ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ পক্ষের সংঘর্ষ, কব্জি বিচ্ছিন্নসহ আহত ৬
Published: 22nd, June 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে রেলওয়ের জায়গার একটি পুকুরের দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইদ্রিস মিয়া নামে এক ব্যক্তির হাত থেকে কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত আরো ৫ জন আহত হয়েছেন। ইদ্রিস মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (২২ জুন) দুপুরে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের মুকুন্দপুর এলাকার চানপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, চানপুর গ্রামে রেলওয়ের একটি পুকুরের দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের ইছাম উদ্দিনের সঙ্গে ইদ্রিস মিয়ার বিরোধ চলছে। উভয় পক্ষের দাবি, তারা পুকুরটি লিজ নিয়ে রেখেছেন। আজ দুপুরে চানপুর গ্রামের রেললাইনের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষের লোকজন। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ইদ্রিস মিয়ার হাত থেকে কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আরো পড়ুন:
যশোরে সংঘর্ষে আহত যুবদল কর্মীর মৃত্যু, গ্রেপ্তার ৩
ভেড়ামারায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ–গুলি, আহত ৩
এ ঘটনায় ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মেহেদী এবং তার পক্ষের হুমায়ুন কবির গুরুতর আহত হন। প্রতিপক্ষের মো.
বিজয়নগর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, রেলওয়ের একটি পুকুরের লিজ নেয়ার দাবি ও দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় একজনের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্নসহ পাঁচ থেকে ছয় জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারার সেই মামলা বাতিল
আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় ৭ বছর আগে করা মামলা বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে ২০১৮ সালে শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলাটি করা হয়। ওই মামলার এফআইআর ও তদন্ত কার্যক্রম বাতিল চেয়ে গত বছরের আগস্টে হাইকোর্টে আবেদন করেন শহিদুল আলম। শুনানি নিয়ে গত বছরের ৪ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে মামলার তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ রুল যথাযথ (অ্যাবসলিউট) ঘোষণা করে রায় দেওয়া হয়।
আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন ও আইনজীবী আবদুল্লাহ আল নোমান শুনানিতে ছিলেন, সঙ্গে ছিলেন কাজী জাহেদ ইকবাল, আইনজীবী মনিরা হক ও প্রিয়া আহসান চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসিফ ইমরান। রায় ঘোষণার সময় শহিদুল আলম ও অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, ‘হাইকোর্ট রায় দিলেন ড. শহিদুল আলমের মামলায়, যেখানে আমরা সাত বছর আগে থেকেই এই যাত্রা শুরু করেছি। ওনার বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে যে মামলা করা হয় তৎকালীন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের সেই ৫৭ ধারার অধীনে, সেটিকে বাতিলের জন্য হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছিলাম। অনেক লম্বা পথ পেরিয়ে অবশেষে আমরা সেই গন্তব্যে পৌঁছেছি। হাইকোর্ট ড. শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় করা মামলাটি বাতিল করেছেন।... মামলাটি চলবে না। খুবই আনন্দিত, অবশেষে এই পর্যায়ে আমরা পৌঁছাতে পেরেছি।’
রায় ঘোষণার পর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে কথা বলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ও তাঁর আইনজীবী সারা হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে