কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লাইনম্যান সোহাগ মিয়া ও রাহুলকে লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে। পরে তাদেরকে মারধর করে আহত করা হয়েছে। চার মাসের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে বিদ্যুৎ কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি করেন গ্রাহকের ছেলে আব্দুর রহিম।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ হামলা করা হয়। এ ঘটনায় ভেড়ামারা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রব তালুকদার।

পুলিশ ও বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভেড়ামারার মাধবপুর গ্রামের তাজমল হোসেন পল্লী বিদ্যুতের আবাসিক মিটারের গ্রাহক। তার চার মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিল। বিল পরিশোধ করার জন্য বার বার তাকে জানানো হয়। পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ের জন্য গ্রাহকের বাড়িতে যান। গ্রাহক জানান, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করবেন না। তখন নিয়ম অনুযায়ী সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন লাইনম্যান সোহাগ ও রাহুল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আব্দুর রহিম ঘর থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পর পর দুই রাউন্ড গুলি করেন। তবে, তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরে লাইনম্যান সোহাগ মিয়াকে ধরে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর জখম করা হয়। স্থানীয়রা বিদ্যুৎ অফিসে খবর দিলে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন এবং তাকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ভেড়ামারা থানা পুলিশ।

কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ভেড়ামারা জোনাল অফিসের ডিজিএম জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, বিদ্যুৎ গ্রাহক তাজমল হোসেনের চার মাসের বিল বকেয়া থাকায় অফিসের নিয়ম অনুযায়ী তাকে পরিশোধ করতে বলা হয়। পরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে গ্রাহকের ছেলে আব্দুর রহিম ক্ষিপ্ত হয়ে লাইনম্যানদের মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে গুলি করেন ও পরে বেধড়ক মারধর করেন। আব্দুর রহিমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) এফ এম সাইদুর রহমান বলেছেন, চার মাসের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় এক গ্রাহকের বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করতে গেলে লাইনম্যানদের লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। তবে, কেউ গুলিবিদ্ধ হননি। পরে বেধড়ক মারধর করা হয়। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।

ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রব তালুকদার বলেছেন, পল্লী বিদ্যুতের পক্ষ থেকে একজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আসামি পলাতক আছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে পুলিশ। আসামির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/কাঞ্চন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স য গ ব চ ছ ন ন কর ব ল পর শ ধ ল ইনম য ন গ র হক র লক ষ য

এছাড়াও পড়ুন:

সুরঙ্গে লুকিয়েও শেষরক্ষা হলো না যুবলীগ নেতার

নিজ বাসার ভিতরে ফ্লোর টাইলসের নিচে সুরঙ্গ বানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে লুকিয়ে ছিলেন চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার যুবলীগ নেতা শওকত হোসেন খোকন। তবু, শেষরক্ষা হয়নি তার। পুলিশ সুরঙ্গ থেকেই ওই যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ভোরে। 

বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ লুৎফুর রহমান যুবলীগ নেতা শওকতকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

ঝালকাঠিতে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রিমন গ্রেপ্তার

ওসি বলেছেন, যুবলীগ নেতা শওকত হোসেন খোকন অত্যন্ত দুর্ধর্ষ। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকেই সে ছিল পলাতক। পুলিশ তাকে একাধিকবার গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। আত্মগোপনে থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে দেয়াল লিখন, পোস্টারিং করে দলীয় কর্মসূচি পালন করে আসছিল খোকন। পাশাপাশি গুজবও ছড়িয়ে যাচ্ছিল।

সোমবার রাতে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, শওকত বোয়ালখালী উপজেলায় নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে। মঙ্গলবার ভোরে পুলিশ শওকতের বাড়িতে অভিযান চালায়। কিন্তু, বাড়ির ভিতরে শওকতকে পাওয়া যায়নি। পরে ঘরের টাইলসের নিচ দিয়ে তৈরি করা একটি সুরঙ্গের সন্ধান পাওয়া যায়। সেই সুরঙ্গে তল্লাশি চালিয়ে যুবলীগ নেতা শওকতকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

ওসি জানান, এই যুবলীগ নেতা কৌশলে পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছিল বার বার। অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

শওকত হোসেন খোকন বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ছনদণ্ডী গ্রামের ফারুকী পাড়ার মৃত আহমদ মিয়ার ছেলে। তিনি উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক।

ঢাকা/রেজাউল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ