বর্ণাঢ্য আয়োজনে গ্রিন ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের সামার ব্যাচের (২৫০) নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২২ জুন ২০২৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বাচল আমেরিকান সিটির নিজস্ব ক্যাম্পাসে জেএমসি মিডিয়া ল্যাবে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়।

গ্রিন ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড.

হাবীব মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন (নেভি) (অব.) শেখ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।

আরো পড়ুন:

২৪ দাবিতে রংপুরে সড়ক ও রেলপথে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ 

অ্যাকাউন্টিং ছাড়া কিছুই কল্পনা করা যায় না: যবিপ্রবি উপাচার্য

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. নিস্তার জাহান কবীর, সহযোগী অধ্যাপক ড. অলিউর রহমান, আরটিভির সংবাদ উপস্থাপক হাবীবা আফরোজ, গ্লোবাল গুড নিউজের প্রধান সম্পাদক মহসিন আলী, জেএমসি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাবরিনা নওরিন লিমু, গ্রিন ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ফারজানা ইয়াসমীন, লেকচারার এবং জেএমসির ক্লাব মডারেটর মঞ্জুর কিবরিয়া ভূঁইয়া, জেএমসির ল্যাব কো-অর্ডিনেটর কাজী মাহাদী মুনতাসির।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ক্যাপ্টেন (নেভি) এস এম সালাউদ্দিন বলেন, “সাংবাদিকতা বিভাগ এমন একটি জায়গায় অবস্থান করে, যেখানে সমাজে বিবেক তৈরি হয়। দেশ ও মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে জাতিকে সেবা দেয়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবসময় সাংবাদিকতা বিভাগকে বিশেষ মনোযোগে রাখে।”

তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগী হতে হবে।আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আধুনিক ও যুগোপযোগী জ্ঞান-দক্ষতার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। একই সঙ্গে মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতাসম্পন্ন গুণাবলি অর্জন করতে হবে। নবীন শিক্ষার্থীদের এই যাত্রা শুধু একটি ডিগ্রি অর্জনের জন্য নয় বরং এটি তাদেরকে জীবনকে সেই জায়গায় নিয়ে যাবে, যেখানে তোমরা দেশ তথা সমাজে দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে অবদান রাখতে পারবা।”

নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের ২৫১-ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া নবীনদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট মেন্টর জুবায়ের আহমেদ, জেএমসি মিডিয়া ক্লাবের সামান্থা আলী ও বরকতুল্লাহ।

অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন সুমাইয়া সুলতানা অন্তরা ও জুবায়ের আহমেদ। পরে কেক কাটা ও গ্রুফ ফটোসেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

ঢাকা/এস/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন জ এমস

এছাড়াও পড়ুন:

সুনামগঞ্জে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হওয়ার প্রতিবাদ ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ পৌর শহরে পৃথক এই কর্মসূচি পালিত হয়।

গতকাল বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের পাশে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগে ভর্তি হয়ে বাড়ি ফেরার পথে শিক্ষার্থী স্নেহা চক্রবর্তী, সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা জাহান ওরফে খুশি ও সুনামগঞ্জ পৌর শহরের আলীপাড়া এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম (৫৫) নিহত হন।

আজ সকালে সুনামগঞ্জ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা শান্তিগঞ্জ উপজেলা সদর মোড়ে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে অবস্থা নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এখানে ‘কথায় কথায় অবরোধ, এখন তোমার কোথায় বোধ’, ‘আর কত খুশি মরলে, প্রশাসনের টনক নড়বে’, ‘আমার বোন কবরে, খুনি কেন বাহিরে’ প্রভৃতি স্লোগান দেওয়া হয়। কর্মসূচি চলাকালে সড়কে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা ফিটনেসবিহীন যান চলাচলে বাধা না দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে সড়কে অবস্থান নিয়ে বেলা একটা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন তাঁরা।

কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাকবিল হোসেন, জাকারিয়া নাইম, রাহাত আহমেদ, আশরাফ হোসেন; টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী হুমায়ুন আহমদ, শান্ত রায়, সুমাইয়া আক্তার, আমিন উদ্দিন, পূর্বা তালুকদার, তাহমিদা জাহান, বুশরা আক্তার প্রমুখ।

আরও পড়ুনবিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি শেষে মেয়েকে তুলে দেন অটোরিকশায়, ১০ মিনিট পর পেলেন মৃত্যুর খবর১৮ ঘণ্টা আগে

বক্তারা বলেন, সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে এখন প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। অথচ প্রশাসন, পুলিশ উদাসীন। এই সড়কে ফিটনেসবিহীন লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি চলে। অদক্ষ চালকেরা গাড়ি চালান। কিন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অথচ তুচ্ছ কোনো কিছু অজুহাত পেলেই পরিবহনশ্রমিকেরা ধর্মঘট ডেকে মানুষকে ভোহান্তিতে ফেলেন। সড়কে এসব হত্যা বন্ধ করতে হবে। শিক্ষার্থী স্নেহা, আফসানার মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

এদিকে, বেলা সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জ পৌর শহরের আলফাত স্কয়ারে একই দাবিতে মানববন্ধন করে বিশ্বজন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এরপর একই স্থানে মানববন্ধন করে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা শাখা। এসব কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার, নিহত শিক্ষার্থী আফসানা জাহানের মামা সাইফুল ইসলাম (ছদরুল), সাংবাদিক লতিফুর রহমান ও মাহবুবুর রহমান পীর, শিক্ষক শাহিনা চৌধুরী, হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতা ওবায়দুল হক, উন্নয়নকর্মী সালেহিন চৌধুরী, বিশ্বজন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উপদেষ্টা নুরুল হাসান আতাহের, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কর্ণ বাবু দাস প্রমুখ।

আরও পড়ুনজন্মদিনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, ব্যাগে ছিল সহপাঠীদের দেওয়া উপহার৪ ঘণ্টা আগেসুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজনের মৃত্যুর প্রতিবাদ ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন। আজ দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের আলফাত স্কয়ারে

সম্পর্কিত নিবন্ধ