররাষ্ট্রনীতি কমিটির প্রধান আব্বাস গোলরু।

রবিবার (২২ জুন) ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর তিনি এ মন্তব্য করলেন।

তিনি বলেন, “চুক্তির ১০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, কোনো দেশ যদি মনে করে যে তার সর্বোচ্চ জাতীয় স্বার্থ ঝুঁকিতে পড়েছে, তাহলে সে চুক্তি থেকে সরে আসতে পারে।”

আরো পড়ুন:

কূটনীতির মাধ্যমে সংকট সমাধানের আহ্বান অস্ট্রেলিয়া- নিউজিল্যান্ডের

‘আমেরিকার জনগণ আর কোনো অন্তহীন যুদ্ধ চায় না’

১৯৭০ সালে এনপিটি চুক্তি অনুমোদন করেছিল ইরান। এই চুক্তি অনুযায়ী, দেশগুলো বেসামরিক পরমাণু শক্তি কাজে লাগাতে পারে। বিনিময়ে তাদেরকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত থাকতে হয় এবং আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ-র সঙ্গে সহযোগিতা করতে হয়।

গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানে হামলা চালায়। তারা দাবি করে, তেহরান পারমাণবিক বোমা তৈরির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। তবে ইরান বরাবরই বলে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। যদিও আইএইএ গত সপ্তাহে এক ঘোষণায় জানিয়েছে যে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) শর্ত লঙ্ঘন করছে।

ঢাকা/ইভা

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক, আন্দোলনরত ‘তথ্য আপা’দের কর্মস্থলে ফেরার আহ্বান

টানা ৭২ দিন রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় আন্দোলনের পর মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে একটি প্রতিনিধিদলের আলোচনা হয়। এ সময় উপদেষ্টা আন্দোলনরতদের কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানান।

ঝালকাঠি সদরের তথ্যসেবা কর্মকর্তা ও আন্দোলন পরিচালনা কমিটির সভাপতি সংগীতা সরকার প্রথম আলোকে বলেন, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে তাঁদের আলোচনা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, উপদেষ্টা বলেছেন, আগামী সপ্তাহে তথ্য আপা প্রকল্প রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তাঁদের কাজে ফিরে যেতে বলেছেন উপদেষ্টা।

অবশ্য উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, ‘এই সরকার কোনো প্রকল্প রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করছে না। তাই এ ধরনের প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। তাঁদের জন্য বিকল্প কী প্রস্তাব নেওয়া যায়, সেটা নিয়ে আমরা চিন্তা করছি। সেই বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে তাঁদের জানিয়েছি।’

২০১১ সালে পাইলট আকারে ১৩টি উপজেলায় তথ্য আপা প্রকল্প শুরু হয়। পরে ২০১৮ সালের শেষ দিকে ৪৯২টি উপজেলায় প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ৩০ জুন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। পরে তা দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ৩০ জুন করা হয়। গত বছর আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন করা হয়।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘জাতীয় মহিলা সংস্থা’র বাস্তবায়ন করা এ প্রকল্পের পুরো নাম ছিল ‘তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন’। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘তথ্য আপা: তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প’।

সম্পর্কিত নিবন্ধ