জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, “অন্তর্বর্তী এই সরকারকে আমরা দুর্বল হিসেবে দেখতে চাই না। তারা যদি নিজেদের দুর্বল হিসেবে প্রকাশ করেন তবে তা হবে অভ্যুত্থানের রক্তের সঙ্গে সবচেয়ে বড় প্রতারণা।”

তিনি বলেন, “নির্বাচনের আগে মৌলিক সংস্কারের ব্যাপারে আমাদের কোনো ছাড় থাকবে না। খুনিদের বিচারের বিষয়েও আমাদের কোনো আপোষ থাকবে না। জুলাই ঘোষণাপত্র জুলাই মাসে দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো আপোষ থাকবে না।”  

সোমবার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির হলরুমে জাতীয় যুব শক্তি পঞ্চগড় জেলা শাখার আয়োজনে জেলা সমন্বয় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। 

আরো পড়ুন:

দৃশ্যমান সংস্কার হলে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনে দ্বিমত নেই: সারজিস

ক্ষমতার সঙ্গে আপস করলে ভাগ্যের পরিবর্তন সম্ভব নয়: সারজিস

সারজিস বলেন, “প্রথম সারির সাতটি দলের মধ্যে ছয়টি দল যখন একটি সংস্কারের প্রশ্নে একমত হয়, তখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বা ঐকমত্য কমিশনের কাছে যদি একটি দল বড় হয়ে যায়, তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গ্রহণযোগ্যতা হারাবে।”

এনসিপির এই নেতা বলেন, “আমরা প্রত্যাশা করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের দায়বদ্ধতা ভুলে যাবে না। আমরা প্রত্যাশা করি, একটি স্বচ্ছ নির্বাচনের আগে এই বাংলাদেশে জুলাই সনদ দেখতে পাব। জুলাই ঘোষণাপত্র পাব। মৌলিক ও নির্বাচনকালীন সংস্কার পাব এবং দৃশ্যমান বিচার দেখতে পারব।” 

সভায় অন্যদের মধ্যে জাতীয় যুব শক্তির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম, যুগ্ম-আহ্বায়ক নেছার উদ্দীন, কেন্দ্রীয় সংগঠক ওয়াসিস আলম বক্তব্য রাখেন। 

ঢাকা/নাঈম/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত য় ন গর ক প র ট সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

চায়ের দোকান থেকে নিউইয়র্ক, পুরস্কার ঘোষণার দিনেই মৃত্যু

কোনো তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা তাঁর প্রথম ছবি দিয়ে ভারতীয় সিনেমার মানচিত্রে আলোড়ন তুললেন; ছবিটি পেল জাতীয় পুরস্কার। আর পুরস্কার ঘোষণার একই দিনে সেই তরুণ চিরতরে চলে গেলেন। এই অবিশ্বাস্য ঘটনাই ঘটেছিল অবতার কৃষ্ণ কৌলের জীবনে।
১৯৩৯ সালে কাশ্মীরের শ্রীনগরে জন্ম নেওয়া কৌলের শৈশবই ছিল বেদনার। বাবার হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে একদিন তিনি ঘর ছেড়ে পালালেন। রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দিন কাটত, চায়ের দোকানে কিংবা ছোট হোটেলে কাজ করতেন। অভুক্ত থেকেও বই আর শব্দের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব গড়ে উঠল। এই অপূর্ণ শৈশবই হয়তো পরে তাঁকে সিনেমার ভেতর মানুষ আর সমাজকে ভিন্ন চোখে দেখার শক্তি দিয়েছিল।

নিউইয়র্কে নতুন জীবন
পরবর্তী সময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি পেয়ে পৌঁছে গেলেন নিউইয়র্কে। দিনের চাকরির ফাঁকে রাতগুলো কাটত সিনেমা ও সাহিত্য নিয়ে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস আর পরে ব্রিটিশ ইনফরমেশন সার্ভিসে কাজ করলেও তাঁর আসল পৃথিবী ছিল অন্যত্র। সহকর্মীরা প্রায়ই দেখতেন, হাতে উপন্যাস বা নোটবুক নিয়ে বসে আছেন কৌল। তাঁর চোখে তখন এক স্বপ্ন—চলচ্চিত্র নির্মাণ।

‘২৭ ডাউন’–এর শুটিং চলছে। ইনস্টাগ্রাম থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ