জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হলো নতুন অনুবাদ–সুবিধা। আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা ধাপে ধাপে এ সুবিধা পাচ্ছেন। ব্যক্তিগত চ্যাট, গ্রুপ কিংবা চ্যানেলের আপডেট বার্তায় সরাসরি অনুবাদ করা যাবে নতুন এ সুবিধার মাধ্যমে।

কোনো বার্তা অনুবাদ করতে হলে সেটির ওপর আঙুল চেপে ধরে রাখতে হবে। তখন প্রদর্শিত মেনু থেকে ‘ট্রান্সলেট’ অপশন বেছে নিয়ে প্রয়োজনীয় ভাষা নির্বাচন করা যাবে। প্রথম ধাপে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য ইংরেজি, স্প্যানিশ, হিন্দি, পর্তুগিজ, রুশ ও আরবি ভাষার অনুবাদ–সুবিধা চালু করা হয়েছে।

অন্যদিকে আইফোন ব্যবহারকারীরা শুরু থেকেই ১৯টির বেশি ভাষায় বার্তা অনুবাদ করতে পারবেন। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে চাইলে পুরো চ্যাট থ্রেডের জন্য স্বয়ংক্রিয় অনুবাদও চালু করার সুযোগ থাকছে। হোয়াটসঅ্যাপের এ উদ্যোগ নতুন নয়। এর আগে বিভিন্ন মেসেজিং অ্যাপে অনুবাদ ফিচার চালু হয়েছে। প্রায় এক দশক আগে গুগলও অ্যান্ড্রয়েডে ‘ট্যাপ টু ট্রান্সলেট’ ফিচারের প্রদর্শনীতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেছিল। তবে হোয়াটসঅ্যাপের মতো বিশ্বের বৃহত্তম মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে এ সুবিধা যুক্ত হওয়ায় ভিন্নভাষীদের সঙ্গে যোগাযোগ এখন আরও সহজ হবে। হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, ধীরে ধীরে আরও নতুন ভাষাকে অনুবাদ–সুবিধার আওতায় আনা হবে।

সূত্র: দ্য ভার্জ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প ব যবহ র অন ব দ

এছাড়াও পড়ুন:

মামুন হত্যার পেছনে কি অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ, শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের নাম আসছে যে কারণে

২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা। তখন ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের সিটি পেট্রলপাম্প ও বিজি প্রেসের মাঝামাঝি এলাকার মূল সড়কে ছিল তীব্র যানজট। ওই যানজটে তখন আটকে ছিলেন শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈফ মামুন। প্রকাশ্যে ১০–১২ জনের একটি দল মামুনের ওপর হামলা চালায়। প্রথমে মামুনের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়। একপর্যায়ে মামুন গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন তাঁকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। মামুন তখন প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। তবে তাঁকে লক্ষ্য করে ছোড়া গুলিতে ভুবন চন্দ্র শীল নামে একজন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন।

এ ঘটনার প্রায় দুই বছর দুই মাস পর আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে আবারও ঢাকার রাস্তায় প্রকাশ্যে মামুনকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এবার আর তিনি প্রাণে বাঁচতে পারেননি। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আজকের ঘটনাটি ঘটেছে পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের সামনে। সেখানে দুজন মুখোশধারী ব্যক্তি খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। মামুন ২৪ বছর কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই ২০২৩ সালে ওই হামলার শিকার হয়েছিলেন।

প্রায় দুই যুগ কারাবাস শেষে মুক্ত হওয়ার পর মামুনকে হত্যায় কারা, কেন এত মরিয়া হয়ে উঠলেন, সেই প্রশ্ন সামনে এসেছে। প্রথমবার হামলার ঘটনার সঙ্গে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমনের নাম এসেছিল। যদিও তখন ইমন কারাগারে ছিলেন। পরের বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ছাত্র–জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরপরই ইমন কারাগার থেকে মুক্ত হন। বর্তমানে তিনি কোথায় আছেন, সে বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়নি।

২০২৩ সালে মামুনের ওপর হামলার ঘটনার তদন্তের সঙ্গে যুক্ত এক পুলিশ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, সে সময় কারাগারে থাকলেও ওই ঘটনার নেপথ্যে ছিলেন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন। একসময় ইমন ও মামুন ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে ঢাকার হাজারীবাগ, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও এলাকার অপরাধজগতের অন্যতম নিয়ন্ত্রক ছিলেন ইমন ও মামুন। তাঁদের গড়ে তোলা বাহিনীর নাম ছিল ‘ইমন-মামুন’ বাহিনী। ওই সময় এই বাহিনী রাজধানীর এসব এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি করেছিল। তাঁরা দুজনই চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাই সাঈদ আহমেদ টিপু হত্যা মামলার আসামি। ২০২৩ সালে কারাগার থেকে বের হওয়ার পর বিভিন্ন এলাকায় একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিলেন মামুন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কারাগার থেকেই মামুনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ইমন।

আরও পড়ুনপ্রকাশ্যে এসেই তৎপর সুব্রত বাইন, ‘পিচ্চি হেলাল’, ‘কিলার আব্বাস’সহ শীর্ষ সন্ত্রাসীরা ১১ অক্টোবর ২০২৪সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, তারিক সাইফ মামুন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন (বাঁয়ে)। দুই ব্যক্তি খুব কাছে থেকে তাঁকে গুলি করছেন (ডানে)

সম্পর্কিত নিবন্ধ