নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার অ্যাপ ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনে বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন ও লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে আউট অব কান্ট্রি ভোটিং বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।

আরো পড়ুন:

কারাগারে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের দাবিতে ইসিকে চিঠি

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার

আবুল ফজল মো.

সানাউল্লাহ বলেছেন, প্রবাসী ভোট নিয়ে দীর্ঘদিন আলোচনার পর এবার একটি হাইব্রিড সমাধান নেওয়া হয়েছে। আগ্রহী ভোটাররা অনলাইনে নিবন্ধন করলে প্রতীকসম্বলিত ব্যালট আগেই তাদের কাছে পাঠানো হবে। প্রথমে ভোটার নিবন্ধন করতে হবে, এর পর আউট অব কান্ট্রি ভোটিংয়ের জন্য আলাদা রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এজন্য তৈরি করা হয়েছে একটি অ্যাপ, যা নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে চালু হবে। প্রতিটি অঞ্চলে ৭ থেকে ১০ দিন সময় দেওয়া হবে নিবন্ধনের জন্য, প্রয়োজনে আরো ৩ থেকে ৭ দিন বাড়ানো হবে।

তিনি জানান, বিশ্বব্যাপী প্রবাসী ভোটের ছয়টি প্রচলিত পদ্ধতির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় ইন-পারসন ভোটিং ও পোস্টাল ব্যালট। বাংলাদেশ প্রস্তাব করেছিল পোস্টাল ব্যালট, প্রক্সি ভোটিং এবং অনলাইন ভোটিং। তবে, আপাতত অনলাইন ভোটিং সম্ভব নয় এবং রাজনৈতিক সমর্থন না থাকায় প্রক্সি ভোটও বাদ দেওয়া হয়েছে।

ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ইনশাআল্লাহ, এবার প্রবাসী বাংলাদেশিরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেবেন। 

তবে, তিনি স্বীকার করেছেন, এই প্রক্রিয়ায় কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, যেমন: ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা এবং আদালতের আদেশে প্রার্থী তালিকা পরিবর্তন হলে বিদেশ থেকে প্রাপ্ত ভোট বাতিল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি। এছাড়া, ডাকযোগে ব্যালট পৌঁছাতে ব্যর্থতার হারও প্রায় ২৪ শতাংশ।

তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার তুলনায় বাংলাদেশের প্রবাসীরা ভোটে অংশগ্রহণে বেশি আগ্রহী হবেন এবং এই উদ্যোগ ব্যর্থ হবে না।

ঢাকা/এএএম/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইস ইস প রব স

এছাড়াও পড়ুন:

ইন্দোনেশিয়ায় সাবেক স্বৈরশাসক সুহার্তোকে ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা

ইন্দোনেশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট সুহার্তোকে জাতীয় বীরের মর্যাদা দিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো। তবে স্বৈরশাসক হিসেবে তার পূর্ব পরিচিতি কারণে এমন পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মীরা। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি খবরে বলা হয়েছে, ১৯৬০ থেকে ১৯৯০ এর দশকে সুহার্তোর নিউ অর্ডার শাসনামলে, ইন্দোনেশিয়া দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির যুগ দেখেছিল কিন্তু সহিংস রাজনৈতিক দমন-পীড়নেরও একটি যুগ দেখেছিল। সেই সময় কয়েক লাখ রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীকে হত্যা করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।

সোমবার (১০ নভেম্বর) জাকার্তার প্রেসিডেন্ট ভবনে জাতীয় বীর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। 

সুহার্তোর সাবেক জামাতা ও ইন্দোনেশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঘোষিত ‘জাতীয় বীর’ তালিকায় নতুন যুক্ত হওয়া ১০ জনের মধ্যে প্রয়াত সুহার্তোও রয়েছেন।

তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ইন্দোনেশিয়া শাসন করা সুহার্তো ১৯৯৮ সালে অর্থনৈতিক সংকটের সময় গণবিক্ষোভ এবং মারাত্মক দাঙ্গার মুখে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। ২০০৬ সালে ৮৬ বছর বয়সে তিনি মারা যান।

অনুষ্ঠানে সুহার্তোকে স্মরণ করে বলা হয়, “সেন্ট্রাল জাভা প্রদেশের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি, স্বাধীনতাসংগ্রামের নায়ক, জেনারেল সুহার্তো স্বাধীনতার যুগ থেকে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।”

তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে। তারা সরকারের বিরুদ্ধে সোহার্তোর স্বৈরাচারী শাসনকালকে বৈধ প্রতিষ্ঠা করার অভিযোগ তুলেছে। অন্যদিকে প্রাবোও সরকারের মন্ত্রীরা এই পদক্ষেপকে সমর্থন করে বলেছেন, সোহার্তোর অর্থনৈতিক অবদানই ছিল দেশের উন্নয়নের ভিত্তি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো অমূলক।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ