লিগ কাপে স্যান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে লিভারপুলকে জিতিয়েও সমালোচনার মুখে হুগো একিতিকে। ম্যাচে শেষ দিকে তিনি যা করেছেন, তা অনেকের কাছে ‘বোকামি’ ছাড়া আর কিছু নয়। এমনকি কোচ আর্নে স্লটও তাঁর এই কাণ্ডকে ‘আহম্মকি’ বলে মন্তব্য করেছেন।

গতকাল রাতে অ্যানফিল্ডে ম্যাচের ৪৩ মিনিটে আলেক্সান্দার ইসাকের গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। এটি লিভারপুলের জার্সিতে ইসাকের প্রথম গোল। সুইডিশ স্ট্রাইকারের এই গোলেই একপর্যায়ে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে লিভারপুল। কিন্তু ৭৬ মিনিটে শেয়া চার্লসের গোলে সমতা ফেরায় স্যান্ডারল্যান্ড। এরপর ম্যাচের ৮৫ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণে ফেদেরিকো কিয়েসার পাস থেকে গোল করেন একিতিকে।

এই গোলই শেষ পর্যন্ত লিগ কাপের তৃতীয় রাউন্ডে লিভারপুলকে এনে দিয়েছে ২–১ গোলের জয়। কিন্তু গোলের পর উদ্‌যাপন করতে গিয়েই সবাইকে হতাশায় ভাসান একিতিকে। কারণ, গোলের পর অতি আবেগে জার্সি খুলে ফেলেন এই ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার—যে কারণে দেখতে হয় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড এবং পরিণতিতে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে।

আরও পড়ুনদূরন্ত এমবাপ্পের ডানায় চড়ে উড়ছে রিয়াল৯ ঘণ্টা আগে

এর আগে ম্যাচের ৫৩ মিনিটে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন একিতিকে। গোল করে জার্সি খুলে উদ্‌যাপন করার পর, দৌড়ে গিয়ে সতীর্থ জেরেমি ফ্রিমপংকে কিছু বলতে দেখা যায় একিতিকেকে। হয়তো আগে হলুদ কার্ড দেখার পরও কেন জার্সি খুলতে গেলেন সেটিই বলছিলেন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। রেফারি এগিয়ে গিয়ে প্রথমে হলুদ কার্ড এবং পরে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন তাঁকে।

একিতিকেকে লাল কার্ড দেখাচ্ছেন রেফারি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হল দ ক র ড ন এক ত ক

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ আরও একজনের মৃত্যু, মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ছয়ে

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও চন্দনাইশের সীমান্তের চরপাড়া এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডারের গুদামে বিস্ফোরণে গুরুতর আহত আরও এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত শ্রমিকের নাম মো. রিয়াজ (২১)। ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার সকাল ছয়টায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যু হলো। নিহত শ্রমিকের বাড়ি লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া গ্রামে।

১৭ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চরপাড়ার গ্যাস সিলিন্ডারের গুদামে হঠাৎ বিস্ফোরণ হলে ১০ শ্রমিক দগ্ধ হন। খবর পেয়ে চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে চারজনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

এর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গুদামের মালিক মাহবুবুল আলম, শ্রমিক মো. ইদ্রিস, মো. ইউসুফ, মোহাম্মদ ছালেহ ও হারুণ মারা যান। সর্বশেষ মৃত্যু হলো মো. রিয়াজের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ