ফল মেলায় নজর কেড়েছে ৩২ কেজি ওজনের কাঁঠাল
Published: 22nd, June 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুরে জাতীয় ফল মেলায় প্রদর্শিত ৩২ কেজি ওজনের একটি কাঁঠাল দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে। রবিবার (২২ জুন) দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
ফল মেলায় আম, জাম, লিচু, আনারস, পেয়ারা, কাঁঠালসহ দেশীয় নানা ফল প্রদর্শিত হলেও সবার নজর কাড়ে বিশাল আকৃতির দুটি কাঁঠাল। যার একটির ওজন ৩২, অন্যটির ৩০ কেজি।
আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানায়, শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের তেলিহাটি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আউয়াল মৃধা বাড়ির গাছ থেকে ৩২ কেজি ওজনের কাঁঠাল সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া, শ্রীপুর পৌরসভার অপর এক কৃষকের গাছ থেকে ৩০ কেজি ওজনের কাঁঠাল সংগ্রহ করা হয়।
আরো পড়ুন:
এ সপ্তাহের রাশিফল (২১-২৭ জুন)
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফল উৎসব ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
মেলায় আসা স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিয়ান কামাল বলে, ‘‘আমরা এখন অনেক দেশীয় ফল চিনি না। স্কুলে যাওয়ার সময় মেলায় ৩২ কেজি ওজনের কাঁঠালটি দেখতে এসেছি।’’
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা বন্যা বলেন, “ফল মেলার উদ্দেশ্য পুষ্টিসমৃদ্ধ দেশীয় ফলের পরিচিতি বাড়ানো এবং মানুষের খাদ্যাভ্যাসে এসব ফলের গুরুত্ব তুলে ধরা। শ্রীপুরের কাঁঠাল স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। এমন বড় কাঁঠাল প্রদর্শন আমাদের ঐতিহ্যের প্রতীক।”
ঢাকা/রফিক/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফল ওজন র ক ফল ম ল ৩২ ক জ
এছাড়াও পড়ুন:
শেষ জীবনে সন্তানেরাও ছেড়ে চলে যান আলোচিত এই নায়িকার
রাজ কাপুর আর যশ চোপড়ার ছবিতে ছিলেন তিনি; অভিনয় করেছেন রাজেশ খান্না, দেব আনন্দদের মতো তারকাদের সঙ্গে। অথচ ব্যক্তিজীবনে তিনি হয়ে পড়েছিলেন অবহেলিত—সন্তানদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর একাই কাটিয়েছেন জীবনের শেষ ১২ বছর।
অভিনেত্রী অচলা সচদেবের চলচ্চিত্রজীবন যেন সিনেমার মতোই। দেব আনন্দ, রাজ কাপুর, যশ চোপড়া, রাজেশ খান্না—বলিউডের সেরা–সেরাদের সঙ্গে একের পর এক হিট ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-তে কাজলের দাদির চরিত্রে তাঁকেই দেখা গিয়েছিল। আবার ১৯৬৫ সালের ‘ওয়াক্ত’ ছবির অমর গান ‘আয়ে মেরি জোহরা জবীন’-এর নায়িকাও ছিলেন অচলা। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অন্য অনেক অভিনেত্রীর মতোই তাঁকেও মা-দাদির চরিত্রে সীমাবদ্ধ হতে হয়েছিল, তবু ২০০০-এর দশকের শুরু পর্যন্ত কাজ চালিয়ে গেছেন—করণ জোহরের ‘কাভি খুশি কাভি গম’ ছিল তাঁর শেষ দিকের আলোচিত কাজগুলোর একটি।
পঞ্চাশের দশকে শুরু হওয়া অচলার ছিল দীর্ঘ ক্যারিয়ার; কিন্তু শেষ জীবনটা ভীষণ কষ্টে কাটাতে হয় তাঁকে। পুনের নিজস্ব দুই কামরার ফ্ল্যাটে একাই থেকেছেন এক দশকেরও বেশি সময়, পাশে ছিলেন কেবল এক সেবিকা। দুই সন্তানের কেউই তাঁর খোঁজ নিতেন না। মৃত্যুর আগে নিজের বাড়িটি দান করে দেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে। বলিউডের জন্য জীবনের বহু বছর দেওয়া অনেক শিল্পীর মতো তিনিও ছিলেন অবহেলার শিকার।
অচলা সচদেব। আইএমডিবি