সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় একটি পুকুর থেকে সাইফা আক্তার (৮) নামে এক শিশুর নিথর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরের এ মর্মান্তিক ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিহত সাইফা শিমরাইল এলাকার মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেনের মেয়ে। পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সাইফা দুপুরে বাড়ির পাশেই খেলাধুলা করছিল।  দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও সে ঘরে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।

 শিশুটিকে না পেয়ে প্রতিবেশীরা চিৎকার শুরু করলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। পরিবারের সদস্যদের কান্নায় সেখানকার বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।

খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কাঁচপুর মডেল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উদ্ধারকারী দল। এ বিষয়ে স্টেশন ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমরা দুপুর আনুমানিক দেড়টার দিকে খবর পাই।

 খবর পাওয়ার সাথে সাথেই আমাদের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।  পুকুরটি আয়তনে বড় এবং গভীর হওয়ায় কিছুটা সময় লাগলেও প্রায় আধা ঘণ্টার নিরলস চেষ্টায় আমরা শিশুটির নিথর দেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হই।

তিনি আরও জানান, উদ্ধারের পর শিশুটিকে জীবিত পাওয়ার আশায় দ্রুত স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সাইফাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।  প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পরিবারের সদস্যদের অগোচরে খেলতে গিয়ে অসাবধানবশত সাইফা পুকুরের পানিতে পড়ে যায় এবং সাঁতার না জানায় তার মৃত্যু হয়। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ উদ ধ র পর ব র খবর প

এছাড়াও পড়ুন:

সুরঙ্গে লুকিয়েও শেষরক্ষা হলো না যুবলীগ নেতার

নিজ বাসার ভিতরে ফ্লোর টাইলসের নিচে সুরঙ্গ বানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে লুকিয়ে ছিলেন চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার যুবলীগ নেতা শওকত হোসেন খোকন। তবু, শেষরক্ষা হয়নি তার। পুলিশ সুরঙ্গ থেকেই ওই যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ভোরে। 

বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ লুৎফুর রহমান যুবলীগ নেতা শওকতকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

ঝালকাঠিতে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রিমন গ্রেপ্তার

ওসি বলেছেন, যুবলীগ নেতা শওকত হোসেন খোকন অত্যন্ত দুর্ধর্ষ। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকেই সে ছিল পলাতক। পুলিশ তাকে একাধিকবার গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। আত্মগোপনে থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে দেয়াল লিখন, পোস্টারিং করে দলীয় কর্মসূচি পালন করে আসছিল খোকন। পাশাপাশি গুজবও ছড়িয়ে যাচ্ছিল।

সোমবার রাতে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, শওকত বোয়ালখালী উপজেলায় নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে। মঙ্গলবার ভোরে পুলিশ শওকতের বাড়িতে অভিযান চালায়। কিন্তু, বাড়ির ভিতরে শওকতকে পাওয়া যায়নি। পরে ঘরের টাইলসের নিচ দিয়ে তৈরি করা একটি সুরঙ্গের সন্ধান পাওয়া যায়। সেই সুরঙ্গে তল্লাশি চালিয়ে যুবলীগ নেতা শওকতকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

ওসি জানান, এই যুবলীগ নেতা কৌশলে পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছিল বার বার। অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

শওকত হোসেন খোকন বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ছনদণ্ডী গ্রামের ফারুকী পাড়ার মৃত আহমদ মিয়ার ছেলে। তিনি উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক।

ঢাকা/রেজাউল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ