বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষ, দুই ঘণ্টা ব্যবধানে নিহত ২
Published: 23rd, June 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছেন। গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন– আব্দুল কুদ্দুস (৭০) ও মো. মেহেদী (৩৫)।
আব্দুল কুদ্দুস মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাওসার আশার অনুসারী। আর মেহেদী মহানগর বিএনপির বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকারের সমর্থক ছিলেন।
নিহতের স্বজন, পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার রেললাইন অটোস্ট্যান্ডে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কয়েক দিন ধরে আশার অনুসারীদের সঙ্গে হান্নান সরকারের লোকজনের দ্বন্দ্ব চলছে। শুক্রবার দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত আটজন আহত হন। এরই জেরে শনিবার রাতে বন্দরের হাজারীবাগের শাহি মসজিদ এলাকায় আশার সমর্থক জাফর-রনি গ্রুপের ওপর হামলা হয় হান্নান সরকারের অনুসারী মেহেদী-বাবুর নেতৃত্বে। এ দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন আব্দুল কুদ্দুস। তাঁকে থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আব্দুল কুদ্দুসের বাড়ি বন্দরের হাফেজিবাগ এলাকায়।
এ ঘটনার জেরে আশার লোকজন হান্নান সরকারের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়। পরে সেনাসদস্যরা এসে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নেন।
এদিকে, রাত সাড়ে ১১টার দিকে বন্দরের সিরাজুদ্দৌলা ক্লাব মাঠে আব্দুল কুদ্দুস হত্যায় অভিযুক্ত মেহেদী ও তার লোকজনকে পেয়ে ধাওয়া দেয় রনি-জাফর গ্রুপের লোকজন। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ হয়। এ সময় ছুরিকাঘাতে আহত হন মেহেদী। স্থানীয়রা তাঁকে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আব্দুল কুদ্দুস নিহতের পর হান্নান সরকার বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। একটি পক্ষ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে জড়িয়ে বদনাম করার চেষ্টা করছে। তারা আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে।’
এ ব্যাপারে আবুল কাওসার আশা বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাবু, মেহেদী, রনি, জাফর সবাই একসময় একসঙ্গে চলাফেরা করতেন। সবাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে সম্প্রতি অটোস্ট্যান্ড নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এটিকে একটি পক্ষ আশা ও হান্নানের বিরোধ বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
অবশ্য মেহেদী নিহতের পরে একাধিকবার কল দিয়েও হান্নান সরকার ও আবুল কাওসার আশার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। সেখানে পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হত য হ ন ন ন সরক র র ব এনপ র স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় শহীদ তিতুমীর একাডেমীর ২৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন
২৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করলো ফতুল্লা এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহীদ তিতুমীর একাডেমি।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকার শহীদ তিতুমীর একাডেমি'র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার টি.এম. রাহসিন কবির এবং বিশেষ অতিথি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের এমপি প্রার্থী মাওলানা আবদুল জব্বার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাহসিন কবির বলেন, ইভটিজিংয়ের ব্যাপারে আমি আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি বলবো, এবং আপনারা জেনে রাখবেন ধুমপান থেকে মাদকের শুরু, প্রতিষ্ঠানের সামনে কেউ যদি বিশৃঙ্খল করে এজন্য ৯৯৯ এ যোগাযোগ করবেন, আমরা ১ ঘন্টার মধ্যে ব্যাবস্থা নিবো।
মাদক মরনব্যধী, এটাকে মূলোৎপাটন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। কারন এই সমাজ মাদকের রাহু গ্রাসে শেষ হতে পারে না। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরোও বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। এজন্য তোমাদেরকে প্রথমে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।ছাত্রদের রক্তের বিনিময়ে এদেশকে আমরা নতুন করে সাজানোর সুযোগ পেয়েছি।
তাই দূর্নীতি মুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে তোমরা এগিয়ে যাবে,এটা আমার প্রত্যাশা।সর্বোপরি তোমরা ভালোভাবে পড়াশোনা করবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শিক্ষাবিদ মাওলানা আবদুল জব্বার বলেন, এই অঞ্চলের মানুষের যখন কোনো উপায় ছিলো না,তখন তিতুমীরের বাঁশের কেল্লার অবদান ছিল. ঠিক তেমনি তিতুমীরের সেই অবদানকে কাজে লাগাতে পারলে তোমরা স্বার্থক হবে।
শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরোও বলেন,ছাত্রদের ৩৬ জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকার পালিয়েছে,ছাত্রদের তাজা রক্তের বিনিময়ে আমরা এই দেশকে জুলুম, নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। এই দেশকে ন্যায় ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র কাঠামো তৈরী করতে ছাত্রদের এগিয়ে আসতে হবে।
ছাত্রদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,কাজে কর্মে পড়াশোনায় তোমরা এগিয়ে যাবে এটাই আমার প্রত্যাশা।তিনি উপস্থিতি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা যদি দেশ গঠনে মনোনীত হতে পারি,তাহলে নেতা হিসেবে নয় আপনাদের সেবক হিসেবে কাজ করবো, ইনশাআল্লাহ।
উক্ত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শহীদ তিতুমীর একাডেমি'র প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি সফি উদ্দিন আহমেদ বাদল,ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন শহীদ তিতুমীর একাডেমির অধ্যক্ষ শফিউদ্দিন আহামদ,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ ইসহাক খান,আই,ই,টি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আলমগীর কবির,এডভোকেট মনিরুজ্জামান শাহীন,এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর দেওয়ান, জাহাঙ্গীর কবির পোকন,নাজনীন জাহান প্রমূখ।