খুলনা মহানগরীর রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে প্রকাশ্যে এক যুবককে গুলি করেছে এক সন্ত্রাসী। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে গুলি করা হয়।
আহত যুবকের নাম অনিক। তিনি নগরীর কালীবাড়ী এলাকার মন্টু দাশের ছেলে। খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সেখান থেকে পুলিশ একটি পিস্তল, গুলি এবং ম্যাগাজিন উদ্ধার করেছে।
খুলনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘সন্ধ্যা ৭টা দিকে রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে দুই যুবকের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে একজন কোমর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে অনিককে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘গুলিবিদ্ধ হয়ে অনিক রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা ছুটে আসে। তখন হামলাকারী হাতের অস্ত্র ফেলে দ্রুত পালিয়ে যায়।’’
ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের রিসোর্টে বোতল বোমা নিক্ষেপ
গাজীপুরের কালীগঞ্জে গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের ‘নিসর্গ’ রিসোর্টে বোতল বোমা নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (১২ নভেম্বর) ভোরে কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের কুচলিবাড়ি এলাকায় অবস্থিত নিসর্গ রিসোর্টে এ নাশকতা হয়। পাঁচ মাস আগেও ওই রিসোর্টে অনুরূপ হামলা হয়েছিল।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভোরের দিকে রিসোর্টের সীমানা প্রাচীরের ভেতরে দুটি বোতল বোমা দেখতে পান নিরাপত্তাকর্মীরা। তারা তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সেগুলো জব্দ করে।
কালীগঞ্জ থানার উলুখোলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) জামাল উদ্দিন বলেছেন, নিসর্গ রিসোর্ট থেকে দুটি কাঁচের বোতল জব্দ করা হয়েছে। এর ভেতরে কেরোসিন জাতীয় তরল পদার্থ ছিল। দুর্বৃত্তরা সেগুলো নিক্ষেপ করলেও রিসোর্টের কোনো ক্ষতি হয়নি।
তিনি জানিয়েছেন, আগের বোমা হামলার মামলাটি এখনো তদন্তাধীন। আজকের ঘটনার বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাতের কোনো একসময় দুর্বৃত্তরা রিসোর্টের ভিতরে বোমাগুলো নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়।
এর আগে গত ২৬ মে মধ্যরাতে একই রিসোর্টের ভেতরে পেট্রোল বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তখন পরপর দুটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। আগুন ধরে গেলে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। সে সময় ঘটনাস্থল থেকে সুতলি দিয়ে বাঁধা তরল পদার্থভর্তি কাঁচের বোতল, ভাঙা কাঁচ ও একটি প্লাস্টিকের জেরিক্যান উদ্ধার করা হয়। পরে রিসোর্টের ডিউটি অফিসার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা ট্রাস্টি হলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ঢাকা/রেজাউল/রফিক