ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে রেলওয়ের জায়গার একটি পুকুরের দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইদ্রিস মিয়া নামে এক ব্যক্তির হাত থেকে কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত আরো ৫ জন আহত হয়েছেন। ইদ্রিস মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

রবিবার (২২ জুন) দুপুরে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের মুকুন্দপুর এলাকার চানপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, চানপুর গ্রামে রেলওয়ের একটি পুকুরের দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের ইছাম উদ্দিনের সঙ্গে ইদ্রিস মিয়ার বিরোধ চলছে। উভয় পক্ষের দাবি, তারা পুকুরটি লিজ নিয়ে রেখেছেন। আজ দুপুরে চানপুর গ্রামের রেললাইনের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষের লোকজন। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ইদ্রিস মিয়ার হাত থেকে কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। 

আরো পড়ুন:

যশোরে সংঘর্ষে আহত যুবদল কর্মীর মৃত্যু, গ্রেপ্তার ৩ 

ভেড়ামারায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ–গুলি, আহত ৩

এ ঘটনায় ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মেহেদী এবং তার পক্ষের হুমায়ুন কবির গুরুতর আহত হন। প্রতিপক্ষের মো.

ইছামউদ্দিন, তার স্ত্রী পেয়ারা বেগম ও ছেলে আমিনুল ইসলামও আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ইদ্রিস মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। আহত অন্যদের জেলা সদর হাসপাতাল চিকিৎসা দেওয়া হয়। 

বিজয়নগর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, রেলওয়ের একটি পুকুরের লিজ নেয়ার দাবি  ও দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় একজনের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্নসহ পাঁচ থেকে ছয় জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠায় আইন মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট

সারা দেশে বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠাসংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সুপ্রিম কোর্ট থেকে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

প্রস্তাবে জেলা জজদের মধ্য থেকে বাণিজ্যিক আদালতের বিচারক নিয়োগ করার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়টি উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি কর্তৃক হাইকোর্ট বিভাগে বাণিজ্যিক আপিল বেঞ্চ গঠনের বিষয়টিও প্রস্তাবে উঠে এসেছে। প্রস্তাবে মামলা দায়েরের আগে মধ্যস্থতাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলে মামলা দায়েরের আগেই অনেক বিরোধ আদালতের বাইরে নিষ্পত্তি হবে এবং আদালতের ওপর মামলার ক্রমবর্ধমান চাপ অনেকাংশে হ্রাস পাবে বলে আশা করা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কোনো বাণিজ্যিক মামলা বা আবেদনের মূল্যমান ৫০ লাখ টাকা হলে তা বাণিজ্যিক আদালতে বিচার্য হবে প্রস্তাবে উল্লেখ রয়েছে। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী সরকার সময়ে সময়ে এই নির্ধারিত মূল্যমান সীমা পুনর্নির্ধারণ করতে পারবে।

সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ব্যবসায়ী, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বণিকদের সাধারণ লেনদেন থেকে শুরু করে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম, বিমান ও নৌপরিবহন, নির্মাণ ও অবকাঠামোগত প্রকল্প, ফ্র্যাঞ্চাইজ চুক্তি, বিতরণ ও লাইসেন্সিং, প্রযুক্তি উন্নয়ন, ট্রেডমার্ক, কপিরাইট, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ডোমেইন নাম, ভৌগোলিক নির্দেশক, বিমা এবং অংশীদারত্ব চুক্তি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পরিষেবা খাত এবং শেয়ারহোল্ডার বা যৌথ উদ্যোগ–সম্পর্কিত বিরোধকে বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালতের এখতিয়ারভুক্ত করার কথা প্রস্তাবে বলা হয়েছে। এর ফলে আধুনিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ–সম্পর্কিত প্রায় সব ধরনের বিরোধ একটি বিশেষায়িত আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তির সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা যায়।

বিচারপ্রক্রিয়াকে দ্রুত ও কার্যকর করার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বিচার কার্যক্রম শেষ করার বিষয়ে প্রস্তাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চূড়ান্ত শুনানি অবশ্যই ৯০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়া অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব এড়াতে সংক্ষিপ্ত বিচারের সুযোগও প্রস্তাবে রাখা হয়েছে।

প্রস্তাবে আপিল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রেও সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আর বলা হয়, বাণিজ্যিক আপিল আদালত ছয় মাসের মধ্যে এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তিন মাসের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির প্রচেষ্টা গ্রহণ করবে প্রস্তাবে উল্লেখ রয়েছে। প্রস্তাবে বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠা ও কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন, বিচারক ও আইনজীবীদের জন্য প্রশিক্ষণ এবং ধারাবাহিক পেশাগত উন্নয়নের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ